মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২২০১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কোরআন পড়িয়াছে সে কোরআন বুঝে নাই। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০২। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ প্রকাশ করিয়া কোরআন পাঠক প্রকাশ্যে খয়রাতকারীর ন্যায়, আর চুপে কোরআন পাঠক চুপে খয়রাতকারীর ন্যায়। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৩। হযরত সুহায়ব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোরআনের হারামকে হালাল মনে করিয়াছে, সে কোরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে নাই। —তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ইহার সনদ সবল নহে ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৪। (তাবেয়ী) হযরত লাইস ইবনে সা'দ (তাবেয়ী) ইবনে আবী মুলাইকা হইতে, তিনি (তাবেয়ী) ইয়া'লা ইবনে মামলাক (রঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, ইয়া'লা একদা বিবি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে নবী করীম (ﷺ)-এর কোরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। দেখা গেল, তিনি উহা প্রকাশ করিতেছেন অক্ষর অক্ষর পৃথক করিয়া। — তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৫। (তাবেয়ী) হযরত ইবনে জুরাইজ (তাবেয়ী) ইবনে আবী মুলাইকা হইতে, তিনি বিবি উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, বিবি উম্মে সালামা (রাঃ) বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বাক্যে পূর্ণ ছেদ দিয়া কোরআন পাঠ করিতেন। তিনি বলিতেন, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন', অতঃপর বিরতি দিতেন। তৎপর বলিতেন, 'আররহমানির রাহীম', অতঃপর বিরতি দিতেন। —তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, ইহার সনদ মুত্তাসিল নহে। কেননা, (উপরের হাদীসে) লাইস ইহাকে ইবনে আবি মুলাইকা হইতে এবং তিনি ইয়া'লা ইবনে মামলাক হইতে, আর ইয়া'লা হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। (অথচ এখানে ইয়া'লার উল্লেখ নাই,) সুতরাং উপরের লাইসের বর্ণনাটিই অধিকতর বিশ্বস্ত। (যাহাতে পূর্ণ ছেদ কথা নাই।)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৬

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৬। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের নিকট পৌঁছিলেন, তখন আমরা কোরআন পাঠ করিতেছিলাম। আমাদের মধ্যে আরবও ছিল এবং অনারবও ছিল (যাহারা ঠিকভাবে উচ্চারণ করিতে পারিতেছিল না, তবু) হুযূর বলিলেনঃ পড়িতে থাক, প্রত্যেকটিই ভাল। শীঘ্রই এমন কিছু সম্প্রদায় আসিবে যাহারা কোরআনের পাঠ ঠিক করিবে, যেভাবে তীর ঠিক করা হয়। তাহারা (দুনিয়াতেই) শীঘ্র শীঘ্র উহার ফল চাহিবে এবং আখেরাতের অপেক্ষা করিবে না। —আবু দাউদ। আর বায়হাকী শো' আবুল ঈমানে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৭

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৭। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোরআন পড় আরবদের স্বরে সুরে এবং দূরে থাক আহলে এশক ও আহলে কিতাবদের স্বর হইতে। শীঘ্রই আমার পর এমন লোকেরা আসিবে যাহারা কোরআনে গান ও বিলাপের সুর ধরিবে। কোরআন তাহাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না (এবং অন্তরে প্রবেশ করিবে না)। তাহাদের অন্তর হইবে দুনিয়ার মোহগ্রস্ত এবং অনুরূপভাবে তাহাদের অন্তরও যাহারা তাহাদের পদ্ধতিকে পছন্দ করিবে। – বায়হাকী শো আবুল ঈমানে এবং রযীন তাঁহার কিতাবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২২০৮

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৮। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তোমরা তোমাদের স্বরের দ্বারা কোরআনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। কেননা, সুমধুর স্বর কোরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান