মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৪৯২১
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন 'রেহম' আল্লাহর আরশের সাথে ঝুলন্ত রহিয়াছে এবং উহা বলে, যে আমাকে নিজের সাথে মিলাইবে আল্লাহও তাহাকে মিলাইবেন। আর যে আমাকে ছিন্ন করিবে আল্লাহও তাহাকে ছিন্ন করিবেন। — মোত্তাঃ
كتاب الآداب
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الرَّحِمُ مُعَلَّقَةٌ بِالْعَرْشِ تَقُولُ: مَنْ وَصَلَنِي وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَنِي قَطَعَهُ الله . مُتَّفق عَلَيْهِ
হাদীস নং: ৪৯২২
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২২। হযরত জুবাইর ইবনে মুতয়িম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করিবে না। – মোত্তাঃ
كتاب الآداب
وَعَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ» . مُتَّفِقٌ عَلَيْهِ
হাদীস নং: ৪৯২৩
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ সেই ব্যক্তি আত্মীয়তা রক্ষাকারী নহে, যে শুধু বিনিময়ে উহা পালন করে। বরং সেই ব্যক্তিই আত্মীয়তা রক্ষাকারী যাহার সহিত উহা ছিন্ন করার পর সে উহা পুনঃস্থাপন করে। —বুখারী
كتاب الآداب
وَعَنِ

ابْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَيْسَ الواصِلُ بالمكافىء

وَلَكِنَّ الْوَاصِلَ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীস নং: ৪৯২৪
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার এমন কতিপয় আত্মীয়-স্বজন আছে আমি তাহাদের সাথে সদাচরণ করি ; কিন্তু তাহারা আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাহাদের সাথে সদ্ব্যবহার করি, অথচ তাহারা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। আমি তাহাদের ব্যবহারে ধৈর্যধারণ করি; কিন্তু তাহারা আমার সাথে মূর্খতা প্রদর্শন করে। উত্তরে হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তুমি যেইরূপ বলিলে, যদি তুমি এইরূপ আচরণই করিয়া থাক, তবে তুমি যেন তাহাদের মুখের উপর গরম ছাই নিক্ষেপ করিতেছ। আর তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত এই নীতির উপর বহাল থাকিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হইতে তোমার সাথে একজন সাহায্যকারী থাকিবেন যিনি তাহাদের ক্ষতিকে প্রতিরোধ করিবেন। —মুসলিম
كتاب الآداب
وَعَنْ

أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لي قَرَابةَ أصلهم ويقطعوني وَأحسن إِلَيْهِم ويسيؤون إِلَيّ وأحلم عَلَيْهِم وَيَجْهَلُونَ عَلَيَّ. فَقَالَ: «لَئِنْ كُنْتَ كَمَا قُلْتَ فَكَأَنَّمَا تُسِفُّهُمُ الْمَلَّ وَلَا يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৪৯২৫
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৫। হযরত সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দো'আ ব্যতীত অন্য কিছুই তকদীরকে ফিরাইতে পারে না। পুণ্য ব্যতীত অন্য কিছুই আয়ুকে বাড়াইতে পারে না, আর কৃত পাপই মানুষকে জীবিকা হইতে বঞ্চিত করে। —ইবনে মাজাহ্
كتاب الآداب
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ ثَوْبَانَ

قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرُدُّ الْقَدَرَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلَّا الْبِرُّ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُحْرَمُ الرِّزْقَ بِالذَّنْبِ يُصِيبُهُ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ
হাদীস নং: ৪৯২৬
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি জান্নাতে প্রবেশ করিলাম এবং তথায় কুরআন তেলাওয়াত শুনিতে পাইলাম । তখন জিজ্ঞাসা করিলামঃ এই ব্যক্তি কে? (ফিরিশতাগণ) বলিলেন, হারেসা ইবনে নো'মান (রাঃ)। তোমাদের পুণ্যের প্রতিদান এইরূপই। তোমাদের পুণ্যের প্রতিদান এইরূপই। সে তাহার মায়ের সাথে সর্বাপেক্ষা উত্তম আচরণ করিত। —শরহে সুন্নাহ্, বায়হাকী। অপর এক বর্ণনায় আমি জান্নাতে প্রবেশ করিলাম'-এর স্থলে 'আমি ঘুমাইয়াছিলাম এবং নিজেকে বেহেশতে দেখিলাম' আছে।
كتاب الآداب
وَعَنْ عَائِشَةَ

قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَسَمِعْتُ فِيهَا قِرَاءَةً فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: حَارِثَةُ بْنُ النُّعْمَانِ كَذَلِكُمُ الْبِرُّ كَذَلِكُمُ الْبِرُّ «. وَكَانَ أَبَرَّ النَّاسِ بِأُمِّهِ. رَوَاهُ فِي» شَرْحِ السُّنَّةِ «. وَالْبَيْهَقِيُّ فِي» شعب الْإِيمَان

وَفِي رِوَايَة: قَالَ: «نِمْتُ فرأيتني فِي الْجنَّة» بدل «دخلت الْجنَّة»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৯২৭
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মাতা-পিতার সন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং মাতা-পিতার অসন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি নিহিত। —তিরমিযী
كتاب الآداب
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رِضَا الرَّبِّ فِي رِضَا الْوَالِدِ وَسَخَطُ الرَّبِّ فِي سَخَطِ الْوَالِدِ ". رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৯২৮
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৮। হযরত আবুদদারদা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁহার নিকট আসিয়া বলিল, আমার স্ত্রী আছে আর আমার মা আমাকে আদেশ করেন যে, আমি তাহাকে তালাক দিয়া দেই। তখন আবুদ্দারদা বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, মাতা-পিতা হইলেন বেহেশতের দরজাসমূহের মধ্যবর্তী দরজা। এখন তোমার ইচ্ছা, দরজাটিকে রক্ষা কর অথবা উহাকে নষ্ট কর। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الآداب
وَعَن أبي

الدَّرْدَاء أَنَّ رَجُلًا أَتَاهُ فَقَالَ: إِنَّ لِي امْرَأَةً وَإِن لي أُمِّي تَأْمُرُنِي بِطَلَاقِهَا؟ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَالِدُ أَوْسَطُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ فَإِنْ شِئْتَ فَحَافِظْ عَلَى الْبَابِ أَوْ ضَيِّعْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَه
হাদীস নং: ৪৯২৯
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২৯। হযরত বাহয ইবনে হাকীম তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আরয করিলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কাহার সহিত সর্বাধিক উত্তম আচরণ করিব? তিনি বলিলেনঃ তোমার মায়ের সহিত। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলাম; তারপর কাহার সহিত ? তিনি বলিলেনঃ তোমার মায়ের সহিত। আমি আবারও জিজ্ঞাসা করিলাম, তারপর কাহার সহিত? এই (তৃতীয়)-বারও তিনি বলিলেনঃ তোমার মায়ের সহিত। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলাম, তারপর কাহার সহিত ? তিনি বলিলেনঃ তোমার পিতার সহিত। অতঃপর পর্যায়ক্রমে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সহিত। – তিরমিযী ও আবু দাউদ
كتاب الآداب
وَعَنْ

بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جدَّه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: «أُمَّكَ» قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمَّكَ» قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمَّكَ» قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أَبَاكَ ثُمَّ الْأَقْرَبَ فَالْأَقْرَبَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৪৯৩০
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯৩০। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, মহান কল্যাণময় আল্লাহ্ তা'আলা বলিয়াছেনঃ আমি আল্লাহ্, আমি রহমান, রেহমকে আমিই সৃষ্টি করিয়াছি। আর ‘রেম' শব্দটি আমি আমার (রহমান) নাম হইতে নিঃসৃত করিয়াছি। সুতরাং যে ব্যক্তি আত্মীয়তাকে সংযোজিত করিবে, আমি তাহাকে (আমার রহমতের সাথে) সংযোজিত করিব। আর যে উহাকে ছিন্ন করিবে, আমিও তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিব। –আবু দাউদ
كتاب الآداب
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: قَالَ الله تبَارك: أَنَا اللَّهُ وَأَنَا الرَّحْمَنُ خَلَقْتُ الرَّحِمَ وَشَقَقْتُ لَهَا مِنِ اسْمِي فَمَنْ وَصَلَهَا وَصَلْتُهُ وَمَنْ قطعهَا بتته . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد