মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৯৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অমুক মহিলা অধিক নামায পড়া, রোযা রাখা এবং দান-সদকা করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। তবে সে নিজের মুখের দ্বারা আপন প্রতিবেশীদিগকে কষ্ট দেয়। তিনি বলিলেনঃ সে জাহান্নামী। লোকটি পুনঃ আরজ করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। অমুক মহিলা —যাহার সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, সে কম রোযা রাখে, দান-সদকাও কম করে এবং নামাযও কম পড়ে। তাহার দানের পরিমাণ হইল পনীরের টুক্রাবিশেষ, কিন্তু সে নিজের মুখ দ্বারা আপন প্রতিবেশীদিগকে কষ্ট দেয় না। তিনি বলিলেনঃ সে জান্নাতী। – আহমদ ও বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কতিপয় উপবিষ্ট লোকদের কাছে আসিয়া দাড়াইলেন এবং বলিলেনঃ আমি কি তোমাদিগকে বলিয়া দিব না তোমাদের মধ্যে ভাল লোক কে? আর মন্দ লোক কে? রাবী বলেন, ইহা শুনিয়া তাহারা সকলে চুপ রহিল। হুযূর (ﷺ) কথাটি তিনবার বলিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল জি-হ্যাঁ, বলুন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের ভালকে মন্দ হইতে পৃথক করিয়া বলিয়া দিন। তখন তিনি বলিলেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই ভাল যাহার নিকট হইতে ভালর আশা করা যায় এবং যাহার মন্দ আচরণ হইতে নিরাপদে থাকা যায়। আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই মন্দ যাহার নিকট হইতে ভালর আশা করা যায় না এবং যাহার অনিষ্ট হইতে নিরাপদে থাকা যায় না। —তিরমিযী ও বায়হাকী শোআবুল ঈমানে। এবং তিরমিযী বলিয়াছেন এই হাদীসটি হাসান ছহীহ্ ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৪। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা যেইভাবে তোমাদের মধ্যে তোমাদের রি বন্টন করি য়াছেন, অনুরূপভাবে তোমাদের চরিত্রও তোমাদের মধ্যে বন্টন করিয়াছেন। আল্লাহ্ তা'আলা যাহাকে ভালবাসেন এবং যাহাকে তিনি ভালবাসেন না, উভয়কেই 'দুনিয়া' দান করেন, কিন্তু দ্বীন শুধু ঐ ব্যক্তিকেই দান করেন যাহাকে তিনি ভালবাসেন। সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা যাহাকে দ্বীন দান করিয়াছেন তাহাকে ভালবাসিয়াছেন। সেই সত্তার কসম! যাঁহার হাতে আমার প্রাণ! কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হইবে না যে পর্যন্ত না তাহার অন্তর ও মুখ মুসলমান হইবে এবং কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হইবে না, যে পর্যন্ত না তাহার প্রতিবেশী তাহার অনিষ্ট হইতে নিরাপদ হইবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মুমিন সবার আপন হয়, (সে অন্তরঙ্গ হয় এবং তার সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া যায়।) যে অন্তরঙ্গ হয় না এবং যার সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া যায় না, তার মাঝে কোনো কল্যাণ নেই। —হাদীস দুইটি আহমদ ও বায়হাকী শো' আবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কাহারও অভাব পূরণ করিবে, ইহাতে তাহার উদ্দেশ্য হইল সে ঐ ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করিবে, প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই সন্তুষ্ট করিল। আর যে ব্যক্তি আমাকে সন্তুষ্ট করিল, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকেই সন্তুষ্ট করিল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করিল, আল্লাহ্ তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৭। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মাযলুমের ফরিয়াদে সাহায্য করিবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য তিহাত্তরটি (৭৩) মাগফিরাত লিপিবদ্ধ করিবেন। তন্মধ্যে একটি মাগফিরাত হইল তাহার সমুদয় বিষয়ের সংশোধন; আর বাহাত্তরটি হইল কিয়ামতের দিন তাহার মর্যাদা বৃদ্ধির উপকরণ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৮
আন্তর্জতিক নংঃ ৪৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৮। হযরত আনাস ও আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সমস্ত মাখলুক আল্লাহ্ তা'আলার পরিবার। সুতরাং মাখলুকের মধ্যে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সে-ই সর্বাপেক্ষা প্রিয়, যে আল্লাহর পরিবারের সহিত সদ্ব্যবহার করে। —হাদীস তিনটি বায়হাকী শো আবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৯৯-[৫৩] দেখুন পূর্বের হাদীস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫০০০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৫০০০। হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ঝগড়াটে দুই প্রতিবেশীর মকদ্দমা পেশ হইবে। —আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫০০১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৫০০১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া নিজের হৃদয়ের কাঠিন্য সম্পর্কে অভিযোগ করিল। তিনি বলিলেনঃ ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলাও এবং মিসকীনকে খানা খাওয়াও। —আহ্মদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫০০২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৫০০২। হযরত সুরাকা ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি কি তোমাদিগকে উত্তম সদকা সম্পর্কে অবগত করিব না? (উহা হইল) তোমার ঐ কন্যার প্রতি সদকা করা, যাহাকে তোমার দিকে ফিরাইয়া দেওয়া হইয়াছে। তুমি ব্যতীত তাহার উপার্জনকারী আর কেহ নাই। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫০০৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তাআলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা
৫০০৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ রূহ বা আত্মাসমূহ (মানব দেহে প্রবেশের পূর্বে আলমে আরওয়াহে) সেনাবাহিনীর ন্যায় সমবেত ছিল, তখন যাহারা পরস্পর পরিচিত ও অন্তরং্গ ছিল (মানবদেহে প্রবেশের পরও) তাহারা পরস্পরে পরিচিত ও বন্ধুত্ব বন্ধনে আব্দ্ধ। আর যেইগুলি সেই আদিকালে পরস্পরে অপরিচিত ছিল উহারা (মানবদেহে প্রবেশের পরও) পরস্পরে মতানৈক্য ও অপরিচিত রহিয়া গিয়াছে। —বুখারী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫০০৪

পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তাআলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা
৫০০৪। ইমাম মুসলিম (রহিমাহুল্লাহ) এ হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান