মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৩৯১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ উত্তম সফরসঙ্গী হইল চারজন। উত্তম ছোট সেনাদল হইল চারশত জন এবং উত্তম বড় সৈন্যদল হইল চার হাজার জন। আর বার হাজার সৈন্যদল কখনও সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে পরাজিত হইবে না। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী। ইমাম তিরমিযী এই হাদীসকে গরীব বলিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৩। হযরত জাবের (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সফরে কাফেলার পশ্চাৎভাগে থাকিতেন, যেন দুর্বল সওয়ারীকে হাঁকাইয়া নিতে পারেন এবং যাহার সওয়ারী নাই তাহাকে নিজের সওয়ারীর পিছনে বসাইয়া নিতে পারেন এবং সর্বোপরি গোটা কাফেলার জন্য দোআ-খায়ের করিতে থাকিতেন। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৪। হযরত আবু সা'লাবা খোশানী (রাঃ) বর্ণনা করেন, সফরের সময় লোকেরা যখন কোন জায়গায় অবস্থান করিবার জন্য অবতরণ করিত, তখন তাহারা গিরিপথে এবং উপত্যকায় বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করিত। ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ গিরিপথে এবং উপত্যকায় এইরূপে তোমাদের বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়া মূলত শয়তানের কাজ। (বর্ণনাকারী বলেন,) ইহার পর হইতে লোকেরা যখনই কোন জায়গায় অবস্থান করিত, তখন তাহারা পরস্পর এমনভাবে মিলিয়ামিশিয়া অবস্থান করিত যে, একখানা কাপড় তাহাদের উপর ছড়াইয়া দিলে সকলকেই আচ্ছাদিত করিতে পারিত। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন আমাদের অবস্থা এই ছিল যে, আমরা প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একটি উট (আমরা পালাক্রমে উহাতে সওয়ার হইতাম), হযরত আবু লুবাবা ও আলী ইবনে আবু তালিব ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথী। (বর্ণনাকারী বলেন,) যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পায়ে হ্যাঁটার পালা আসিল, তখন তাঁহারা বলিলেন, (আপনি সওয়ারীর উপরেই থাকুন,) আপনার হ্যাঁটার পালায় আমরাই হ্যাঁটিব। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ (প্রথমত) তোমরা দুইজন আমার চাইতে বেশী শক্তিশালী নও। আর (দ্বিতীয়ত আখেরাতের) সওয়াব হইতেও আমি তোমাদের চেয়ে বেশী অপ্রত্যাশী নই। — শরহে সুন্নাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৬لأহযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা তোমাদের জানোয়ারের পৃষ্ঠদেশকে মিম্বরে পরিণত করিও না। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা এই সমস্ত পশুগুলি এই জন্যই তোমাদের অধীনস্থ করিয়া দিয়াছেন, যেন তোমাদেরকে উহারা সেই শহরে পৌঁছাইয়া দেয়, যেইখানে তোমরা কঠোর পরিশ্রম ব্যতীত পৌঁছিতে সক্ষম হইতে না। আর আল্লাহ্ তা'আলা যমীনকে তোমাদের উপকারার্থে সৃষ্টি করিয়া ছেন। অতএব, উহাতে দাঁড়াইয়া নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সমাধা কর। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৭। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, যখন আমরা কোন জায়গায় অবতরণ করিতাম, তখন জানোয়ারের উপর হইতে পালান (এবং মাল সামান) নীচে অবতরণ না করা পর্যন্ত নফল নামায আদায় করিতাম না। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৮। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পায়ে হ্যাঁটিয়া কোথাও যাইতেছিলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি গর্ধভারোহণে তথায় উপস্থিত হইল এবং বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ইহার উপরে সওয়ার হউন। এই কথা বলিয়া লোকটি পিছনে সরিয়া পড়িল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ না, এইরূপ হইবে না, তুমিই তোমার জানোয়ারের সামনের ভাগের অধিক হকদার। তবে (আমি তখনই সম্মুখে বসিতে পারি) যদি তুমি (স্পষ্টভাবে) এই হক আমাকে দাও। তখন লোকটি বলিল, আমি উহা আপনাকে প্রদান করিলাম। অতঃপর তিনি সওয়ার হইলেন। – তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯১৯। সায়ীদ ইবনে আবু হিন্দ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এক প্রকারের উট শয়তানের জন্য এবং এক প্রকারের গৃহও শয়তানের জন্য। বস্তুত শয়তানের উট হইল উহা, যাহা আমি প্রত্যক্ষ করিয়াছি —তোমাদের কেহ কেহ খুব উত্তম উট সঙ্গে লইয়া সফরে বাহির হয়, উহাকে (পালিয়া পুষিয়া) খুব মোটা-তাজা করিয়া লইয়াছে, কিন্তু নিজেও উহাতে সওয়ার হয় না এবং সে তাহার এমন কোন ভাইয়ের নিকট দিয়া পথ অতিক্রম করে যাহার নিকট কোন সওয়ারী নাই, তবুও তাহাকে উহাতে সওয়ার করায় না। আর শয়তানের ঘর, আমি উহা দেখি নাই। সায়ীদ বলেন, আমার ধারণা উহা সেই সকল 'হাওদা'ই হইবে, যাহাকে লোকেরা রেশমী কাপড় ইত্যাদি দ্বারা ঘিরিয়া সাজাইয়া লয়। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯২০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯২০। হযরত সাহল ইবনে মুআয (রাঃ) তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেন, একবার আমরা কোন এক জেহাদে নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে শরীক ছিলাম। লোকেরা (যাইয়া এক) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়িয়া অবস্থান করিয়া পথঘাট ও চলা ফেরার রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করিয়া ফেলিয়াছিল। অতঃপর নবী (ﷺ) একজন ঘোষণাকারীকে পাঠাইয়া লোকদের মধ্যে এই ঘোষণা করিয়া শুনাইয়া দিলেন যে, যে ব্যক্তি অন্যের জন্য অবস্থান সংকীর্ণ করে কিংবা চলার পথ বন্ধ করে, তাহার কোন জেহাদ নাই। (অর্থাৎ, সে জেহাদের সওয়াব পাইবে না।) — আবু দাউদ.

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯২১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯২১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সফর হইতে কাহারও প্রত্যাবর্তন করার পর নিজ পরিজনের মধ্যে প্রবেশ করার উত্তম সময় হইল রাত্রির প্রথম ভাগ। – আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান