মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪২৩৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৬। হযরত মুগীরা ইবনে শো'বা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে (জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে) মেহমান হইলাম। তিনি লোকটিকে বকরীর পাজরের গোশত তৈয়ার করিতে বলিলেন, উহা ভুনা হইল । অতঃপর তিনি ছুরি লইয়া ঐ স্থান হইতে গোশত কাটিয়া আমাকে দিতে লাগিলেন। এমন সময় বেলাল (রাঃ) আসিয়া তাহাকে নামাযের সংবাদ দিলেন। তিনি (বিরক্তির সাথে) ছুরিখানা ফেলিয়া দিলেন এবং বলিলেনঃ তাহার কি হইল ? তাহার হস্তদ্বয়ে মাটি লাগুক। মুগীরা বলেন, তাহার গোঁফ বেশ লম্বা হইয়া গিয়াছিল, তখন তিনি আমাকে বলিলেনঃ আমি তোমার গোঁফ মিসওয়াকে রাখিয়া কাটিয়া দিব। অথবা বলিলেন, উহা মিসওয়াকে রাখিয়া কাটিয়া লও। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৩৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৭। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে কোন খাবার মজলিসে উপস্থিত হইতাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুরু করিয়া উহাতে হাত না রাখা পর্যন্ত আমরা আমাদের হাত রাখিতাম না। একবার আমরা তাঁহার সঙ্গে এক খাওয়াতে উপস্থিত ছিলাম। সেই সময় একটি মেয়ে আসিল যেন তাহাকে তাড়াইয়া আনা হইয়াছে এবং সে খাদ্যের মধ্যে হাত রাখিতে উদ্যত হইল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহার হাত ধরিয়া ফেলিলেন। অতঃপর এক বেদুঈন আসিল। তাহাকেও যেন কে তাড়াইয়া আনিয়াছে। তিনি তাহার হাতও ধরিয়া ফেলিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ নিশ্চয় শয়তান তখনই খানাকে হালাল মনে করে, যখন উহাতে আল্লাহর নাম লওয়া না হয়। তাই সে (প্রথমে) ঐ মেয়েটিকে লইয়া আসিয়াছিল, যেন উহার দ্বারা (খানাটি নিজের জন্য) হালাল করিতে পারে। তাই আমি উহার হাত ধরিয়া ফেলিলাম। পরে সে ঐ বেদুঈনকে লইয়া আসিয়া (খাদ্যটি নিজের জন্য) হালাল করিতে চাহিয়াছিল। তাই আমি তাহার হাতও ধরিয়া ফেলিলাম। সেই সত্তার কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ, ঐ মেয়েটির হাতের সাথে শয়তানের হাতটিও আমার মুঠাতে রহিয়াছে। অন্য আরেক রেওয়ায়তে বর্ধিত আছে, অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহ্ পড়িয়া খানা খাইলেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৩৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি গোলাম খরিদ করিতে ইচ্ছা করিলেন, তখন তিনি তাহার সম্মুখে কিছু খেজুর ঢালিয়া দিলেন। সে অধিক পরিমাণে খাইয়া ফেলিল। (ইহা দেখিয়া) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ বেশী খাওয়া অশুভ (অকল্যাণকর)। অতএব, গোলামকে ফেরৎ দিতে নির্দেশ দিলেন। — বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৩৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৯। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের প্রধান সালন হইল লবণ। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৪০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৪০। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন খানা হাযির করা হয়, তখন তোমরা জুতা খুলিয়া লও। কেননা, ইহাতে পায়ের প্রশান্তি রহিয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৪১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৪১। হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, যখনই তাহার নিকট সারীদ আনা হইত, তখন উহার ধোঁয়ার গরম বাষ্প নিঃশেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি উহাকে ঢাকিয়া রাখিতে আদেশ করিতেন এবং তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, ইহাতে বিরাট বরকত রহিয়াছে। — দারেমী হাদীস দুইটি বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৪২

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৪২। হযরত নোবায়শা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন পাত্রে খায় এবং পরে উহা চাটিয়া লয়, তখন পাত্রটি তাহাকে (লক্ষ্য করিয়া) বলে; আল্লাহ্ তোমাকে জাহান্নামের আগুন হইতে মুক্ত রাখুন, যেমন তুমি আমাকে শয়তান হইতে মুক্ত রাখিয়াছ। —রাযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান