মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪২১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২১৮। হযরত নোবায়শা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পেয়ালাতে খায় এবং পরে উহা চাটিয়া লয়, পাত্রটি তাহার জন্য মাগফিরাত কামনা করে। – আহমদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২১৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় রাত্রি যাপন করে যে, তাহার হাতের মধ্যে খাদ্যের চিহ্ন (তেল, চর্বি ইত্যাদি) থাকিয়া যায়, সে উহা ধৌত করে নাই। পরে কোন কিছু তাহার অনিষ্ট করে, তবে সে যেন নিজেকেই দোষারোপ করে । —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে রুটির সারীদ এবং হায়সের সারীদ ছিল প্রিয় খাদ্য। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২১। হযরত আবু উসায়দ আনসারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং উহা গায়ে মালিশ কর। কারণ উহা হইল একটি কল্যাণময় বৃক্ষ হইতে (নির্গত)। —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২২। হযরত উম্মে হানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ) আমার কাছে আসিয়া বলিলেনঃ তোমার নিকট খাওয়ার কিছু আছে কি ? আমি বলিলাম, শুকনা রুটি ও সিরকা ব্যতীত কিছুই নাই। তিনি বলিলেন, উহাই লও। বস্তুত যেই ঘরে সিরকা আছে, সেই ঘর সালনশূন্য নহে। – তিরমিযী, এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৩। হযরত ইউসুফ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, একবার আমি নবী (ﷺ)কে দেখিয়াছি, তিনি এক টুকরা যবের রুটি লইয়া উহার উপরে খেজুর রাখিয়া বলিলেনঃ ইহা (খেজুর) উহার (রুটির) সালন। এবং (এই বলিয়া) উহা খাইলেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৪। হযরত সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আমি মারাত্মকভাবে পীড়িত হইয়া পড়িলাম। নবী (ﷺ) আমার খোঁজখবর লইতে তাশরীফ আনিলেন। তিনি নিজের হাতখানা আমার দুই স্তনের মাঝখানে ( বুকের উপর) রাখিলেন। তাহাতে আমি আমার কলিজায় শীতলতা অনুভব করিলাম। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ তুমি একজন হৃদ-বেদনার রোগী। সুতরাং তুমি সকীফ গোত্রীয় হারেস ইবনে কালদার নিকট যাও। সে একজন চিকিৎসক। (পরে তিনি বলিলেন) সে যেন অবশ্যই মদীনার সাতটি আজওয়া খেজুর বীচিসহ পিষিয়া তোমার মুখের মধ্যে ঢালিয়া দেয়। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) তাজা পাকা খেজুর দ্বারা খরবুজা খাইতেন। – তিরমিযী, আর আবু দাউদ এই কথাটি বর্ধিত করিয়াছেন—এবং তিনি বলিতেন, ইহার (খরবুজার) শীতলতা উহার (খেজুরের) উষ্ণতা এবং উহার উষ্ণতা ইহার শীতলতা সংশোধন করিয়া দেয়। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ)-এর খেদমতে পুরাতন খেজুর পেশ করা হইল। তিনি উহা খুঁটিতে এবং উহা হইতে পোকা বাহির করিতে লাগিলেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তবুকের যুদ্ধের সময় নবী (ﷺ)-এর জন্য এক টুকরা পনির আনা হইল। তখন তিনি ছুরি আনাইলেন এবং বিসমিল্লাহ্ বলিয়া কাটিলেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৮। হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ঘি, পনির ও বন্য গাধা (খাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল । তিনি বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার কিতাবে যাহাকিছু হালাল বলিয়াছেন উহাই হালাল এবং তাঁহার কিতাবে যাহাকিছু হারাম বলিয়াছেন, উহা হারাম। আর যাহা হইতে নীরব রহিয়াছেন তাহা মার্জনীয়। — ইবনে মাজাহ্ ও তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব। তবে অধিক সহীহ্ কথা হইল, উহা মউকুফ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২২৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঘি-দুধে মিশ্রিত চুপসা ভিজা ধবধবে সাদা উত্তম গমের আটার তৈয়ারী রুটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই কথা শুনিয়া জনতার মধ্য হইতে এক ব্যক্তি উঠিয়া দাঁড়াইল এবং (হুযূর [ﷺ]-এর আকাঙ্ক্ষানুযায়ী) রুটি তৈয়ার করিয়া তাঁহার খেদমতে লইয়া আসিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, (যে ঘি দ্বারা রুটি প্রস্তুত করা হইয়াছে, উহা কেমন ধরনের পাত্রে রাখা ছিল? সে বলিল, গেবই সাপের চামড়ার থলির মধ্যে। তখন তিনি বলিলেন, (আমার সন্মুখ হইতে) ইহা তুলিয়া নাও। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ এবং আবু দাউদ বলিয়াছেন, হাদীসটি মুনকার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩০। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রান্না করা ব্যতীত রসুন খাইতে নিষেধ করিয়াছেন। — তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩১। হযরত আবু যিয়াদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে পিয়াজ (খাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল। তিনি বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সর্বশেষ খানা যাহা খাইয়াছেন, তন্মধ্যে পিয়াজ ছিল। — আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩২। সোলামী গোত্রীয় বুরের দুই পুত্র বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের কাছে আসিলেন, তখন আমরা মাখন ও খেজুর তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত করিলাম। আসলে তিনি মাখন ও খেজুর (খাইতে) বেশী পছন্দ করিতেন। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৩। হযরত ইকরাশ ইবনে যুয়াইব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমাদের সম্মুখে বৃহদাকারের একটি খাদ্যপাত্র আনা হইল। পাত্রটি ছিল সারীদ ও গোশতের টুকরাবিশিষ্ট। আমি আমার হাত দিয়া পাত্রের চার পাশ হইতে লইতে লাগিলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের সম্মুখ হইতে খাইতেছিলেন। এমন সময় তিনি বাম হাত দ্বারা আমার ডান হাত ধরিয়া ফেলিলেন, এবং বলিলেনঃ হে ইক্রাশ! এক জায়গা হইতে খাও, কেননা, ইহা এক প্রকারের খাদ্য। (বর্ণনাকারী ইকরাশ বলেন,) অতঃপর আমাদের সম্মুখে একখানি থালা আনা হইল। তন্মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রকারের খেজুর। তখন আমি কেবলমাত্র আমার সম্মুখ হইতে খাইতে লাগিলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাত গোটা থালার মধ্যেই ঘুরিতেছিল। তখন তিনি বলিলেন, হে ইকরাশ! থালার যেই জায়গা হইতে ইচ্ছা হয় খাও, কেননা, ইহা এক প্রকারের নহে। অতঃপর আমাদের জন্য পানি আনা হইল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের উভয় হাত ধুলেন এবং ভিজা হাত দ্বারা মুখমণ্ডল, বাহুদ্বয় ও মাথা মুছিয়া নিলেন এবং বলিলেন, হে ইকরাশ! ইহা হইল সেই খাদ্যের ওযূ যাহাকে আগুন পরিবর্তন করিয়া দিয়াছে। (অর্থাৎ, রান্না করা হইয়াছে।) —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরিবারস্থ কাহারো জ্বর হইলে তিনি হাসা প্রস্তুত করিতে বলিতেন এবং উহা চাটিয়া খাইতে নির্দেশ দিতেন। তিনি বলিতেনঃ ইহা চিন্তাযুক্ত মনকে সুদৃঢ় করে এবং পীড়িতের অন্তর হইতে রোগের ক্লেশকে দূর করে, যেমন তোমাদের নারীদের কেহ পানি দ্বারা নিজের মুখমণ্ডল হইতে ময়লা দূর করিয়া থাকে। – তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৩৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আজওয়া বেহেশতের ফল, উহার মধ্যে বিষ প্রতিষেধকতা রহিয়াছে। আর ব্যাঙের ছাতা মান্ন জাতীয়, উহার পানি চক্ষু রোগের জন্য উপশম। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৪৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের ইজ্জত করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তাহার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই ভাল কথা বলে, নতুবা যেন চুপ থাকে। অপর এক রেওয়ায়তে 'প্রতিবেশীর স্থলে রহিয়াছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই আত্মীয়ের হক আদায় করে। -মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৪। হযরত আবু শুরাইহ্ আলকা'বী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তাহার অতিথির সম্মান করে। অতিথির জন্য উত্তম খানাপিনার ব্যবস্থা করা চাই এক দিন ও এক রাত। আর (সাধারণভাবে) আতিথেয়তা হইল তিন দিন। ইহার পর যাহা করিবে তাহা হইবে সদকা। আর মেহমানের জন্য জায়েয নহে এত সময় মেযবানের গৃহে অবস্থান করা যাহাতে তাহার কষ্ট হয়। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান