মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪২৪৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক দিন বা রাত্রের বেলায় রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহির হইয়াই হযরত আবু বকর ও ওমর (রাঃ)-কে দেখিতে পাইলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, কোন জিনিসে তোমাদের উভয়কে এই মুহূর্তে ঘর হইতে বাহিরে আসিতে বাধ্য করিয়াছে? তাঁহারা উভয়ে বলিলেন, ক্ষুধার তাড়না। তখন হুযূর (ছাঃ) বলিলেনঃ সেই মহান সত্তার কসম, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ, যেই জিনিসে তোমাদের দুইজনকে বাহির করিয়াছে, আমাকেও সেই জিনিসে বাহির করিয়াছে। আচ্ছা চল। অতঃপর তাহারা হুযূর (ছাঃ)-এর সঙ্গে চলিলেন এবং জনৈক আনসারীর বাড়িতে আসিলেন। তখন তিনি ঘরে ছিলেন না। যখনই আনসারীর স্ত্রী রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে দেখিতে পাইলেন, তখন তিনি তাহাকে খোশ আমদেদ জানাইলেন। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, অমুক (অর্থাৎ, তাহার স্বামী) কোথায়? সে বলিল, তিনি আমাদের জন্য মিঠা পানি আনিবার জন্য গিয়াছেন। ঠিক এমন সময় আনসারী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাহার সঙ্গীদ্বয়কে দেখিয়া বলিলেন, আলহামদুলিল্লাহ্, আজিকার দিন আমার মত সম্মানিত মেহমানের সৌভাগ্য 'লাভকারী আর কেহই নাই। বর্ণনাকারী (রাবী) বলেন, এই কথা বলিয়াই তিনি বাগানে চলিয়া গেলেন এবং মেহমানদের জন্য এমন একটি খেজুরের ছড়া লইয়া আসিলেন, যাহার মধ্যে পাকা, শুক্‌না ও কাচা হরেক রকমের খেজুর ছিল। অতঃপর আরয করিলেন, অনুগ্রহপূর্বক আপনারা ইহা হইতে খাইতে থাকুন এবং তিনি একখানা ছুরি হাতে লইলেন। তাহার উদ্দেশ্য বুঝিতে পারিয়া রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন: সাবধান। দুধওয়ালা বকরী যবাহ্ করিবে না। অবশেষে তিনি তাহাদের জন্য একটি বকরী যবাহ্ করিলেন। তাহারা বকরীর গোশত ও খেজুরের ছড়া হইতে খাইলেন এবং পানি পান করিলেন। যখন তাঁহারা খাদ্য ও পানীয় দ্বারা পরিতৃপ্ত হইলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর ও ওমরকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, সেই মহান সত্তার কসম, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ, কিয়ামতের দিন নিশ্চয় তোমরা এই সমস্ত নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। ক্ষুধা তোমাদিগকে নিজ নিজ ঘর হইতে বাহির করিয়াছিল, অতঃপর গৃহে ফিরিয়া যাইবার পূর্বেই তোমরা এই সমস্ত নেয়ামত লাভ করিলে। —মুসলিম, আবু মাসউদ (রাঃ)-এর হাদীস, كان رجل من الأنصار ওলীমার অধ্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৪৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৭। হযরত মিকদাম ইবনে মা'দীকারের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে কোন মুসলমান কোন কওমের মেহমান হয়, আর উক্ত মেহমান বঞ্চিত অবস্থায় ভোর করে, তখন প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হইয়া যায় তাহার সাহায্য করা। যাহাতে সে মেজবান ব্যক্তির মাল-সম্পদ হইতে আতিথ্য পরিমাণ উসুল করিয়া লইতে পারে। দারেমী ও আবু দাউদ। আবু দাউদের অপর এক রেওয়ায়তে আছে, যে কোন লোক কোন কওমের অতিথি হয় এবং তাহারা তাহার মেহমানদারী না করে, তখন সে আতিথ্য পরিমাণ তাহাদের সম্পদ হইতে লইতে পারিবে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪২৪৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৮। হযরত আবুল আহ্ওয়াছ জুশামী তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এই সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? (ধরুন) আমি যদি কোন ব্যক্তির কাছে যাইয়া উঠি এবং সে আমার আতিথ্য করিল না ও মেহমানদারী করিল না। অতঃপর সে কোন সময় আমার কাছে উঠিল, তখন কি আমি তাহার মেহমানদারী করিব, নাকি (পূর্বের) প্রতিশোধ গ্রহণ করিব ? তিনি বলিলেনঃ (প্রতিশোধ নহে) বরং তুমি তাহার মেহমানদারী কর। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান