আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৭৫৪ টি

হাদীস নং: ৪১৯২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯২. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্রোধকে সংবরণ করা সর্বোত্তম বীরত্ব।
(ইবনে মাজা ও তাঁর বর্ণনাকারীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণযোগ্য।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4192- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من جرعة أعظم عِنْد الله من جرعة غيظ كظمها عبد ابْتِغَاء وَجه الله

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৯৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৩. হযরত মু'আয ইবনে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: প্রতিশোধ নেয়ার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করে, (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা সমস্ত সৃষ্টি কুলের ঊর্ধ্বে তাকে আহ্বান করবেন এবং তাকে জান্নাতের হুরদের যাকে ইচ্ছা গ্রহণ করার স্বাধীনতা দেবেন।
(আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন এবং ইবনে মাজা। তাঁরা সকলেই আবু মারহুমের সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আবু মারহুমের প্রকৃত নাম আবদুর রহীম ইবনে মায়মূন। তিনি হযরত সাহল ইবনে মু'আয (রা) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইনশাআল্লাহ্ সামনে
সাহল এবং আবু মারহুম সূত্রে আলোচনা আসবে।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4193- وَعَن معَاذ بن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كظم غيظا وَهُوَ قَادر على أَن ينفذهُ دَعَاهُ الله سُبْحَانَهُ على رُؤُوس الْخَلَائق حَتَّى يخيره من الْحور الْعين مَا شَاءَ

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن مَاجَه كلهم من طَرِيق أبي مَرْحُوم واسْمه عبد الرَّحِيم بن مَيْمُون عَن سهل بن معَاذ عَنهُ وَيَأْتِي الْكَلَام على سهل وَأبي مَرْحُوم إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ৪১৯৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৪. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমাদের কেউ দাঁড়ান অবস্থায় রাগান্বিত হলে, সে যেন বসে পড়ে। এরপর তার যদি ক্রোধ চলে যায় (তবে ভাল), অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে।
(আবু দাউদ ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে আবু হারব আসওয়াদ হতে, তিনি হযরত আবু যার (রা) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। কারো কারো মতে আবু হারব (র) তাঁর চাচা হতে, তিনি হযরত আবু যার (রা) হতে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে হযরত আবু যার (রা) হতে তাঁর শ্রুতি আমার জানা নেই। আবু দাউদ (র) উক্ত হাদীসটি দাউদ ইবনে হিন্দ থেকে, তিনি বাকর থেকে বর্ণনা করেন। নবী (ﷺ) উক্ত হাদীসটি হযরত আবু যার (রা)-কে প্রচার করার জন্য প্রেরণ করেন।
আবু দাউদ (র) বলেন, উপরোক্ত দু'টি হাদীসের মুরসাল সূত্র বিশুদ্ধ। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4194- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا غضب أحدكُم وَهُوَ قَائِم فليجلس فَإِن ذهب عَنهُ الْغَضَب وَإِلَّا فليضطجع

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة أبي حَرْب بن الْأسود عَن أبي ذَر وَقد قيل إِن أَبَا حَرْب إِنَّمَا
يروي عَن عَمه عَن أبي ذَر وَلَا يحفظ لَهُ سَماع من أبي ذَر وَقد رَوَاهُ أَبُو دَاوُد أَيْضا عَن دَاوُد وَهُوَ ابْن هِنْد عَن بكر أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعث أَبَا ذَر بِهَذَا الحَدِيث ثمَّ قَالَ أَبُو دَاوُد وَهُوَ أصح الْحَدِيثين يَعْنِي أَن هَذَا الْمُرْسل أصح من الأول وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৯৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৫. হযরত সুলায়মান ইবনে সুরাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা নবী-এর নিকট দুই ব্যক্তি পরস্পর গালাগালি করছিল। তাদের একজন তীব্রভাবে ক্ষুদ্ধ হল, এমন কি তার চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করল এবং কণ্ঠনালীর শিরাসমূহ স্ফীত হয়ে উঠল। তখন নবী (ﷺ) তার দিকে তাকিয়ে বলেনঃ আমি এমন একটি বাক্য জানি, যদি লোকটি তা পাঠ করে, তবে তার এ অবস্থা দূরীভূত হয়ে যাবে। আর তা হল :«أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» (আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি।) নবী (ﷺ) থেকে যে ব্যক্তি উক্ত হাদীসটি শুনেছিল, সে ঐ ক্ষুদ্ধ ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এখনই বলেছেন: আমি এমন একটি বাক্য জানি যদি সে (ক্ষুব্ধ ব্যক্তি) যদি তা বলে, তবে তার এ অবস্থা দূরীভূত হয়ে যাবে।
আর তাহল- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» তখন লোকটি তাকে বলল, তুমি কি আমাকে পাগল মনে করছ?
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4195- وَعَن سُلَيْمَان بن صرد رَضِي الله عَنهُ قَالَ استب رجلَانِ عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَجعل أَحدهمَا يغْضب ويحمر وَجهه وتنتفخ أوداجه فَنظر إِلَيْهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِنِّي لأعْلم كلمة لَو قَالَهَا لذهب عَنهُ ذَا أعوذ بِاللَّه من الشَّيْطَان الرَّجِيم فَقَامَ إِلَى الرجل رجل مِمَّن سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ هَل تَدْرِي مَا قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم آنِفا قَالَ لَا قَالَ إِنِّي لأعْلم كلمة لَو قَالَهَا لذهب ذَا أعوذ بِاللَّه من الشَّيْطَان الرَّجِيم فَقَالَ لَهُ الرجل أمجنونا تراني
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৪১৯৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৬. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা দুই ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর নিকট গালাগালি করছিল। তাদের একজন প্রচণ্ডভাবে রেগে গেল, এমন কি আমার মনে হল, তীব্রভাবে ক্ষুদ্ধ হওয়ায় তার নাক ফেটে যাবে। তখন নবী (ﷺ) বলেন: আমি এমন একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পাঠ
করে, তবে তার এ ক্ষুদ্ধাবস্থা দূরীভূত হয়ে যাবে। তখন সে জিজ্ঞাসা করল। ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তা কি? তিনি বলেন: এই দু'আ পাঠ করবে:
«اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»
(হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে বিতাড়িত শয়তানের ধোঁকা থেকে পানাহ চাচ্ছি।) সে বলল: মু'আয (রা) তাকে তা বলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা অস্বীকার করে এবং হেসে উড়িয়ে দেয় এবং ক্রমাগতভাবে সে রেগে উঠে।
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত। তাঁরা সবাই আবদুর রহমান ইব্‌ন আবু লায়লা (র) হতে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: উক্ত হাদীসটি মুরসাল সনদে বর্ণিত। কেননা, আবদুর রহমান ইব্‌ন আবু লায়লা (র) মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে হাদীসটি শুনেন নি। মু'আয (রা) উমার (রা)-এর খিলাফতের সময় ইনতিকাল করেন। হযরত উমার (রা) যখন শাহাদাত বরণ করেন, তখন আবদুর রহমান ইব্‌ন আবু লায়লা ছিলেন ছয় বছরের বালক। ইমাম তিরমিযী (র)-এ অভিমত প্রকাশ করেন। কেননা, বুখারী (র)-এর বর্ণনাতে আবদুর রহমন ইব্‌ন আবু লায়লা (র) ছিলেন সতের বছরের কিশোর। একাধিক মনীষী উল্লেখ করেন যে, হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমওয়াস নামক স্থানে আঠার বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। কারো কারো মতে মু'আয (রা)-এর বয়স তখন সতের বছর। ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদীসটি আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) থেকে, তিনি হযরত উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণনা করেন। এই সনদ সূত্রটি মুত্তাসিল। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4196- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ استب رجلَانِ عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَغَضب أَحدهمَا غَضبا شَدِيدا حَتَّى خيل إِلَيّ أَن أَنفه يتمزع من شدَّة غَضَبه فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنِّي لأعْلم كلمة لَو قَالَهَا لذهب عَنهُ مَا يجد من الْغَضَب
فَقَالَ مَا هِيَ يَا رَسُول الله قَالَ تَقول اللَّهُمَّ إِنِّي أعوذ بك من الشَّيْطَان الرَّجِيم
قَالَ فَجعل معَاذ يَأْمُرهُ فَأبى وَضحك وَجعل يزْدَاد غَضبا

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ كلهم من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَنهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَذَا حَدِيث مُرْسل عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى لم يسمع من معَاذ بن جبل
مَاتَ معَاذ فِي خلَافَة عمر بن الْخطاب وَقتل عمر بن الْخطاب وَعبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى غُلَام ابْن سِتّ وسنين وَالَّذِي قَالَه التِّرْمِذِيّ وَاضح فَإِن البُخَارِيّ ذكر مَا يدل على أَن مولد عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى سنة سبع عشرَة وَذكر غير وَاحِد أَن معَاذ بن جبل توفّي فِي طاعون عمواس سنة ثَمَان عشرَة وَقيل سنة سبع عشرَة وَقد روى النَّسَائِيّ هَذَا الحَدِيث عَن عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَن أبي بن كَعْب وَهَذَا مُتَّصِل وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৯৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৭. হযরত আবু ওয়ায়িল কাস (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমরা হযরত উরওয়া ইবন মুহাম্মাদ আস-সা'দী (রা)-এর নিকট গেলাম, তখন তাঁর সাথে এক ব্যক্তি কথা বলায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে যান। এতে তিনি উঠে দাঁড়ান এবং উযু করে নেন। সে (বর্ণনাকারী) বলল: আমার পিতা আমার দাদী আতীয়া সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে, আর শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পানি দ্বারাই কেবল আগুন নেভানো যায়। কাজেই, তোমাদের কেউ ক্ষুদ্ধ হলে, সে যেন উযূ করে নেয়।
(আবূ দাউদ বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4197- وَعَن أبي وَائِل الْقَاص قَالَ دَخَلنَا على عُرْوَة بن مُحَمَّد السَّعْدِيّ فَكَلمهُ رجل فأغضبه فَقَامَ فَتَوَضَّأ فَقَالَ حَدثنِي أبي عَن جدي عَطِيَّة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْغَضَب من الشَّيْطَان وَإِن الشَّيْطَان خلق من النَّار وَإِنَّمَا تطفأ النَّار بِالْمَاءِ فَإِذا غضب أحدكُم فَليَتَوَضَّأ

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৯৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৯৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না, পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না। ক্রোধান্বিত হবে না এবং হিংসা-বিদ্বেষ করবে না বরং তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভ্রাতৃত্বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবে। মুসলমানের জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিনদিনের অধিক সময় সম্পর্কোচ্ছেদ করা হালাল নয়।
(মালিক, বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং মুসলিম সংক্ষেপে বর্ণনা করেন। ইমাম তাবারানী (র) আরো বাড়িয়ে বলেন: তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে তারা একে অন্য থেকে ঘাড় ফিরিয়ে নেয়। এদের মধ্যে প্রথমে যে সালাম দেয়, সে-ই উত্তম। আর যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম দেবে, সে-ই আগে জান্নাতে যাবে। মালিক (র) বলেন: আমার মনে হয় হাদীসের ব্যাখ্যা এরূপ:
الإعراض عن المسلم يدبر عنه بوجهه "এক মুসলমান অন্য মুসলমান থেকে চেহারা ঘুরিয়ে ফেলা।")
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4198- عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تقاطعوا وَلَا تدابروا وَلَا تباغضوا وَلَا تَحَاسَدُوا وَكُونُوا عباد الله إخْوَانًا وَلَا يحل لمُسلم أَن يهجر أَخَاهُ فَوق ثَلَاث

رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ مُسلم أخصر مِنْهُ وَالطَّبَرَانِيّ وَزَاد فِيهِ يَلْتَقِيَانِ فَيعرض هَذَا ويعرض هَذَا وَخَيرهمْ الَّذِي يبْدَأ بِالسَّلَامِ وَالَّذِي يبْدَأ بِالسَّلَامِ يسْبق إِلَى الْجنَّة
قَالَ مَالك وَلَا أَحسب التدابر إِلَّا الْإِعْرَاض عَن الْمُسلم يدبر عَنهُ بِوَجْهِهِ
হাদীস নং: ৪১৯৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১৯৯. হযরত আবু আইউব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কোন মুসলমানের পক্ষে তার ভাই এর সঙ্গে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। উভয়ের সাক্ষাৎ হলে একে অন্য থেকে ঘাড় ফিরিয়ে নেয়। উভয়ের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে আগে সালাম দেয়।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও আবু দাউদ বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4199- وَعَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يحل لمُسلم أَن يهجر أَخَاهُ فَوق ثَلَاث لَيَال يَلْتَقِيَانِ فَيعرض هَذَا ويعرض هَذَا وخيرهما الَّذِي يبْدَأ بِالسَّلَامِ

رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের তিন দিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। যে ব্যক্তি তিনদিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন রাখা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, সে জাহান্নামী।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, বুখারী এবং মুসলিম (র) তার শর্তানুরূপ বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4200- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يحل لمُسلم أَن يهجر أَخَاهُ فَوق ثَلَاث فَمن هجر فَوق ثَلَاث فَمَاتَ دخل النَّار

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০১. আবু দাউদ (র)-এর অন্য বর্ণনায় আছে, নবী (ﷺ) বলেছেন: এক মু'মিন অন্য মু'মিনের সাথে তিন দিনের অধিক সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। তিন দিন অতিক্রান্ত হলে সে যেন তার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাকে সালাম দেয়। অপর ব্যক্তি সালামের জবাব দিলে তারা উভয়েই সাওয়াবের অংশীদার হবে। আর যদি সে জবাব না দেয়, তবে সে গুনাহগার হবে এবং প্রথম ব্যক্তি সম্পর্ক ছিন্নের গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করবে।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4201- وَفِي رِوَايَة لأبي دَاوُد قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يحل لمُؤْمِن أَن يهجر مُؤمنا فَوق ثَلَاث فَإِن مرت بِهِ ثَلَاث فليلقه فليسلم عَلَيْهِ فَإِن رد عَلَيْهِ السَّلَام فقد اشْتَركَا فِي الْأجر وَإِن لم يرد عَلَيْهِ فقد بَاء بالإثم وَخرج الْمُسلم من الْهِجْرَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। তিনদিনের বেশী সময় এক মুসলমান থেকে অন্য মুসলমানের সম্পর্ক ছিন্ন রাখা উচিত নয়। এরপর উভয়ের সাথে সাক্ষাৎ হলে একজনে তিনবার সালাম দেবে। অপরজন একবারও সালামের জবাব না দিলে, সে গুনাহগার হবে।
(আবু দাউদ (র) বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4202- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يكون لمُسلم أَن يهجر مُسلما فَوق ثَلَاثَة أَيَّام فَإِذا لقِيه سلم عَلَيْهِ ثَلَاث مَرَّات كل ذَلِك لَا يرد عَلَيْهِ فقد بَاء بإثمه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৩. হযরত হিশাম ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের তিনদিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। কেননা, এমতাবস্থায় তারা উভয়ে সত্য বিমুখ থাকে, যতদিন তারা এ অবস্থায় থাকে। উভয়ের মধ্যে যে ব্যক্তি বাক্যালাপের মাধ্যমে ফিরে আসে, তা তাঁর (কৃত অপরাধের) কাফ্ফারা হবে। যদি সে সালাম দেয়, আর অন্য ব্যক্তি তার জবাব না দেয়, এমতাবস্থায় সালামদাতার পক্ষে ফিরিশতা সালামের জবাব দেয়। পক্ষান্তরে, অপরজনের সালামের জবাব দেয় শয়তান। উভয়ে যদি সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তবে তারা উভয়ে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
(আহমাদ বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীদের বর্ণনা দলীলরূপে গ্রহণযোগ্য। আবু ই'আলা, তাবারানী, ইবন হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত। তবে তার বর্ণনা এরূপ। তিনি (নবী ﷺ) বলেছেনঃ তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতে একত্রও হতে পারবে না।
আবু বকর ইব্‌ন আবু শায়বা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ (দুইজন মুসলমানের) পরস্পরে তিন দিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। যদি তারা উভয়ে তিন দিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখে, কখনো তারা জান্নাতে একত্র হতে পারবে না। তবে উভয়ের মধ্যে যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম দেবে, তা তার (গুনাহের) কাফ্ফারা হবে। যদি একজনে সালাম দেয় এবং অপরজন জবাব না দেয় এবং তার সালাম গ্রহণ না করে, তা হলে প্রথম ব্যক্তির পক্ষ থেকে ফিরিশতা সালামের জবাব দেয়, আর দ্বিতীয় ব্যক্তির সালামের জবাব দেয় শয়তান।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4203- وَعَن هِشَام بن عَامر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يحل لمُسلم أَن يهجر مُسلما فَوق ثَلَاث لَيَال فَإِنَّهُمَا ناكبان عَن الْحق مَا داما على صرامهما وأولهما فَيْء يكون سبقه بالفيء كَفَّارَة لَهُ وَإِن سلم فَلم يقبل ورد عَلَيْهِ سَلَامه ردَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَة ورد على الآخر الشَّيْطَان فَإِن مَاتَا على صرامهما لم يدخلا الْجنَّة جَمِيعًا أبدا

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه إِلَّا أَنه قَالَ لم يدخلا الْجنَّة وَلم يجتمعا فِي الْجنَّة
رَوَاهُ أَبُو بكر بن أبي شيبَة إِلَّا أَنه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يحل أَن يصطرما فَوق ثَلَاث فَإِن اصطرما فَوق ثَلَاث لم يجتمعا فِي الْجنَّة أبدا وَأيهمَا بَدَأَ صَاحبه كفرت ذنُوبه وَإِن هُوَ سلم فَلم يرد عَلَيْهِ وَلم يقبل سَلَامه رد عَلَيْهِ الْملك ورد على ذَلِك الشَّيْطَان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৪. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তিনদিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। এরপর যদি উভয়ের সাক্ষাৎ হয় এবং তাদের একজন সালাম দেয় এবং অপরজন সালামের জবাব দেয়, তবে তারা উভয়ে সাওয়াব লাভ করবে। আর যদি অন্যজন সালামের জবাব না দেয়, তবে সালামদাতা গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে আর অপরজন গুনাহগার হবে। বর্ণনাকারী বলেন: আমার মনে হয়, উভয়ে সম্পর্ক ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তারা জান্নাতে একত্র হতে পারবে না।
(তাবারানীর আওসাত গ্রন্থে এবং হাকিম নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি সনদ সহীহ।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4204- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تحل الْهِجْرَة فَوق ثَلَاثَة أَيَّام فَإِن التقيا فَسلم أَحدهمَا فَرد الآخر اشْتَركَا فِي الْأجر وَإِن لم يرد برىء هَذَا من الْإِثْم وباء بِهِ الآخر وَأَحْسبهُ قَالَ وَإِن مَاتَا وهما متهاجران لَا يَجْتَمِعَانِ فِي الْجنَّة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৫. হযরত আবু আইউব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা পরস্পরে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না বরং তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবে। তিন দিন সম্পর্ক ছিন্ন রাখা গুনাহের কাজ। তারা উভয়ে বাক্যালাপ করলে ভাল। আর যতদিন তারা বাক্যালাপ না করবে, আল্লাহ্ ততদিন তাদের থেকে ফিরে থাকবেন।
(তাবারানী বর্ণিত। তাঁর বর্ণনায় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আবদুল আযীয লায়সী (র) ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4205- وَعَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تدابروا وَلَا تقاطعوا وَكُونُوا عباد الله إخْوَانًا هجر الْمُؤمنِينَ ثَلَاثًا فَإِن تكلما وَإِلَّا أعرض الله عز وَجل عَنْهُمَا
حَتَّى يتكلما

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا عبد الله بن عبد الْعَزِيز اللَّيْثِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৬. হযরত ফাযালা ইবন উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাথে তিনদিনের বেশী সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে, সে জাহান্নামী। কেবলমাত্র আল্লাহ অনুগ্রহ তাকে রক্ষা করলেই সে মুক্তি পাবে।
(তাবারানী বর্ণিত। তাঁর বর্ণনাকারীদের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4206- وَعَن فضَالة بن عبيد رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من هجر أَخَاهُ فَوق ثَلَاث فَهُوَ فِي النَّار إِلَّا أَن يتداركه الله برحمته

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৭. আবু হিরাশ হাদরাদ ইব্‌ন আবু হাদরাদ আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন: কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাথে এক বছর সম্পর্ক ছিন্ন রাখলে, সে তাকে হত্যা করার অপরাধে অপরাধী।
(আবু দাউদ ও বায়হাকী বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4207- وَعَن أبي حِرَاش حَدْرَد بن أبي حَدْرَد الْأَسْلَمِيّ رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من هجر أَخَاهُ سنة فَهُوَ كسفك دَمه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৮. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: শয়তান এ ব্যাপারে নিরাশ হয়েছে যে, আরব উপদ্বীপের মুসল্লীগণ তার পূজা করবে। তবে তাদের পারস্পরিক সংঘাত থেকে সে নিরাশ হয়নি।
(মুসলিম বর্ণিত।
التحريش উত্তেজিত করা, পরস্পরের অন্তর বিগড়ে যাওয়া এবং সম্পর্ক ছিন্ন করা।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4208- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الشَّيْطَان قد يئس أَن يعبده المصلون فِي جَزِيرَة الْعَرَب وَلَكِن فِي التحريش بَينهم

رَوَاهُ مُسلم
التحريش هُوَ الإغراء وتغيير الْقُلُوب والتقاطع
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২০৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: দুই মুসলিম ব্যক্তি, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারপর পরস্পরের সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। তবে তাদের একজন ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেলে তার ব্যাপারটি স্বতন্ত্র, যতক্ষণে সে পুনরায় ইসলামে দীক্ষিত হয়। তাদের অপরাধ থেকে ফিরে আসার উপায় হল, একে অন্যের কাছে আসবে এবং পরস্পরে সালাম বিনিময় করবে।
(তাবারানী (র) মাওকুফ সূত্রে উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4209- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ لَا يتهاجر الرّجلَانِ قد دخلا فِي الْإِسْلَام إِلَّا خرج أَحدهمَا مِنْهُ حَتَّى يرجع إِلَى مَا خرج مِنْهُ ورجوعه أَن يَأْتِيهِ فَيسلم عَلَيْهِ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا بِإِسْنَاد جيد
حنه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২১০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২১০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: দুই ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পর যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে সে সীমালংঘনকারী, সে পূর্বাবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত ইসলাম থেকে বাইরে থাকবে। অর্থাৎ সে তাদের মধ্যকার যালিম।
(বাযযার বর্ণিত। তাঁর বর্ণনাকারীদের বর্ণনা সঠিক।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4210- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو أَن رجلَيْنِ دخلا فِي الْإِسْلَام فاهتجرا لَكَانَ أَحدهمَا خَارِجا عَن الْإِسْلَام حَتَّى يرجع يَعْنِي الظَّالِم مِنْهُمَا

رَوَاهُ الْبَزَّار وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২১১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদঃ সম্পর্কোচ্ছেদ, ঘৃণা-বিদ্বেষ এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪২১১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। প্রত্যেক সোমবার ও বৃহস্পতিবার সকলের আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। এ সময় আল্লাহ মুশরিক ব্যতীত তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করেন। কেবলমাত্র ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি অপর মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন। এরপর আল্লাহ বলেন। উভয়কে ছেড়ে দাও, যতক্ষণে তারা পরস্পরে সংশোধন না হয়।
(মালিক, মুসলিম নিজ শব্দে, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من التهاجر والتشاحن والتدابر
4211- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تعرض الْأَعْمَال فِي كل اثْنَيْنِ وخميس فَيغْفر الله عز وَجل فِي ذَلِك الْيَوْم لكل امرىء لَا يُشْرك بِاللَّه شَيْئا إِلَّا امْرُؤ كَانَت بَينه وَبَين أَخِيه شَحْنَاء فَيَقُول اتْرُكُوا هذَيْن حَتَّى يصطلحا

رَوَاهُ مَالك وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه بِنَحْوِهِ
tahqiq

তাহকীক: