মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২১৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৮৮। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। কাহারও এইরূপ বলা কি জঘন্য কথা যে, আমি কোরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলিয়া গিয়াছি। বরং সে যেন বলে তাহাকে ভুলানো হইয়াছে। তোমরা পুনঃ পুনঃ কোরআন ইয়াদ করিবে। কেননা, উহা মানুষের অন্তর হইতে চতুষ্পদ জন্তু অপেক্ষাও অধিক পলায়নপর। —বুখারী ও মুসলিম। কিন্তু মুসলিম বাড়াইয়া বলিয়াছেন, রশিতে বাঁধা চতুষ্পদ জন্তু।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৮৯। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: স্মৃতিতে কোরআনের রক্ষকদের উদাহরণ হইতেছে রশিতে বাধা উটরক্ষকের ন্যায়——যদি উটের প্রতি সদা লক্ষ্য রাখে উহাকে আব্দ্ধ রাখিতে পারে, আর যদি উহাকে ছাড়িয়া দেয়, উহা পালাইয়া যায়। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯০

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯০। হযরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কোরআন পড়, যতক্ষণ তোমাদের মন উহা সাগ্রহে চাহে, আর যখন মনের ভাব অন্যরূপ দেখ, উহা ছাড়িয়া উঠিয়া যাও! – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯১

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯১। (তাবেয়ী) হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন, একদা হযরত আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোরআন পঠন কিরূপ ছিল? তিনি বলিলেন, তাহা ছিল টানা টানা। অতঃপর আনাস 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' পড়িলেন, টানিলেন 'বিসমিল্লাহাতে, টানিলেন 'রহমানোতে এবং টানিলেন 'রাহীমে'তে। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯২

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহ্ তা'আলা কান পাতিয়া শুনেন না কোন কথাকে, যত না কান পাতিয়া শুনেন কোন নবীর সুর করিয়া কোরআন পড়াকে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহ্ পছন্দ করেন না কোন স্বরকে, যত না পছন্দ করেন কোন নবীর মধুর স্বরে সরবে কোরআন পড়াকে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সে আমাদের দলের নহে, যে স্বর করিয়া কোরআন পড়ে না (অথবা কোরআন পাইয়া অপর সব হইতে বিমুখ হয় না)। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে অধিষ্ঠিত অবস্থায় আমাকে বলিলেন: তুমি আমার সামনে কোরআন পড় (আমি শুনিব)। আমি বলিলাম, হুযুর! আপনার সামনে আমি কোরআন পড়িব, অথচ উহা আপনার উপরই নাযিল হইয়াছে? হুযুর বলিলেন, আমি উহা অন্যের মুখে শুনিতে ভালবাসি। সুতরাং আমি সূরা নিসা পড়িতে আরম্ভ করিলাম। যখন আমি এই আয়াত পর্যন্ত পৌঁছিলাম, "তবে কেমন হইবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মতের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উপস্থিত করিব এবং আপনাকে উপস্থিত করিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিরুদ্ধে তখন তিনি বলিলেন, এইবার বন্ধ কর। এ সময় আমি তাঁহার দিকে তাকাইলাম; দেখি, তাহার দুই চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দিতেছে। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ)-কে বলিলেন : আল্লাহ্ আমাকে নির্দেশ দিয়াছেন, তোমাকে কোরআন পড়িয়া শুনাইতে। উবাই জিজ্ঞাসা করিলেন, হুযূর আল্লাহ্ কি আপনাকে আমার নাম করিয়া বলিয়াছেন? হুযূর বলিলেন, হ্যাঁ। উবাই বলিলেন, রাব্বুল আলামীনের নিকট কি আমি উল্লিখিত হইয়াছি? হুযুর বলিলেন, হ্যাঁ। ইহাতে তাহার দুই চক্ষু হইতে অশ্রু ঝরিতে লাগিল । অপর বর্ণনায় আছে, আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে তোমার নিকট 'লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারূ' সূরা পড়িতে নির্দেশ দিয়াছেন। তখন উবাই বলিলেন, আল্লাহ্ আমার নাম করিয়াছেন কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। ইহাতে উবাই কাদিয়া দিলেন। -মোত্তাঃ -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন শত্রুভূমিতে কোরআন লইয়া সফর করিতে। মোত্তাঃ
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, কোরআন লইয়া ভ্রমণ করিও না। কেননা, উহা শত্রুর হাতে
পড়া সম্পর্কে আমি নিরাপদ মনে করি না।
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, কোরআন লইয়া ভ্রমণ করিও না। কেননা, উহা শত্রুর হাতে
পড়া সম্পর্কে আমি নিরাপদ মনে করি না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২১৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৮। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদিন আমি দরিদ্র মুহাজিরদের এক দলে বসিলাম, তখন তাহারা একে অন্যের সাথে লাগিয়া বসিয়াছিল নিজের নগ্নতা ঢাকিবার উদ্দেশ্যে। এসময় একজন পাঠক আমাদের সম্মুখে কোরআন পাঠ করিতেছিল, হঠাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসিয়া পৌঁছিলেন এবং আমাদের সামনে দাঁড়াইয়া গেলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাড়াইলেন, পাঠক চুপ হইয়া গেল। তখন তিনি আমাদের সালাম করিলেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি করিতেছিলে? আমরা বলিলাম, আমরা আল্লাহর কিতাব শুনিতেছিলাম। তখন হুযূর বলিলেনঃ আল্লাহর শোকর যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি করিয়াছেন, যাহাদের সাথে আমার নিজেকে শামিল রাখার জন্য আমি আদিষ্ট হইয়াছি। আবু সায়ীদ বলেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে বসিয়া গেলেন যাহাতে তাঁহার নিজেকে আমাদের সহিত শামিল করিয়া লন। অতঃপর আপন হাতের দ্বারা ইশারা করিলেন, তোমরা বৃত্তাকার হইয়া বস। (রাবী বলেন,) তাহারা বৃত্তাকার হইয়া বসিলেন এবং তাহাদের চেহারা হুযুরের দিকে হইয়া গেল। এ সময় তিনি বলিলেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমরা হে গরীব মুহাজির দল,—পূর্ণ নূরের (জ্যোতির) কেয়ামতের দিনে ; তোমরা ধনীদের অর্ধ দিন পূর্বে বেহেশতে প্রবেশ করিবে, আর তাহা হইল পাঁচশত বৎসর। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান