মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৬১৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬১৬। হযরত আবু মুসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: বেহেশতে মু'মেনদের জন্য মুক্তা দ্বারা প্রস্তুত একটি তাঁবু থাকিবে, যাহার মধ্যস্থল হইবে ফাঁকা। উহার প্রশস্ততা, অন্য রেওয়ায়তে উহার দৈর্ঘ ষাট মাইল। উহার প্রত্যেক কোণে থাকিবে তাহার পরিবার। এক কোণের লোক অপর কোণের লোককে দেখিতে পাইবে না। ঈমানদারগণ ইহাদের নিকট যাতায়াত করিবে। দুইটি বেহেশত হইবে রূপার, উহার ভিতরের পাত্র ও অন্যান্য সামগ্রী হইবে রূপার এবং অপর দুইটি বেহেশত হইবে সোনার। যাহার পাত্র ও ভিতরের সব জিনিস হইবে সোনার। আর আদন বেহেশতে বেহেশতবাসী এবং তাহাদের পরওয়ারদিগারের দর্শন লাভের মাঝখানে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের আভা ছাড়া আর কোন আড়াল থাকিবে না। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬১৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬১৭। হযরত উবাদাহ্ ইবনে সামেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। বেহেশতের স্তর হইবে একশতটি, প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝখানের ব্যবধান হইবে আসমান ও যমীনের দূরত্বের পরিমাণ। জান্নাতুল ফেরদাউসের স্তর হইবে সর্বোপরি। উহা হইতেই প্রবাহিত হয় চারটি ঝর্ণাধারা এবং উহার উপরেই রহিয়াছে মহান পরওয়ারদিগারের আরশ। সুতরাং তোমরা যখনই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করিবে, তখন ফেরদাউস জান্নাতই চাহিবে। —তিরমিযী, মেশকাত প্রণেতা বলেন, আলোচ্য হাদীসটি প্রথম পরিচ্ছেদে বর্ণিত হইলেও আমি উহাকে বুখারী, মুসলিম বা হোমাইদীর গ্রন্থে কোথায়ও খুঁজিয়া পাই নাই।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬১৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬১৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ বেহেশতে একটি বাজার আছে। বেহেশতবাসীগণ সপ্তাহের প্রত্যেক জুমআর দিন তথায় একত্রিত হইবে। তখন উত্তরা হাওয়া প্রবাহিত হইবে এবং উহা তাহাদের মুখমণ্ডলে ও কাপড়-চোপড়ে সুগন্ধি নিক্ষেপ করিবে, ফলে তাহাদের রূপ-সৌন্দর্য আরও অধিক বৃদ্ধি পাইবে। অতঃপর যখন তাহারা বর্ধিত সুগন্ধি ও সৌন্দর্য অবস্থায় নিজেদের বিবিদের কাছে যাইবে, তখন বিবিগণ তাহাদিগকে বলিবে, আল্লাহর কসম! তোমরা তো আমাদের অবর্তমানে সুগন্ধি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করিয়া ফেলিয়াছ। ইহার উত্তরে তাহারা বলিবে, আল্লাহর কসম! আমাদের অবর্তমানে তোমাদের রূপ-সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাইয়াছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬১৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬১৯। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ প্রথম যেই দল বেহেশতে প্রবেশ করিবে, পূর্ণিমা রজনীর চাদের ন্যায় (উজ্জ্বল ও সুন্দর রূপ ধারণ করিয়াই তাহারা প্রবেশ করিবে। আর তাহাদের পরবর্তী যেই দল যাইবে, তাহারা হইবে আকাশের সমুজ্জ্বল তারকার ম্যায় চমকদার, জান্নাতবাসী সকলের অন্তর এক ব্যক্তির অন্তরের ন্যায় হইবে। তাহাদের মধ্যে কোন কোন্দল থাকিবে না এবং কোন হিংসা বিদ্বেষও থাকিবে না। তাহাদের প্রত্যেকের জন্য হুরে ঈন হইতে দুই দুই জন স্ত্রী থাকিবে। সৌন্দর্যের দরুন তাহাদের হাড় ও মাংসের উপর হইতে নলার ভিতরের মজ্জা দেখা যাইবে। তাহারা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনায় রত থাকিবে। তাহারা কখনও রোগাক্রান্ত হইবে না। তাহাদের পেশাব হইবে না, পায়খানাও করিবে না, থুথু ফেলিবে না, নাক দিয়া শ্লেষ্মা করিবে না। তাহাদের পাত্রসমূহ হইবে সোনা-রূপার। আর তাহাদের চিরুনি হইবে স্বর্ণের এবং তাহাদের খুনীর জালানি হইবে আগরের, তাহাদের গায়ের ধর্ম হইবে কস্তুরীর মত (সুগন্ধি)। তাহাদের স্বভাব হইবে এক ব্যক্তির ন্যায়, শারীরিক গঠন অবয়বে হইবে তাহাদের পিতা আদম (আঃ)-এর ন্যায়; উচ্চতায় ঘাট গজ লম্বা। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২০। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : জান্নাতবাসীগণ তথায় আহার করিবে, তথায় পান করিবে কিন্তু তাহারা থুথু ফেলিবে না, মল-মূত্র ত্যাগ করিবে না এবং তাহাদের নাক হইতে শ্লেষ্মা ঝরিবে না। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, এমতাবস্থায় তাহাদের খাদ্যের পরিণতি কি হইবে? তিনি বলিলেন; ঢেকুর এবং মেশকের ন্যায় সুগন্ধি ঘাম-এর দ্বারা নিঃশেষ হইয়া যাইবে। আল্লাহর তীহ ও প্রশংসা তাহাদের অন্তরে এমনিভাবে ঢালিয়া দেওয়া হইবে যেমনি শ্বাস-নিঃশ্বাস অবিরাম চলিতেছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন যেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে, সে তথায় সুখে স্বচ্ছন্দে আয়েশের মধ্যে ডুবিয়া থাকিবে, কোন প্রকারের দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা তাহাকে পাইবে না এবং তাহার পোশাক পরিচ্ছদ ময়লা বা পুরাতন হইবে না, আর তাহার যৌবনও নিঃশেষ হইবে না। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২২
আন্তর্জতিক নংঃ ৫৬২৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২২। হযরত আবু সাঈদ ও আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: বেহেশতবাসী বেহেশতে প্রবেশ করার পর একজন ঘোষণা কারী ঘোষণা দিবেন— তোমরা হামেশা সুস্থ থাকিবে, আর কখনও রোগাক্রান্ত হইবে না। তোমরা সর্বদা জীবিত থাকিবে, আর কখনও মৃত্যুবরণ করিবে না। তোমরা হামেশা যুবক থাকিবে, আর কখনও বৃদ্ধ হইবে না এবং তোমরা সর্বদা আরাম-আয়েশে থাকিবে, আর কখনও হতাশা ও দুশ্চিন্তা তোমাদিগকে পাইবে না। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২২-[১১] ও ৫৬২৩-[১২] আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতবাসী জান্নাতে প্রবেশ করার পর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন, তোমরা সর্বদা সুস্থ থাকবে, আর কখনো রোগগ্রস্ত হবে না। তোমরা সর্বদা জীবিত থাকবে আর কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। তোমরা সর্বদা যুবক থাকবে, আর কখনো বার্ধক্যে উপনীত হবে না এবং সর্বদা আরাম-আয়েশে থাকবে, আর কখনো হতাশ ও দুশ্চিন্তা তোমাদেরকে পাবে না। (মুসলিম)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৪। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: নিশ্চয়ই জান্নাতবাসীগণ তাহাদের উর্ধ্বের বালাখানার বাসিন্দাগণকে এমনিভাবে দেখিতে পাইবে, যেমনিভাবে আকাশের পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিগন্তে তোমরা একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখিতে পাও। তাহাদের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্যের কারণে এইরূপ হইবে। সাহাবীগণ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। উহা তো হইবে আম্বিয়ায়ে কেরামদেরই স্থান, অন্যেরা তো সেইখানে পৌঁছিতে পারিবে না। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন, না, বরং সেই সত্তার কসম, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ। যেই সমস্ত লোকেরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনিবে এবং রাসূলগণের সত্যতা স্বীকার করিবে, তাহারাও সেইখানে পৌঁছিতে সক্ষম হইবে। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ এমন একদল লোক বেহেশতে প্রবেশ করিবে, যাহাদের অন্তকরণ হইবে পাখীদের অন্তরের ন্যায়। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৬। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আল্লাহ্ তা'আলা জান্নাতবাসীদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিবেন হে জান্নাতবাসীগণ! জবাবে তাহারা বলিবেন, “আমরা উপস্থিত, সৌভাগ্য তোমার নিকট হইতে অর্জিত এবং যাবতীয় কল্যাণ তোমারই হাতে।" তখন আল্লাহ্ বলিবেন: তোমরা কি সন্তুষ্ট? তাহারা উত্তরে বলিবে, কেন সন্তুষ্ট হইব না হে আমাদের রব! অথচ আপনি আমাদিগকে এমন জিনিস দান করিয়াছেন যাহা আপনার সৃষ্ট জগতের কাহাকেও দান করেন নাই। তখন আল্লাহ্ বলিবেন: আমি কি ইহা অপেক্ষাও উত্তম জিনিস তোমাদিগকে দান করিব না? তাহারা বলিবে, হে রব! ইহা অপেক্ষা উত্তম কিছু হইতে পারে? অতঃপর আল্লাহ্ বলিবেন: আমি তোমাদের উপর আমার সন্তুষ্টি দান করিতেছি, সুতরাং ইহার পর তোমাদের উপর আর কখনও আমি অসন্তুষ্ট হইব না। --মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৭। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বেহেশতে সর্বাপেক্ষা নিম্নমানের হইবে, তাহাকে বলা হইবে; তুমি তোমার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ কর। তখন সে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করিবে, আরও আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করিবে (অর্থাৎ, বারবার আকাঙ্ক্ষা করিবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিবেন, কি, তোমার আকাঙ্ক্ষা শেষ হইয়াছে? সে বলিবে, হ্যাঁ। অতঃপর আল্লাহ্ বলিবেনঃ তুমি যতটুকু আশা-আকা করিয়াছ উহা এবং উহার সমপরিমাণ (দ্বিগুণ) তোমাকে দেওয়া হইল। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৮। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন : সায়হান, জায়হান, ফোরাত ও নীল—এই সমস্ত নদীগুলি জান্নাতের নহর। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬২৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬২৯। হযরত উতবা ইবনে গাওয়ান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমাদের সম্মুখে (রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস) বর্ণনা করা হয় যে, যদি জাহান্নামের উপরের কিনারা হইতে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হয়, উহা সত্তর বৎসরেও দোযখের গভীর তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছিতে পারিবে না। আল্লাহর কসম! দোযখের এই গভীরতা (কাফের মুশরিক, জিন ও মানব দ্বারা) পরিপূর্ণ করা হইবে এবং ইহাও বর্ণনা করা হয় যে, বেহেশতের দরওয়াজার উভয় কপাটের মধ্যবর্তী জায়গা চল্লিশ বৎসরের দূরত্ব হইবে। নিশ্চয় একদিন এমন আসিবে যে, (তাহার অধিবাসী দ্বারা) উহাও ভরপুর হইয়া যাইবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬৩০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৩০। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ তা'আলা সমগ্র মাখলুককে কিসের দ্বারা তৈয়ার করিয়াছেন? তিনি বলিলেনঃ পানি দ্বারা। আবার জিজ্ঞাসা করিলাম, জান্নাতের নির্মাণ কিসের দ্বারা? তিনি বলিলেন ; এক ইট স্বর্ণের এবং এক ইট রৌপ্যের। উহার খামির বা মসল্লা হইল সুগন্ধময় কস্তুরী এবং উহার কংকর মনি-মুক্তা আর জাফরানের মাটি। যে ব্যক্তি উহাতে প্রবেশ করিবে সে সুখে-স্বচ্ছন্দে থাকিবে, কখনও হতাশা বা দুশ্চিন্তায় পতিত হইবে না। সেখানে চিরস্থায়ী থাকিবে, কখনও মরিবে না, তাহাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ময়লা-পুরানা হইবে না এবং তা তাহাদের যৌবনও শেষ হইবে না। —আহমদ, তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬৩১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৩১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বেহেশতের সকল গাছেরই কাণ্ড হইবে স্বর্ণের। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৩২। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বেহেশতের একশতটি স্তর আছে, প্রত্যেক দুই স্তরের মধ্যে শত বৎসরের দূরত্ব। —তিরমিযী, তিনি বলিয়াছেন হাদীসটি হাসান-গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬৩৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৩৩। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বেহেশতের একশত স্তর আছে। যদি সারা বিশ্বের লোক একত্রিত হইয়া উহার একটিতে সমবেত হয়, তবুও উহা সকলের জন্য যথেষ্ট হইবে। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান