মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৭৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৫। হযরত আবু মালেক আল আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (হে মুসলমানগণ।) মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তোমাদিগকে তিনটি জিনিস হইতে রক্ষা করিয়াছেন। (১) তোমাদের নবী তোমাদের প্রতিকূলে এমন কোন বদ্-দো'আ করিবেন না যাহাতে তোমরা সবাই ধ্বংস হইয়া যাও। (২) বাতিল ও গোমরাহ্ সম্প্রদায় কখনও হকপন্থীদের উপর প্রাধান্য লাভ করিতে পারিবে না এবং (৩) সমষ্টিগতভাবে আমার উম্মত গোমরাহীর (তথা অন্যায়ের) উপরে একত্রিত হইবে না। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৬। হযরত আওফ ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা এই মুসলিম উম্মতের উপর দুই তলোয়ার একত্রিত করিবেন না। এক তলোয়ার মুসলমানদের পক্ষ হইতে এবং অপর তলোয়ার শত্রুদের পক্ষ হইতে। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৭। হযরত আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার তিনি কাফেরদের মুখে হুযূর (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে তিরস্কারমূলক কিছু কথা শুনিতে পাইলেন। ইহাতে তিনি ক্ষুব্ধ হইয়া নবী (ﷺ)-এর নিকট ছুটিয়া আসিলেন এবং কথাটি তাঁহাকে জানাইলেন। এতদশ্রবণে নবী (ﷺ) মিম্বরে দাঁড়াইয়া বলিলেনঃ তোমরা বল দেখি আমি কে? সাহাবীগণ উত্তর করিলেন, 'আপনি আল্লাহর রাসূল।' তিনি বলিলেন, আমি হইলাম “আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল মোত্তালিবের পুত্র মুহাম্মাদ।” আল্লাহ্ তা'আলা যেই সমস্ত মাখলুক সৃষ্টি করিয়াছেন তন্মধ্যে আমাকে উত্তম শ্রেণীতে সৃষ্টি করিয়াছেন। সেই মানব শ্রেণীকে আবার দুই ভাগে (আরব ও আজম) নামে বিভক্ত করিয়াছেন। আর আমাকে উহার উত্তম দলে (আরবের মধ্যে) সৃষ্টি করিয়াছেন। অতঃপর সেই দলকে আবার বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করিয়াছেন। উহাদের মধ্যে আমাকে উত্তম গোত্রে (কুরাইশ গোত্রে) সৃষ্টি করিয়াছেন। আবার সেই গোত্রকেও বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত করিয়াছেন। তন্মধ্যে উত্তম পরিবার (হাশেমী পরিবারে আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। সুতরাং ব্যক্তি ও পরিবার হিসাবে আমি সর্বোত্তম। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৮। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার জন্য নবুওত কখন হইতে নির্ধারণ করা হইয়াছে? তিনি বলিলেনঃ সেই সময় হইতে, যখন হযরত আদম (আঃ) আত্মা ও দেহের মধ্যবর্তী অবস্থায় ছিলেন। —তিরমিযী।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৯। হযরত এরবায ইবনে সারিয়া (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নিকটে আমি তখনও “খাতামুন নাবীয়্যীন”- রূপে লিপিবদ্ধ ছিলাম যখন আদম ছিলেন মাটির খামিরায়। আমি তোমাদিগকে আরও বলিতেছি যে, আমার নবুওতের প্রথম প্রকাশ হইল হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর দো'আ এবং হযরত ঈসা (আঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী; আর আমার মায়ের প্রত্যক্ষ স্বপ্ন, যাহা তিনি আমাকে প্রসবকালে দেখিয়াছিলেন যে, তাঁহার সম্মুখে একটি আলো উদ্ভাসিত হইয়াছে, যাহার রৌশনীতে তিনি সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত দেখিতে পান। —শরহে সুন্নাহ্।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬০। আর ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) (سأخبركم) হতে শেষ পর্যন্ত আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬১। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হইব আদমের সন্তানদের সরদার বা নেতা, ইহা গর্ব নয় আর সেই দিন আমার হাতেই থাকিবে ‘মাকামে হামদের পতাকা', ইহাতেও গর্ব নয়। সেই দিন আদম (আঃ)-সহ সমস্ত নবীগণই আমার পতাকার নীচে আসিয়া সমবেত হইবেন। আর সকলের আগে আমি কবর ফাটিয়া উত্থিত হইব ইহাতেও গর্ব নয়। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবী এক স্থানে বসিয়া কথাবার্তা বলিতেছিলেন। এই সময় হুযূর (ﷺ) সেই দিকে বাহির হইলেন এবং তাহাদের নিকটে পৌঁছিয়া তাহাদের কথাবার্তা ও আলোচনাগুলি শুনিলেন। তাহাদের একজন বলিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা হযরত ইবরাহীমকে খলীল বানাইয়াছেন। আরেকজন বলিলেন, হযরত মুসা কালীমুল্লাহ্) ছিলেন এমন, আল্লাহ্ তা'আলা যাঁহার সহিত সরাসরি কথা বলিয়াছেন। অপর একজন বলিলেন, হযরত ঈসা ছিলেন কালেমাতুল্লাহ্ ও রূহুল্লাহ্ এবং আরেকজন বলিলেন, হযরত আদমকে আল্লাহ্ তা'আলা ছফীউল্লাহ বানাইয়াছেন।
এই সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, আমি তোমাদের কথাবার্তা এবং তোমরা যে বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছ তাহা শুনিয়াছি। ইবরাহীম যে খলীলুল্লাহ্ ছিলেন ইহা ঠিকই। মুসা যে সরাসরি আল্লাহর সাথে কথাবার্তা বলিয়াছেন ইহাও সত্য কথা। ঈসা যে রূহুল্লাহ্ ও কালেমাতুল্লাহ্ ছিলেন ইহাও প্রকৃত কথা এবং আদম যে আল্লাহর মনোনীত, মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন, ইহাও সম্পূর্ণ বাস্তব। তবে জানিয়া রাখ, আমি হইলাম, 'আল্লাহর হাবীব', ইহাতে গর্ব নয় এবং কিয়ামতের দিন আমিই হামদের ঝাণ্ডা উত্তোলন ও বহনকারী হইব—আদম ও অন্যান্য নবীগণ উক্ত ঝাণ্ডার নীচেই থাকিবেন, ইহাতে গর্ব নয়। কিয়ামতের দিন আমিই হইব সর্বপ্রথম শাফা'আতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবূল করা হইবে, ইহাতে গর্ব নয়। আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরওয়াজার কড়া নাড়া দিব। তখন আল্লাহ্ তা'আলা আমার জন্য উহা খুলিয়া দিবেন এবং আমাকে উহাতে প্রবেশ করাইবেন। আর আমার সঙ্গে থাকিবে গরীব ঈমানদারগণ, ইহাতে গর্ব নয়। পরিশেষে কথা হইল, আর আমিই পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চাইতে সম্মানিত, ইহাও গর্ব নয়। —তিরমিযী ও দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৩। হযরত আমর ইবনে কায়স (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমরা সকলের শেষে আসিয়াছি, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা সকলের আগে থাকিব। আজ আমি তোমাদিগকে বিশেষ একটি কথা বলিব, তবে ইহাতে আমার কোন অহংকার নাই। ইবরাহীম আল্লাহর বন্ধু, মুসা আল্লাহর মনোনীত এবং আমি হইলাম আল্লাহর হাবীব। কিয়ামতের দিন হামদের ঝাণ্ডা আমার সঙ্গেই থাকিবে। আল্লাহ্ আমার উম্মতের ব্যাপারে আমার সহিত ওয়াদা করিয়াছেন এবং তিনি উহাদিগকে তিনটি বিষয় হইতে নিরাপত্তা দিয়াছেন। (১) ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দ্বারা তাহাদিগকে ধ্বংস করিবেন না। (২) শত্রুরা তাহাদিগকে সমূলে ধ্বংস করিতে পারিবে না। এবং (৩) বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদিগকে পথভ্রষ্টতা বা গোমরাহীর উপরে একত্রিত করিবেন না। —দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৪। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (কিয়ামতের মাঠে অথবা বেহেশতে) আমি হইব সমস্ত নবীদের পারিচালক বা অগ্রগামী। ইহা আমি অহংকার হিসাবে বলিতেছি না। আমি হইলাম নবী আগমনের সিলসিলা সমাপ্তকারী, ইহাতে আমার কোন গর্ব নাই। আর সর্বপ্রথম আমিই হইব শাফা'আতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবূল করা হইবে। ইহাতে আমার কোন অহংকার নাই। —দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৫। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন যখন মানুষদিগকে কবর হইতে উত্থিত করা হইবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম কবর হইতে বাহির হইয়া আসিব। আর যখন লোকেরা দলবদ্ধ হইয়া আল্লাহ্ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার জন্য রওয়ানা হইবে, তখন আমিই হইব তাহাদের অগ্রগামী ও প্রতিনিধি; আর আমিই হইব তাহাদের মুখপাত্র, যখন তাহারা নীরব থাকিবে। আর যখন তাহারা আটক হইয়া পড়িবে, তখন আমি হইব তাহাদের সুপারিশকারী। আর যখন তাহারা হতাশাগ্রস্ত হইয়া পড়িবে, তখন আমি তাহাদিগকে সুসংবাদ প্রদান করিব। মর্যাদা এবং কল্যাণের চাবিসমূহ সেই দিন আমার হাতে থাকিবে। আল্লাহর প্রশংসার ঝাণ্ডা সেই দিন আমার হাতেই থাকিবে। আমার পরওয়ারদিগারের কাছে আদমের সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদাবান ও সম্মানী ব্যক্তি হইব। সেই দিন হাজারখানেক খাদেম আমার চতুষ্পার্শ্বে ঘোরাফেরা করিবে। যেন তাহারা সুরক্ষিত ডিম কিংবা বিক্ষিপ্ত মুক্তা। —তিরমিযী ও দারেমী, তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমাকে বেহেশতের তৈয়ারী পোশাকের একটি পোশাক পরিধান করান হইবে। অতঃপর আমি আরশে এলাহীর ডান পার্শ্বে গিয়া দাঁড়াইব। অথচ আমি ব্যতীত আল্লাহর সৃষ্ট মাল্লুকের অন্য কেহই উক্ত স্থানে দাঁড়াইতে পারিবে না। —তিরমিযী। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে “জামেউল উসুল” গ্রন্থে অপর একটি বর্ণনায় আছে—আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যাহার কবর খুলিয়া যাইবে এবং আমাকেই সর্বপ্রথম কাপড় পরিধান করান হইবে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৭। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা আল্লাহর কাছে উসীলা কামনা কর। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! উসীলা কি? তিনি বলিলেন ; উহা বেহেশতের সর্বোচ্চ মর্যাদার একটি বিশেষ স্থান। যাহা কেবলমাত্র এক ব্যক্তিই লাভ করিবে। সুতরাং আশা করি আমিই হইব সেই ব্যক্তি। — তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৮। হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হইব নবীদের ইমাম ও মুখপাত্র এবং তাহাদের জন্য শাফা'আতের অধিকারী। ইহাতে আমার কোন অহংকার নাই। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৬৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ প্রত্যেক নবীরই নবীদের মধ্য হইতে একজন বন্ধু আছেন। আর আমার বন্ধু হইলেন আমার পিতা এবং আমার রবের খলীল (হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্)। অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করিলেন – (অর্থাৎ,) "তাহারাই ইবরাহীম (আঃ)-এর অতি নিকটতম ব্যক্তি, যাহারা তাহার আনুগত্য করিয়াছে। আর এই নবী [অর্থাৎ, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)] আর যাহারা ঈমান গ্রহণ করিয়াছে আর আল্লাহ্ তা'আলা হইলেন মুসলমানদের বন্ধু। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৭০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭০। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যাবতীয় উত্তম চরিত্র ও উত্তম কার্যাবলী পরিপূর্ণ করার জন্যই আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। — শরহে সুন্নাহ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৭১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭১। হযরত কা'বে [আহবার (রাঃ)] তওরাতের উদ্ধৃতি দিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, আমরা উহাতে লিখিত পাইয়াছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, তিনি আমার সর্বোৎকৃষ্ট বান্দা, তিনি দুশ্চরিত্র বা বদ-মেজাজ এবং রূঢ়ভাষী নহেন, বাজারে হৈ-হল্লাকারীও নহেন। মন্দের প্রতিশোধ মন্দের দ্বারা গ্রহণ করেন না; বরং মাফ করিয়া দেন আর ক্ষমা করিয়া দেন। তাঁহার জন্মস্থান মক্কায় এবং হিজরত করিবেন মদীনা তাইয়্যেবায়। সিরিয়াও তাঁহার আধিপত্যে আসিবে। তাহার উম্মত হইবে খুব বেশী প্রশংসাকারী তথা সুখে-দুঃখে ও আরামে ব্যারামে সর্বাবস্থায় আল্লাহর গুণগান করিবে এবং প্রত্যেক অবস্থান স্থলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিবে। সুউচ্চ জায়গায় আরোহণকালে তাহারা আল্লাহর তীর উচ্চারণ করিবে। সূর্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখিবে —যখনই নামাযের সময় হইবে তখনই নামায আদায় করিবে। তাহারা শরীরের মধ্যস্থলে (কোমরে) ইযার বাঁধিবে। শরীরের পার্শ্ব (হাত-পা ইত্যাদি) ধুইয়া অযু করিবে। তাহাদের ঘোষণাকারী উচ্চ স্থানে দাঁড়াইয়া ঘোষণা (আযান) দিবে। জিহাদে তাহাদের সারি এবং নামাযেও তাহাদের সারি হইবে একইভাবে। রাত্রির বেলায় তাহাদের গুনগুন শব্দ উদ্ভাসিত হইবে মৌমাছির গুনগুনের মত। —মাসাবীহ্, দারেমীও ইহা কিঞ্চিত শাব্দিক পরিবর্তনসহ বর্ণনা করিয়াছেন ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৭২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, তওরাত কিতাবে হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর গুণাবলী লিপিবদ্ধ রহিয়াছে এবং উহাতে ইহাও রহিয়াছে যে, হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ)-কে তাঁহার সঙ্গে [হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর হুজরায়] দাফন করা হইবে। আবু মওদুদ (রঃ) বলেন, হযরত আয়েশার হুজরায় অদ্যাবধি (তাঁহার দাফনের জন্য) একটি কবরের জায়গা বাকী রহিয়াছে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৭৭৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা সমস্ত নবীগণের ও সমস্ত ফিরিশতাদের উপরে মুহাম্মাদ (ﷺ)কে মর্যাদা দান করিয়াছেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবু আব্বাস। (ইবনে আব্বাসের উপনাম) আল্লাহ্ ফিরিশতাদের উপরে কিভাবে তাঁহাকে ফযীলত দিয়াছেন? ইবনে আব্বাস বলিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা আকাশবাসীকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ “তাহাদের যে কেহ ইহা বলিবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া আমি ইলাহ্ বা মা'বুদ, আমি তাহাকে জাহান্নামের শাস্তি প্রদান করিব। আর আমি যালিমদিগকে অনুরূপ শাস্তি প্রদান করিয়া থাকি।” আর আল্লাহ্ পাক মুহাম্মাদ (ﷺ)কে লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় আমি আপনার জন্য বরকত ও কল্যাণের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছি। ইহা এই জন্য যে, আল্লাহ্ তা'আলা আপনার পূর্বের ও পরের সমস্ত গোনাহ্ মাফ করিয়া দেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করিলেন, নবীদের উপরে কিভাবে তাঁহাকে ফযীলত দেওয়া হইয়াছে ? জবাবে ইবনে আব্বাস বলিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলিয়াছেনঃ আমি যখনই কোন নবী প্রেরণ করিয়াছি, তাঁহাকে আপন সম্প্রদায়ের ভাষা দিয়াই পাঠাইয়াছি যেন তিনি তাহাদিগকে আল্লাহর বিধান ব্যক্ত করিতে পারেন। অতঃপর আল্লাহ্ যাহাকে চান গোম্বাহ করেন। আর আল্লাহ্ তা'আলা হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) সম্পর্কে বলিয়াছেনঃ (হে নবী মুহাম্মাদ ! ) “আমি আপনাকে গোটা মানব সমাজের জন্য রাসূল বানাইয়া পাঠাইয়াছি।” সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহাকে জ্বিন ও ইনসান উভয় সম্প্রদায়ের নিকটেই পাঠাইয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান