মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৪০৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৪। হযরত সায়েব ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকর ও ওমরের যামানায় জুমুআর দিনে প্রথম আযান হইত যখন ইমাম মিম্বরে বসিতেন। হযরত ওসমান (রাঃ) যখন খলীফা হইলেন এবং লোকের সংখ্যা বাড়িয়া গেল. তখন তিনি যাওরার উপর তৃতীয় আযান বাড়াইয়া দিলেন। -বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪০৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৫। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইটি খোতবা দান করিতেন এবং উভয় খোতবার মধ্যস্থলে বসিতেন। তিনি উহাতে, কিছু কোরআন পাঠ করিতেন এবং লোকদের উপদেশ দিতেন। সুতরাং তাহার নামায ছিল মধ্যম এবং খোতবাও ছিল মধ্যম মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪০৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৬। হযরত আম্মার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, কোন ব্যক্তির নামাযের দীর্ঘতা এবং খোড়বার সংক্ষিপ্ততা তাহার শরীআতে সূক্ষ্ম জ্ঞানেরই পরিচায়ক। সুতরাং তোমরা নামাযকে দীর্ঘ করিবে এবং খোত্বাকে সংক্ষেপ করিবে। নিশ্চয়, কোন কোন বক্তৃতা (খোত্ত্বা) জাদুস্বরূপ। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪০৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খোবা দান করিতেন, তাহার দুই চক্ষু লাল হইয়া যাইত, স্বর উচ্চ হইয়া যাইত এবং রাগ চরমে পৌঁছিত, যাহাতে মনে হইত যে, তিনি যেন শত্রু সৈন্যের আকস্মিক আক্রমণ হইতে নিজের কওমকে সতর্ক করিতেছেন এবং বলিতেছেন, এই ভোরে (শত্রুসৈন্য) তোমাদের আক্রমণ করিল। এই সন্ধ্যায় তোমাদের আক্রমণ করিল (সাবধান) তিনি আরও বলিতেন, আমি প্রেরিত হইয়াছি কেয়ামতের অতি নিকটে, যথা—এই দুই অঙ্গুলী। এই সময় তিনি তর্জনী ও
মধ্যমাকে একত্র করিয়া দেখাইতেন। — মুসলিম
মধ্যমাকে একত্র করিয়া দেখাইতেন। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪০৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৮। হযরত ইয়া'লা ইবনে উমাইয়া (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বরে উঠিয়া এই আয়াত পাঠ করিতে শুনিয়াছি, "দোষখীরা (দোযখের দারোগাকে ডাকিয়া বলিবে, হে মালেক, (তুমি বল) তোমার পরওয়ারদেগার যেন আমাদের মউত করিয়া দেন।" অর্থাৎ, এই খোত্বায় দোযখের বিপদের কথা বলিলেন। ---মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪০৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৯। হযরত উম্মে হেশাম বিনতে হারেসা ইবনে নো'মান (রাঃ) বলেন, আমি কোরআনের সূরা কাফ ওয়াল কোর আনিল্ মাজীদ (ق. وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ) কেবল রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ হইতে (শুনিয়া)ই ইয়াদ করিয়াছি। তিনি উহা প্রত্যেক জুমুআয় মিম্বরে দাড়াইয়া পড়িতেন, যখন লোকের প্রতি খোত্বা দান করিতেন। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪১০

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪১০। হযরত আমর ইবনে হুরাইস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর দিনে খোতবা দিলেন আর তখন তাঁহার মাথায় ছিল কাল পাগড়ী, যাহার দুই দিক তাঁহার দুই স্কন্ধের মধ্যস্থলে ঝুলাইয়া দিয়াছিলেন। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪১১

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪১১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোতবা দেওয়ার কালে বলিয়াছেন: যখন তোমাদের কেহ জুমুআর দিনে আসে আর ইমাম তখন খোতবা দিতেছেন, সে যেন দুই রাকআত (নফল) নামায পড়িয়া লয় এবং উহাতে সূরা কেরাআত সংক্ষেপ করে। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৪১২

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪১২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের সহিত নামাযের এক রাকআত পাইল, সে পূর্ণ নামায় পাইল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান