মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪১৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬০। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করিয়া লয়, যদি না উহাতে বিসমিল্লাহ্ বলা হয়। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : যখন কোন ব্যক্তি গৃহে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে ও খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (তাহার অনুসারীদিগকে) বলে, এই ঘরে তোমাদের জন্য রাত্রি যাপনের সুযোগ নাই এবং খাদ্যও পাওয়া যাইবে না। (সুতরাং চল এই স্থান ত্যাগ করি।) আর যখন সে (ঘরে) প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহ্র নাম লয় না, তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত্রি যাপনের স্থান পাইয়াছ। আর যখন সে খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম লয় না তখন সে বলে, তোমরা রাত্রি যাপন ও খাওয়া উভয়টির সুযোগ লাভ করিয়াছ। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহ যখন কিছু খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায়। আর যখন পান করে তখন যেন ডান হাতে পান করে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: সাবধান! তোমাদের কেহই যেন বাম হাতে না খায় এবং সেই (বাম) হাতে পানও না করে। কেননা, শয়তান তাহার বাম হাতে খায় এবং সেই হাতে পানও করে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৪। হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন আঙ্গুলে খানা খাইতেন এবং হাত মোছার পূর্বে উহা চাটিয়া নিতেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৫। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খাওয়ার শেষে) অঙ্গুলীসমূহ ও খাদ্যপাত্র চাটিয়া খাইতে নির্দেশ দিয়াছেন এবং বলিয়াছেন: খাদ্যের কোন অংশটির মধ্যে বরকত রহিয়াছে নিশ্চয়ই তোমরা তাহা অবগত নও। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন তোমাদের কেহ কিছু খায়, তখন সে যেন (অঙ্গুলী) চাটিয়া খাওয়া অথবা অন্যের দ্বারা উহা চাটাইয়া নেওয়া পর্যন্ত হাত না মুছিয়া ফেলে। – মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৭। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন তোমাদের কাহারও প্রতিটি কাজের সময় শয়তান তাহার পাশে উপস্থিত হয়, এমন কি তাহার খাওয়ার সময়ও তাহার নিকট উপস্থিত হয়। সুতরাং যদি তোমাদের কাহারও লোকমা পড়িয়া যায়, সে যেন উহা তুলিয়া ময়লা পরিষ্কার করিয়া উহা খাইয়া লয় এবং শয়তানের জন্য উহা ছাড়িয়া না দেয়। আর খাওয়া শেষে যেন অঙ্গুলী চাটিয়া লয়। কেননা, সে জানে না যে, তাহার খাদ্যের কোন অংশে বরকত রহিয়াছে। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৮। হযরত আবু জোহায়ফা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমি হেলান দিয়া খাই না। (হেলান দিয়া খাওয়া অহংকারীদের আচরণ, তাই নবী (ছাঃ] ইহা পছন্দ করিতেন না। ) - বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৬৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৬৯। কাতাদাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হযরত আনাস (রাঃ) বলিয়াছেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও টেবিলে রাখিয়া আহার করেন নাই এবং ছোট ছোট পেয়ালাবিশিষ্ট খাঞ্চায়ও খানা খান নাই। আর তাহার জন্য কখনও চাপাতি রুটিও তৈয়ার করা হয় নাই। কাতাদাহকে জিজ্ঞাসা করা হইল, তবে তাহারা কিভাবে খাইতেন? তিনি বলিলেন, সাধারণ দস্তরখান বিছাইয়া আহার করিতেন। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭০
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সহিত মিলিত হওয়া পর্যন্ত পাতলা রুটি দেখিয়াছেন বলিয়া আমার জানা নাই আর না তিনি কখনও স্বচক্ষে ভুনা বকরী দেখিয়াছেন। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭১। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা যখন হইতে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করিয়াছেন, তখন হইতে ওফাত পর্যন্ত তিনি কখনও ময়দা দেখেন নাই। তিনি আরও বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত কখনও চালনি দেখেন নাই। তখন সাহালকে জিজ্ঞাসা করা হইল, না চালিয়া আপনারা যব কিভাবে খাইতেন। তিনি বলিলেন, আমরা উহাকে পিষিয়া নিতাম এবং উহাতে ফুঁ দিতাম, ফলে যাহা উড়িয়া যাওয়ার তাহা উড়িয়া যাইত। আর যাহা অবশিষ্ট থাকিত আমরা উহা মথিয়া লইতাম এবং ইহার পর উহা খাইতাম। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭২
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও কোন খাদ্যের দোষ প্রকাশ করেন নাই। অবশ্য মনে চাহিলে খাইয়াছেন। আর অপছন্দ হইলে পরিত্যাগ করিয়াছেন। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি অধিক পরিমাণে খানা খাইত, পরে সে ইসলাম গ্রহণ করিল। তখন সে অল্প খাইতে লাগিল। ব্যাপারটি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানাইলে তিনি বলিলেন: মু'মিন খায় এক পাকস্থলীতে আর কাফের খায় সাত পাকস্থলীতে। বুখারী,

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৪। ইমাম মুসলিম আবু মুসা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতে শুধুমাত্র রসূলুল্লাহ (ﷺ) বর্ণিত বাণীটিই (অর্থাৎ- اِنَّ الْمُؤْ مِنَ يَأْكُلُ.....) বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৫। ইমাম মুসলিম আবু মুসা ও ইবনু উমার (রাঃ) হতে শুধুমাত্র রসূলুল্লাহ (ﷺ) বর্ণিত বাণীটিই (অর্থাৎ- اِنَّ الْمُؤْ مِنَ يَأْكُلُ.....) বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৬। তবে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে সহীহ মুসলিম-এর অপর একটি রিওয়ায়াতে আছে যে, জনৈক কাফির রসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মেহমান হলো। রসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি বকরীর দুধ আনতে নির্দেশ দিলেন, দুধ দোহন করা হলো এবং লোকটি সবটুকু দুধ পান করে ফেলল। অতঃপর আরেকটি বকরীর দুধ আনতে নির্দেশ দিলেন, বকরী দোহন করা হলো। এ দুধটুকুও সে পান করে ফেলল। এরপর তৃতীয় আরেকটি বকরী দোহন করা হলো। এ দুধটুকুও সে পান করে ফেলল। এভাবে সে শেষ নাগাদ সাতটি বকরীর সবটুকু দুধ একাই পান করে ফেলল। (পরদিন) ভোরে লোকটি ইসলাম গ্রহণ করল। তখন রসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য একটি বকরীর দুধ দোহন করার নির্দেশ দিলেন। দুধ দোহন করা হলো। লোকটি সবটুকু দুধ পান করে ফেলল। অতঃপর আরেকটি বকরী দোহন করার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু সে এবার সবটুকু দুধ পান করতে পারল না। তখন রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মু’মিন এক পাকস্থলীতে পান করে। আর কাফির পান করে সাত পাকস্থলীতে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। দুইজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৮। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, একজনের খাবার দুইজনের জন্য যথেষ্ট, দুইজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট এবং চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট। – মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪১৭৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৭৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলেন: তালবীনা পীড়িত ব্যক্তির অন্তরে প্রশান্তি আনে এবং দুশ্চিন্তার কিছুটা লাঘব করে। -মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান