মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৪১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪১৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঋতুমতি অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাথা আঁচড়াইয়া দিতাম। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২০

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: পাঁচটি জিনিসই ফিতরাত। (১) খতনা করা, (২) নাভির নিম্নের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, (৩) গোঁফ কাটা, (৪) নখ কাটা, ও (৫) বগলের লোম উপড়াইয়া ফেলা। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২১

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্, ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন (দাড়ি গোঁফের ব্যাপারে) তোমরা মুশরিক কাফেরদের বিপরীত কর। অর্থাৎ, দাড়ি বাড়াও এবং গোফ খাট করো। অপর এক বর্ণনায় আছে, গোঁফ ছাটিয়া লও এবং দাড়ি লম্বা কর। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২২। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হইয়াছে গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়াইয়া ফেলা আর নাভির নীচের লোম মুড়ানোর ব্যাপারে যেন আমরা চল্লিশ দিনের অধিক ছাড়িয়া না রাখি। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ ইয়াহুদী এবং নাসারাগণ দাড়ি চুলে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা তাহাদের বিপরীত কর। (অর্থাৎ, খেযাব লাগাও।) — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৪। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন (হযরত আবু বকর ছিদ্দীক [রাঃ]-এর পিতা) আবু কোহাফাকে (মুসলমান বানানোর জন্য) নবী (ছাঃ)-এর সম্মুখে উপস্থিত করা হইল। সেই সময় তাহার মাথার চুল ও দাড়ি সুগামার (কাশফুলের মত একেবারে সাদা ছিল। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন : কোন কিছুর দ্বারা তাহার চুল দাড়ির শুভ্রতাকে পরিবর্তন করিয়া দাও। তবে কালো রং ব্যবহার করিও না। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে সমস্ত ব্যাপারে কোন নির্দেশ (বা ওহী নাযিল হয় নাই, সে সব বিষয়ে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে কিতাবদের সাথে সামঞ্জস্য স্থাপন করাকে পছন্দ করিতেন। তৎকালের আহলে কিতাবগণ তাহাদের মাথার চুলকে সোজা ছাড়িয়া রাখিত (সিথা কাটিত না।) আর মুশরিকরা সিথা কাটিয়া চুলগুলিকে দুই ভাগ করিত। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সিথা না কাটিয়া) এমনিই সোজাসুজি পিছনের দিকে ঝুলাইয়া রাখিতেন। অবশ্য পরে তিনি সিথা কাটিয়াছেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৬। নাফে' হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাযা' হইতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি।নাফে'কে জিজ্ঞাসা করা হইল, কাযা' কি? তিনি বলিলেন, বালকদের মাথার চুল কতেক মুড়াইয়া ফেলা এবং কিছু চুল রাখিয়া দেওয়া। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি ছেলেকে দেখিতে পাইলেন, যাহার মাথার চুলের কিছু অংশ মুড়ানো হইয়াছে আর কিছু অংশ রাখিয়া দেওয়া হইয়াছে। তখন তিনি তাহাদিগকে এইরূপ করিতে নিষেধ করিলেন এবং বলিলেন পুরা মাথা মুড়াইয়া ফেল অথবা পুরা মাথায় চুল রাখিয়া দাও। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম, নারী সাদৃশ্যতা গ্রহণকারী পুরুষ এবং পুরুষ সাদৃশ্যতা গ্রহণকারিণী নারীদের উপর অভিসম্পাত করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন তাহাদিগকে তোমাদের ঘর হইতে বাহির করিয়া দাও। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আল্লাহর লা'নত সেই পুরুষদের উপর যাহারা নারী সাদৃশ্যতা ধারণ করে এবং সেই সকল নারীদের উপর যাহারা পুরুষ সাদৃশ্যতা ধারণ করে।বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই নারীর উপর আল্লাহর লা'নত যে অন্য নারীর মাথায় কৃত্রিম চুল মিশ্রিত করে কিংবা নিজ মাথায় কৃত্রিম চুল মিশ্রিত করায় এবং যে অন্যের গাত্রে উল্কি করে অথবা নিজের গাত্রে উল্কি করায়। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩১

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা লা'নত করেন এমন সব নারীর উপর যাহারা অপরের অঙ্গে উল্কি করে এবং নিজের অঙ্গেও করায়, যাহারা (কপাল বা ভ্রূর) চুল উপড়াইয়া ফেলে এবং যাহারা সৌন্দর্যের জন্য দাত সরু ও উহার ফাঁক বড় করে যাহারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলাইয়া দেয়। এ সময় জনৈকা মহিলা ইবনে মাসউদের নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আমি শুনিতে পাইলাম, আপনি নাকি এমন এমন নারীদের উপর লা'নত করিয়াছেন? উত্তরে তিনি বলিলেন, আমি কেন তাহাদের উপর লা'নত করিব না, যাহাদের উপর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা'নত করিয়াছেন ? আর যাহা আল্লাহর কিতাবেও রহিয়াছে। (অর্থাৎ, তাহাদের উপর লা'নত করা হইয়াছে।) মহিলাটি বলিল, আমি তো সারাটি কোরআন পড়িয়াছি; কিন্তু উহার মধ্যে কোথাও তো উহা পাইলাম না, যাহা আপনি বলিতেছেন। তখন ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলিলেন, যদি তুমি কোরআন (মনোযোগ দিয়া) পড়িতে, তাহা হইলে তুমি অবশ্যই উহা পাইতে। আচ্ছা, তুমি কি ইহা পড় مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا নাই ? অর্থ, রাসূল তোমাদিগকে যাহাকিছু দেন তাহা তোমরা আড়াইয়া ধর, আর যাহা হইতে নিষেধ করেন, তাহা হইতে বিরত থাক। ইহা শুনিয়া মহিলাটি বলিল, হ্যাঁ, ইহা তো পড়িয়াছি। তখন ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলিলেন, আল্লাহর রাসূল এই সমস্ত কাজ হইতেও নিষেধ করিয়াছেন। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : বদ-নজর লাগা সত্য এবং তিনি অঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। —–বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চুল পরিপাটি করা অবস্থায় দেখিয়াছি। — বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩৪। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদিগকে জাফরানী রং (শরীরে অথবা পরিধেয় কাপড়ে) ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বোত্তম খোশবু যাহা আমি পাইতাম, তাহা আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গায়ে লাগাইতাম। এমন কি আমি তাহার মাথায় ও দাড়িতে খোশবুর চমক দেখিতে পাইতাম। – মোত্তাঃ -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৩৬। নাফে (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত ইবনে ওমর ([রাঃ] ঘরের মধ্যে) ধুনি ব্যবহার করিতেন, তখন খোশবুদার কাঠের (চন্দন, আগর ইত্যাদি) অবিমিশ্র ধুনি জ্বালাইতেন আর কখনো উহার সহিত কর্পূর ঢালিয়া দিতেন এবং বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এইভাবে ধুনি ব্যবহার করিতেন। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান