মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৪৮০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত।

এই মহাবিশ্বে সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্ তা'আলার কুদরতের দুইটি নিদর্শন। ইহাদের আবর্তন বিবর্তন তাঁহারই নির্ধারিত নিয়মের অধীন। আবর্তন কালে সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরল রেখায় উপনীত হয় এবং চন্দ্র মধ্যখানে থাকে, তখন সূর্যগ্রহণ আর যখন পৃথিবী মধ্যখানে থাকে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। চন্দ্র ও সূর্যের গ্রহণ পৃথিবীতে একটি অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। গ্রহণকালে পশুপক্ষীদের মধ্যেও একটা ভীতির ভাব পরিলক্ষিত হয়। পশুচরিৎ বিশেষজ্ঞ গণ বলেন, “চন্দ্রগ্রহণ আর সূর্যগ্রহণের সময়ে প্রাণীদের বিশেষ করিয়া পাখীদের মধ্যে এ ধরনের (ভীতির) আচার-আচরণ চোখে পড়ে।” (দৈনিক আজাদ, ১৪/২/১৯৬৫ ইং)
নবী করীম (ﷺ) কোন মহাবিপদের আশংকায় গ্রহণকালে বিশেষ করিয়া সূর্যগ্রহণকালে অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া পড়িতেন এবং যাবৎ না উহা ছাড়িয়া যাইত, সাহাবীগণকে লইয়া নামায ও দো'আয় মশগুল থাকিতেন।*
সাধারণত সূর্যগ্রহণের নামাযকে 'কুসুফ' এবং চন্দ্রগ্রহণের নামাযকে ‘খুসুফ' বলে। তবে কখনও একে অন্যের অর্থেও ব্যবহৃত হয়। হাদীসে এইরূপই ব্যবহৃত হইয়াছে।
হানাফী মাযহাব মতে কুসুফের নামায সুন্নত এবং খুসুফের নামায মোস্তাহাব। প্রথম নামায জামাআতের সহিত এবং দ্বিতীয় নামায একা একা পড়াই বিধেয়। জামাআত আহ্বানের ভার মসজিদের ইমামের উপর। অন্যান্য নামাযের ন্যায় ইহাতেও এক রাকআতে এক রুকূ ও দুই সজদা দিতে হয়, বেশী নহে। নামায দুই রাকআত হইতে চারি রাকআত পর্যন্ত পড়ার ব্যবস্থা রহিয়াছে। কুসুফের নামাযে কেরাআত চুপে চুপে পড়িতে হয়, কিন্তু খুসুফের নামাযে বড় করিয়াও পড়িতে পারে। —অনুবাদক
১৪৮০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় একবার সূর্যগ্রহণ হইল। তখন তিনি 'আসসালাতু জ্যামেজতুন (নামাযের জামাআত তৈয়ার, নামাযের জামাআত তৈয়ার) রবে লোকদের আহ্বান করার জন্য একজন আহ্বায়ক পাঠাইলেন। (লোক সমবেত হইল.) তিনি সম্মুখে অগ্র হইলেন এবং দুই রাকআত নামায পড়িলেন চারি রুকু এবং চারি সিজদা দিয়া আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি কখনও এমন কোন রুকু করি নাই, কখনও এমন কোন সিজদা দেই নাই যাহা ইহা অপেক্ষা দীর্ঘতর ছিল। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান