মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৪৮১

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহণের নামাযে তাহার কেরাআতকে বড় করিয়াছিলেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় একবার সূর্যগ্রহণ হইল। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়িলেন, আর লোকেরাও তাহার সহিত নামায পড়িল। (কেরাআতে তিনি প্রায় সূরা বাকারা পড়ার পরিমাণ দীর্ঘ সময় দাড়াইলেন, অতঃপর দীর্ঘ রুকু করিলেন (প্রথম রুকু)। তৎপর মাথা উঠাইলেন, অতঃপর দাড়াইলেন দীর্ঘ দাড়ান, তবে প্রথম দাড়ান অপেক্ষা কম। অতঃপর রুকু করিলেন দীর্ঘ রুকূ, তবে প্রথম রুকূ অপেক্ষা কম তৎপর মাথা উঠাইলেন অতঃপর সিজদা করিলেন। অতঃপর দাঁড়াইলেন——দীর্ঘ সময় দাড়াইলেন, তবে প্রথম দাড়ান অপেক্ষা কম। তৎপর দীর্ঘ রুকু করিলেন, তবে প্রথম রুকু অপেক্ষা কম। অতঃপর রুকু হইতে মাথা উঠাইলেন এবং দাঁড়াইয়া রহিলেন দীর্ঘ দাড়ান, তবে উহা ছিল প্রথম দাড়ান অপেক্ষা কম কাছাকাছি। অতঃপর রুকু করিলেন দীর্ঘ রুকু, তবে ইহা ছিল প্রথম রুকু অপেক্ষা কম। তৎপর মাথা উঠাইলেন, অতঃপর সিজদায় গেলেন এবং নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিলেন, আর ততক্ষণে সূর্য দীপ্তিমান হইয়া গিয়াছে।
তখন হুযূর (ছাঃ) বলিলেন: সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর (কুদরতের) নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুইটি নিদর্শন। উহারা কাহারও মৃত্যুর কারণে বা জন্মের কারণে গ্রহণগ্রস্ত হয় না। যখন তোমরা উহা দেখিবে, আল্লাহর স্মরণ করিবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনাকে দেখিলাম আপনি যেন আপনার এই স্থানে কিছু গ্রহণ করিতেছেন, অতঃপর দেখিলাম পিছনে সরিয়া গেলেন। তিনি বলিলেন, তখন আমি বেহেশতকে দেখিতে পাইলাম এবং তথা হইতে একটি আঙ্গুরের ছড়া গ্রহণ করিতে উদ্যত হইলাম। যদি আমি উহা গ্রহণ করিতাম তাহা হইলে দুনিয়া বাকী থাকা পর্যন্ত তোমরা উহা খাইতে পারিতে। আর তখন আমি দোযখকেও দেখিতে পাইলাম, যাহার ন্যায় বীভৎস দৃশ্য আমি আর কখনও দেখি নাই। আর আমি ইহাও দেখিলাম যে, দোযখের অধিকাংশ অধিবাসীই নারী। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, কি কারণে ইয়া রাসূলাল্লাহ্। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, তাহাদের কুফরীর কারণে পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, তাহারা কি আল্লাহর সহিত কুফরী করিয়া থাকে। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, না, বরং স্বামীর সহিত কুফরী করিয়া থাকে এবং তাহারা এহ্সান ভুলিয়া যায়। যদি তুমি তাহাদের কাহারও সাথে আজীবন এহসান কর, অতঃপর সে যদি তোমার পক্ষ হইতে সামান্য মন্দ দেখে, বলিয়া উঠে, আমি কখনও তোমার নিকট হইতে সদ্ব্যবহার পাইলাম না। মোত্তাঃ
তখন হুযূর (ছাঃ) বলিলেন: সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর (কুদরতের) নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুইটি নিদর্শন। উহারা কাহারও মৃত্যুর কারণে বা জন্মের কারণে গ্রহণগ্রস্ত হয় না। যখন তোমরা উহা দেখিবে, আল্লাহর স্মরণ করিবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনাকে দেখিলাম আপনি যেন আপনার এই স্থানে কিছু গ্রহণ করিতেছেন, অতঃপর দেখিলাম পিছনে সরিয়া গেলেন। তিনি বলিলেন, তখন আমি বেহেশতকে দেখিতে পাইলাম এবং তথা হইতে একটি আঙ্গুরের ছড়া গ্রহণ করিতে উদ্যত হইলাম। যদি আমি উহা গ্রহণ করিতাম তাহা হইলে দুনিয়া বাকী থাকা পর্যন্ত তোমরা উহা খাইতে পারিতে। আর তখন আমি দোযখকেও দেখিতে পাইলাম, যাহার ন্যায় বীভৎস দৃশ্য আমি আর কখনও দেখি নাই। আর আমি ইহাও দেখিলাম যে, দোযখের অধিকাংশ অধিবাসীই নারী। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, কি কারণে ইয়া রাসূলাল্লাহ্। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, তাহাদের কুফরীর কারণে পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, তাহারা কি আল্লাহর সহিত কুফরী করিয়া থাকে। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, না, বরং স্বামীর সহিত কুফরী করিয়া থাকে এবং তাহারা এহ্সান ভুলিয়া যায়। যদি তুমি তাহাদের কাহারও সাথে আজীবন এহসান কর, অতঃপর সে যদি তোমার পক্ষ হইতে সামান্য মন্দ দেখে, বলিয়া উঠে, আমি কখনও তোমার নিকট হইতে সদ্ব্যবহার পাইলাম না। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতেও হযরত ইবনে আব্বাসের অনুরূপ একটি হাদীস বর্ণিত আছে। উহাতে হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন যে, তৎপর নবী করীম (ছাঃ) সিজদা করিলেন এবং দীর্ঘ করিলেন সিজদা, অতঃপর নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিলেন আর তখন সূর্য আলোকময় হইয়া গিয়াছে। তৎপর তিনি লোকদের খোতবা দান করিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও প্রশস্তি বর্ণনা করিলেন, অতঃপর বলিলেন: সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুইটি নিদর্শন। উহারা কাহারও মউত বা হায়াতের কারণে গ্রহণগ্রস্ত হয় না। যখন তোমরা গ্রহণ দেখিবে আল্লাহর নিকট দোআ করিবে এবং তাহার মহিমা ঘোষণা করিবে, নামায পড়িবে এবং দান-খয়রাত করিবে। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বলিলেন, হে মুহাম্মাদের উম্মতীগণ! খোদার কসম, আল্লাহ্ অপেক্ষা অধিক ঘৃণাকারী আর কেহই নাই। তিনি ঘৃণা করেন যে, তাহার কোন বান্দা যেনা করিবে অথবা তাঁহার কোন বাদী যেনা করিবে। হে মুহাম্মাদের উম্মতীগণ। খোদার কসম, যদি তোমরা জানিতে যাহা আমি জানি, তাহা হইলে তোমরা নিশ্চয় কম হাসিতে এবং নিশ্চয় অধিক কাঁদিতে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৪। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হইল। ইহাতে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিলেন এবং আশংকা করিতে লাগিলেন, না জানি কেয়ামত হইয়া যায়। তখন তিনি মসজিদে আসিলেন এবং নামায পড়িলেন বহু দীর্ঘ কেয়াম, রুকু ও সিজদা সহকারে, যাহা আমি তাহাকে কখনও করিতে দেখি নাই। অতঃপর বলিলেন: এসকল হইতেছে আল্লাহর নিদর্শন, যাহা তিনি কোন কোন সময় দেখাইয়া থাকেন। ইহারা কাহারও মউত বা হায়াতের কারণে হয় না, ইহা দ্বারা তিনি তাঁহার বান্দাদের ভয় দেখাইয়া থাকেন। সুতরাং তোমরা যখন ইহাদের কোনটি দেখিবে, আল্লাহর স্মরণ করিবে, তাহার নিকট দোআ ও ক্ষমা প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকিবে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৫। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় একবার সূর্যগ্রহণ হইল, যেদিন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুত্র ইবরাহীম মৃত্যুবরণ করিলেন। তখন হুযুর (ﷺ) লোকদের লইয়া (দুই রাকআত নামায পড়িলেন ছয় রুকু এবং চারি সিজদা দ্বারা (অর্থাৎ, প্রত্যেক রাকআতে তিন রুকু ও দুই সিজদা দ্বারা)। -- মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দুই রাকআত নামায পড়িলেন যখন সূর্যগ্রহণ হইল আট রুকু ও চারি সজদা দ্বারা (অর্থাৎ, প্রত্যেক রাকআতে চারি রুকু ও দুই সজদা দ্বারা)।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৭। হযরত আলী (রাঃ) হইতেও অনুরূপ একটি হাদীস বর্ণিত আছে। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৮। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় মদীনায় আমি আমার তীরসমূহ চালনা করিতেছিলাম। হঠাৎ সূর্যগ্রহণ হইল। আমি তীরসমূহ কুঁড়িয়া ফেলিলাম এবং মনে মনে বলিলাম, খোদার কসম, আমি লক্ষ্য করিব এই সূর্যগ্রহণে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কি অবস্থা সৃষ্টি হইয়াছে। অতঃপর আমি তাহার নিকট আসিলাম, তখন তিনি নামাযে দাঁড়ান আছেন এবং আপন দুই হাত উঠাইয়া আল্লাহর তসবীহ, তাহলীল, তকবীর ও হামদ করিতেছেন এবং তাহার নিকট দো'আয় রত আছেন, যাবৎ না সূর্যগ্রহণ ছাড়িয়া গেল। যখন উহার গ্রহণ ছাড়িয়া গেল, তিনি দুইটি সূরা পড়িলেন এবং আরও দুই রাকআত নামায পূর্ণ করিলেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৮৯। হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণে গোলাম আযাদ করিতে নির্দেশ দিয়াছেন। – বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান