আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১২. অধ্যায়ঃ জিহাদ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২৮৯ টি

হাদীস নং: ২০৮৩
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৩. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যুদ্ধ দুই প্রকার। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জিহাদ করে। ইমামের অনুসরণ করে, বদান্যতার হাত প্রসারিত রাখে, সাথীদের সহযোগিতা করে, ঝগড়া-ফাসাদ থেকে বেঁচে থাকে, তার নিদ্রা ও জাগরণ সওয়াবে পরিণত হবে। আর যে ব্যক্তি গৌরব ও খ্যাতির জন্য জিহাদ করে এবং ইমামের অবাধ্যাচরণ করে ও পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে, সে আমল নিয়েই ফিরতে পারবে না।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2083- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْغَزْو غَزوَان فَأَما من ابْتغى وَجه الله وأطاع الإِمَام وَأنْفق الْكَرِيمَة وياسر الشَّرِيك واجتنب الْفساد فَإِن نَومه وتنبهه أجر كُله وَأما من غزا فخرا ورياء وَسُمْعَة وَعصى الإِمَام وأفسد فِي الأَرْض فَإِنَّهُ لن يرجع بالكفاف

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَغَيره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৪
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৪. হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল এবং একটি সামান্য (জন্তু বাঁধার) রশিরও আশা করল, তবে সে তার সে ইপ্সিত বস্তুই কেবল পাবে (সওয়াব পাবে না)।
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইব্‌ন হিব্বান বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2084- وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من غزا فِي سَبِيل الله وَلم ينْو إِلَّا عقَالًا فَلهُ مَا نوى

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৫
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৫. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গ্রহণ করি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং সাথে সাথে আমার বীরত্ব প্রদর্শনও আমার উদ্দিষ্ট থাকে। রাসূলুল্লাহ্ তাঁর কথার কোন জবাব দিলেন না। ইত্যবসরে নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হল فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا “যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন নেক আমল করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে অংশীদার না করে।”
(সূরা কাহ্‌ফ, আয়াত নং-১১০)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাদীসটি বুখারী-মুসলিম-এর শর্তানুযায়ী সহীহ।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2085- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رجل يَا رَسُول الله إِنِّي أَقف الْموقف أُرِيد وَجه الله وَأُرِيد أَن يرى موطني فَلم يرد عَلَيْهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَتَّى نزلت {فَمن كَانَ يَرْجُو لِقَاء ربه فليعمل عملا صَالحا وَلَا يُشْرك بِعبَادة ربه أحدا} الْكَهْف 011

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৬
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: কিয়ামতের দিন প্রথম যে ব্যক্তির বিচার করা হবে, সে ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে। তাকে হাযির করা হবে। তারপর আল্লাহ আপন নিয়ামতের কথা তাকে স্মরণ করাবেন, সে এই নিয়ামতসমূহের কথা স্বীকার করবে। আল্লাহ তখন বলবেন: এগুলো দিয়ে তুমি কি করেছিলে? সে বলবে: হে আল্লাহ্। আমি তোমার রাস্তায় জিহাদ করেছি, এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। আল্লাহ্ বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ, বরং লোকে তোমাকে বীরপুরুষ বলবে, এ উদ্দেশ্যে জিহাদ করেছিলে। আর তা বলা হয়েছে। তারপর তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।...... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছে। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। নাসাঈ, তিরমিযী ও ইব্‌ন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' 'গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2086- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن أول النَّاس يقْضى عَلَيْهِ يَوْم الْقِيَامَة رجل اسْتشْهد فَأتي بِهِ فَعرفهُ نعْمَته فعرفها
قَالَ فَمَا عملت فِيهَا قَالَ قَاتَلت فِيك حَتَّى استشهدت
قَالَ كذبت وَلَكِن قَاتَلت لَان يُقَال هُوَ جريء فقد قيل ثمَّ أَمر بِهِ فسحب على وَجهه حَتَّى ألقِي فِي النَّار
الحَدِيث
رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৭
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৭. তিরমিযীতে {হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই} বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা মানুষের বিচার করার জন্য আসবেন। প্রত্যেকটি মানুষ তখন নতজানু অবস্থায় থাকরে। প্রথম যাকে বিচারের জন্য ঢাকা হবে, সে হল এমন ব্যক্তি যে কুরআন সংরক্ষণ করেছে। তারপর সে ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে। তারপর যার সম্পদের প্রাচুর্য ছিল। এরপর হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, তাকে হাযির করা হবে। আল্লাহ তাকে বলবেন। কি কারণে তোমাকে হত্যা করা হলো হে? সে বলবে প্রভু। আমাকে আপনার রাস্তায় জিহাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাই আমি জিহাদ করেছি। এমনকি শেষ পর্যন্ত আমি নিহত হয়েছি। আল্লাহ্ তাকে বলবেন: তুমি মিথ্যা বলেছ। ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ। মহান আল্লাহ বলবেন: তুমি তো এজন্য জিহাদ করেছিলে যে, মানুষ তোমাকে বাহাদুর বলবে, আর তাতো বলাই হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ আমার দু'হাঁটুতে চাপড়িয়ে বললেনঃ আবু হুরায়রা। আল্লাহর এই তিন প্রকার সৃষ্টি দিয়েই কিয়ামতের দিন জাহান্নামে অগ্নি সংযোগের সূচনা হবে।
('রিয়া' অধ্যায়ে ইতিপূর্বে পূর্ণ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। )
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2087- وَعند التِّرْمِذِيّ حَدثنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله تبَارك وَتَعَالَى إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة ينزل إِلَى الْعباد ليقضي بَينهم وكل أمة جاثية فَأول من يَدْعُو بِهِ رجل جمع الْقُرْآن وَرجل قتل فِي سَبِيل الله وَرجل كثير المَال فَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ وَيُؤْتى بِالَّذِي قتل فِي سَبِيل الله فَيَقُول الله لَهُ فيماذا قتلت فَيَقُول أَي رب أمرت بِالْجِهَادِ فِي
سَبِيلك فقاتلت حَتَّى قتلت فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول لَهُ الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى بل أردْت أَن يُقَال فلَان جريء فقد قيل ذَلِك ثمَّ ضرب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على ركبتي فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَة أُولَئِكَ الثَّلَاثَة أول خلق الله تسعر بهم النَّار يَوْم الْقِيَامَة
وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الرِّيَاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৮
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৮. হযরত শাদ্দাদ ইবনুল হাদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক বেদুঈন, নবী করীম-এর সমীপে উপস্থিত হয়ে তাঁর উপর ঈমান আনল এবং তাঁর অনুসঙ্গী হল। তারপর সে বলল, আমি আপনার সাথে হিজরত করব। নবী করীম (ﷺ) সে ব্যক্তি সম্পর্কে কতিপয় সাহাবীকে নির্দেশনা দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে যুদ্ধের সময় গনীমতের মাল আসলে তিনি তার বণ্টন করে একটি অংশ ঐ সাহাবীর জন্য রেখে অন্যান্য সাহাবীদেরকে তার অংশটুকু পৌছিয়ে দিতে বললেন। আর সে লোকটি তখন তাদের পশ্চাতে বাহিনীর দেখাশোনার কাজে ব্যস্ত ছিল। সাহাবীগণ যখন গনীমতের অংশ তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য নিয়ে এলেন, লোকটি জিজ্ঞেস করল, এটা কি? সাহাবীগণ বললেন, এটা তোমার অংশ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল থেকে তোমার জন্য পাঠিয়েছেন। সে তা গ্রহণ করে নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল, এটা কি ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ বললেনঃ তোমার প্রাপ্য অংশরূপে তোমাকে এটা দিলাম। লোকটি বলল, আমি তো এর জন্য আপনার অনুসঙ্গী হইনি? আমি আপনার অনুসঙ্গী হয়েছি এজন্য যাতে আমার এখানে তীরবিদ্ধ হই। এই বলে যে নিজের গলার প্রতি ইঙ্গিত করল। তারপর আমি মৃত্যুমুখে পতিত হব। আর জান্নাতে প্রবেশ করব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন। তুমি যদি সত্য বলে থাক, তবে আল্লাহ অবশ্যই তা বাস্তবে পরিণত করবেন। এরপর তাঁরা অল্প কিছুদিন অবস্থান করলেন এবং তারপর জিহাদে চলে গেলেন। তারপর লোকটিকে যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে বহন করে নিয়ে আসা হল, তখন দেখা গেল যে, তার নির্দেশিত স্থানেই তীরের আঘাত লেগেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন। এই ব্যক্তি কি সেই লোক? বলা হল, জ্বী হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সে আল্লাহর সাথে সত্য অঙ্গীকার করেছিল, তাই আল্লাহ্ও তার কথা সত্যে পরিণত করেছেন। এরপর লোকটির পরিধানের কাপড় দিয়েই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কাফন দিলেন এবং তার সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। সেই সালাতুল জানাযায় উচ্চৈস্বরে তিনি যা পাঠ করেছিলেন, তার মধ্যে এ কথাটিও ছিল। হে আল্লাহ। তোমার এই বান্দা তোমার পথের মুহাজিররূণে বের হয়েছিল, তাকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। আমি তার শাহাদতের সাক্ষী।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2088- وَعَن شَدَّاد بن الْهَاد رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا من الْأَعْرَاب جَاءَ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَآمن بِهِ وَاتبعهُ ثمَّ قَالَ أُهَاجِر مَعَك فأوصى بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعض أَصْحَابه فَلَمَّا كَانَت غزاته غنم النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فقسم وَقسم لَهُ فَأعْطى أَصْحَابه مَا قسم لَهُ وَكَانَ يرْعَى ظهْرهمْ فَلَمَّا جَاءَ دفعوه إِلَيْهِ فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا قسم قسمه لَك النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأَخذه فجَاء بِهِ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ مَا هَذَا قَالَ قسمته لَك
قَالَ مَا على هَذَا اتبعتك وَلَكِن اتبعتك على أَن أرمي إِلَى هَاهُنَا وَأَشَارَ إِلَى حلقه بِسَهْم
فأموت فَأدْخل الْجنَّة فَقَالَ إِن تصدق الله يصدقك فلبثوا قَلِيلا ثمَّ نهضوا إِلَى قتال الْعَدو فَأتي بِهِ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحمل قد أَصَابَهُ سهم حَيْثُ أَشَارَ فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أهوَ هُوَ قَالُوا نعم
قَالَ صدق الله فَصدقهُ ثمَّ كَفنه النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي جبته الَّتِي عَلَيْهِ ثمَّ قدمه فصلى عَلَيْهِ وَكَانَ مِمَّا ظهر من صلَاته اللَّهُمَّ هَذَا عَبدك خرج مُهَاجرا فِي سَبِيلك فَقتل شَهِيدا أَنا شَهِيد على ذَلِك

رَوَاهُ النَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৮৯
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে নিয়্যত বিশুদ্ধকরণের প্রতি উৎসাহ দান ও যারা জিহাদ করে পুণ্য, গনীমত ও প্রশংসা কামনা করে এবং যে মুজাহিদ যুদ্ধ করে গনীমত লাভ করে না, তাদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২০৮৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে সেনাদল নিরাপদে যুদ্ধ করে এবং গনীমত লাভ করে, তারা দুনিয়াতেই দু-তৃতীয়াংশ বিনিময় পেয়ে গেল। আর যে সেনাদল গনীমত পেলো না, ভয়-ভীতির সম্মুখীন হল এবং আঘাতপ্রাপ্ত হল, তাদের সওয়াব বা প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবেই হবে।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে। যে সেনাদল আল্লাহর পথে জিহাদ করে গনীমত পেল, তারা দুনিয়াতেই আখিরাতের দুই-তৃতীয়াংশ নগদ প্রতিদানরূপে পেয়ে গেল এবং তাদের এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকল। আর যদি তারা গনীমত না পেয়ে থাকে, তাহলে আখিরাতে তাদের পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ দ্বিতীয় বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي إخلاص النِّيَّة فِي الْجِهَاد وَمَا جَاءَ فِيمَن يُرِيد الْأجر وَالْغنيمَة وَالذكر وَفضل الْغُزَاة إِذا لم يغنموا
2089- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من غَازِيَة أَو سَرِيَّة تغزو فِي سَبِيل الله يسلمُونَ ويصيبون إِلَّا تعجلوا ثُلثي أجرهم وَمَا من غَازِيَة أَو سَرِيَّة تخفق وتخوف وتصاب إِلَّا تمّ أجرهم

وَفِي رِوَايَة مَا من غَازِيَة أَو سَرِيَّة تغزو فِي سَبِيل الله فيصيبون الْغَنِيمَة إِلَّا تعجلوا ثُلثي أجرهم من الْآخِرَة وَيبقى لَهُم الثُّلُث وَإِن لم يُصِيبُوا غنيمَة تمّ لَهُم أجرهم

رَوَاهُ مُسلم وروى أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه الثَّانِيَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯০
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বেঁচে থাকবে। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ। এগুলো কি? তিনি বললেন : (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা, (৩) অন্যায়ভাবে নর হত্যা যা আল্লাহ্ নিষিদ্ধ করেছেন তা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা, (৬) সৈন্যদল থেকে পালিয়ে আসা এবং (৭) সতী-সাধ্বী সরলা মু'মিন নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও বাযযার বর্ণনা করেছেন। বাযযারের শব্দমালা নিম্নরূপ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। কবীরা গুনাহ সাতটি। তন্মধ্যে প্রথমটি হল, আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, (৩) সুদ খাওয়া, (৪) ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা, (৫) সৈন্যদল থেকে পদায়ন করা, (৬) সতী নারীদের উপর অপবাদ দেয়া এবং (৭) হিজরতের পর আবার (কাফির) যাযাবরদের দিকে চলে যাওয়া।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2090- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اجتنبوا السَّبع الموبقات
قَالُوا يَا رَسُول الله وَمَا هن قَالَ الْإِشْرَاك بِاللَّه وَالسحر وَقتل النَّفس الَّتِي حرم الله إِلَّا بِالْحَقِّ وَأكل الرِّبَا وَأكل مَال الْيَتِيم والتولي يَوْم الزَّحْف وَقذف الْمُحْصنَات الْغَافِلَات الْمُؤْمِنَات

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالْبَزَّار وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْكَبَائِر سبع أولَاهُنَّ الْإِشْرَاك بِاللَّه وَقتل النَّفس بِغَيْر حَقّهَا وَأكل الرِّبَا وَأكل مَال الْيَتِيم والفرار يَوْم الزَّحْف وَقذف الْمُحْصنَات والانتقال إِلَى الْأَعْرَاب بعد هجرته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯১
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯১. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তিনটি স্বভাব থাকাবস্থায় কোন আমল উপকারে আসে না: (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) পিতামাতার অবাধ্যাচরণ এবং (৩) সৈন্যদল থেকে পালায়ন করা।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2091- وَرُوِيَ عَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة لَا ينفع مَعَهُنَّ عمل الشّرك بِاللَّه وعقوق الْوَالِدين والفرار من الزَّحْف

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯২
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না, পুণ্যের আশায় সন্তুষ্টচিত্তে নিজ মালের যাকাত আদায় করে এবং আমীরের আনুগত্য করে, তার জন্য রয়েছে জান্নাত। অথবা বলেছেন। সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
পাঁচটি গুনাহ এমন যে, এগুলোর কোন কাফফারা নেই: আল্লাহর সাথে শরীক করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, কোন মু'মিন ব্যক্তির উপর অপবাদ দেয়া, সৈন্যদল থেকে পলায়ন করা এবং অন্যের সম্পদ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কসম করা।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদীসে বাকিয়্যা ইব্‌ন ওলীদ নামক একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2092- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لَقِي الله عز وَجل لَا يُشْرك بِهِ شَيْئا وَأدّى زَكَاة مَاله طيبَة بهَا نَفسه محتسبا وَسمع وأطاع فَلهُ الْجنَّة أَو دخل الْجنَّة وَخمْس لَيْسَ لَهُنَّ كَفَّارَة الشّرك بِاللَّه وَقتل النَّفس بِغَيْر حق وبهت مُؤمن والفرار من الزَّحْف وَيَمِين صابرة يقتطع بهَا مَالا بِغَيْر حق

رَوَاهُ أَحْمد وَفِيه بَقِيَّة بن الْوَلِيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৩
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯৩. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বরে আরোহণ করে বললেন: আমি কসম করে বলছি! আমি কসম করে বলছি! তারপর মিম্বর থেকে অবতরণ করে বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর। সুসংবাদ গ্রহণ কর! যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে এবং কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
মুত্তালিব বলেন, আমি শুনেছি। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমরকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এগুলো বলতে শুনেছেন? আবদুল্লাহ্ বললেন: হ্যাঁ। পিতামাতার অব্যধ্যাচরণ, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, সতী নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া, ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা, সৈন্যদল থেকে পলায়ন করা এবং সুদ খাওয়া।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর সনদে মুসলিম ইব্‌ন ওয়ালীদ ইব্‌ন আব্বাস নামক এমন একজন ব্যক্তি রয়েছেন যার নির্ভরযোগ্যতা বা সমালোচনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2093- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ صعد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمِنْبَر فَقَالَ لَا أقسم لَا أقسم ثمَّ نزل فَقَالَ أَبْشِرُوا أَبْشِرُوا من صلى الصَّلَوَات الْخمس واجتنب الْكَبَائِر دخل من أَي أَبْوَاب الْجنَّة شَاءَ
قَالَ الْمطلب سَمِعت رجلا يسْأَل عبد الله بن عَمْرو أسمعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يذكرهن قَالَ نعم عقوق الْوَالِدين والشرك بِاللَّه وَقتل النَّفس وَقذف الْمُحْصنَات وَأكل مَال الْيَتِيم والفرار من الزَّحْف وَأكل الرِّبَا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِي إِسْنَاده مُسلم بن الْوَلِيد بن الْعَبَّاس لَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا عَدَالَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৪
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯৪. হযরত আবু বকর ইব্‌ন মুহাম্মদ ইব্‌ন আমর ইবন হাযম (রা) থেকে তাঁর পিতা-পিতামহ সূত্রে। বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইয়েমেনবাসীদের প্রতি ফরয, সুন্নত ও দিয়্যাতের বর্ণনা সম্বলিত একটি চিঠি পাঠালেন। উক্ত চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সব চেয়ে বড় গুনাহ হলো: আল্লাহর সাথে শিরক করা, অন্যায়ভাবে কোন মু'মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা, আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে পলায়ন করা, পিতামাতার অবাধ্যাচার, করা, সতী মহিলার প্রতি অপবাদ দেয়া, যাদু শিক্ষা করা, সুদ খাওয়া এবং ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2094- وَعَن أبي بكر بن مُحَمَّد بن عَمْرو بن حزم رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه عَن جده أَن
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كتب إِلَى أهل الْيمن بِكِتَاب فِيهِ الْفَرَائِض وَالسّنَن والديات فَذكر فِيهِ وَإِن أكبر الْكَبَائِر عِنْد الله يَوْم الْقِيَامَة الْإِشْرَاك بِاللَّه وَقتل النَّفس المؤمنة بِغَيْر الْحق والفرار فِي سَبِيل الله يَوْم الزَّحْف وعقوق الْوَالِدين وَرمي المحصنة وَتعلم السحر وَأكل الرِّبَا وَأكل مَال الْيَتِيم
الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ২০৯৫
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন থেকে ভীতি প্রদর্শন
২০৯৫. হযরত উবায়দ ইবন উমায়র আল-লাইসী (রা) থেকে তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জে বলেছেন: আল্লাহর প্রিয়পাত্র হলেন নামাযী ব্যক্তিগণ। যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্তের ফরয সালাতসমূহ কায়েম করে, রমযানের রোযা রাখে, রোযার পরিবর্তে সে পুণ্যের আশা করে, পূতঃ মনে সওয়াবের আশায় সঠিকভাবে যাকাত আদায় করে, আল্লাহ্ কর্তৃক নিষিদ্ধ কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকে। এক সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। কবীরা গুনাহ কয়টি? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: কবীরা গুনাহ নয়টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো আল্লাহর সাথে শিরক করা, অন্যায়ভাবে কোন মু'মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা, সতী সাধ্বী নারীর উপর অপবাদ দেয়া, ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা, সুদ গ্রহণ করা, মুসলমান পিতামাতার অবাধ্যাচরণ, তোমাদের জীবন-মৃত্যুর কিবলা বায়তুল্লাহ্ শরীফের অমর্যাদা করা। যে ব্যক্তি উল্লিখিত কবীরা গুনাহসমূহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করবে এবং সালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে জান্নাতের মধ্যস্থলের একটি সুউচ্চ স্থানে অবস্থান করবে, যে স্থানের দরজাগুলো সোনার পাতের তৈরি।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর'-এ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।
(হাফিয বলেন): শাফিঈ (র) বলেছেনঃ যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমানদের শত্রু যদি তাদের দ্বিগুণ হয়, এমতাবস্থায় যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন অথবা নতুন সৈন্যদলের সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়া রণাঙ্গণ থেকে পলায়ন করা মুসলমানদের জন্য হারাম। আর শত্রুবাহিনী মুসলমান সৈন্য সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি হলেও আমি তাদের পলায়ন করা পসন্দ করি না। তবে কৌশল পরিবর্তন ও অন্য সৈন্যদের সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্য ব্যতীত পলায়ন করলেও আমার দৃষ্টিতে আল্লাহর কাছে তারা অপরাধী বলে গণ্য হবে না। এটিই ইবন আব্বাসের মশহুর অভিমত।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْفِرَار من الزَّحْف
2095- وَعَن عبيد بن عُمَيْر اللَّيْثِيّ عَن أَبِيه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي حجَّة الْوَدَاع إِن أَوْلِيَاء الله المصلون وَمن يُقيم الصَّلَوَات الْخمس الَّتِي كتبهن الله عَلَيْهِ ويصوم رَمَضَان ويحتسب صَوْمه وَيُؤْتى الزَّكَاة محتسبا طيبَة بهَا نَفسه ويجتنب الْكَبَائِر الَّتِي نهى الله عَنْهَا
فَقَالَ رجل من أَصْحَابه يَا رَسُول الله وَكم الْكَبَائِر قَالَ تسع أعظمهن الْإِشْرَاك بِاللَّه وَقتل الْمُؤمن بِغَيْر حق والفرار من الزَّحْف وَقذف المحصنة وَالسحر وَأكل مَال الْيَتِيم وَأكل الرِّبَا وعقوق الْوَالِدين الْمُسلمين وَاسْتِحْلَال الْبَيْت الْحَرَام قبلتكم أَحيَاء وأمواتا لَا يَمُوت رجل لم يعْمل هَؤُلَاءِ الْكَبَائِر
وَيُقِيم الصَّلَاة ويؤتي الزَّكَاة إِلَّا رافق مُحَمَّدًا صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي بحبوحة جنَّة أَبْوَابهَا مصاريع الذَّهَب

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن
بحبوحة الْمَكَان بحاءين مهملتين وياءين موحدتين مضمومتين هُوَ وَسطه
قَالَ الْحَافِظ كَانَ الشَّافِعِي رَضِي الله عَنهُ يَقُول إِذا غزا الْمُسلمُونَ فَلَقوا ضعفهم من الْعَدو حرم عَلَيْهِم أَن يولوا إِلَّا متحرفين لقِتَال أَو متحيزين إِلَى فِئَة وَإِن كَانَ الْمُشْركُونَ أَكثر من ضعفهم لم أحب لَهُم أَن يولوا وَلَا يستوجبون السخط عِنْدِي من الله لَو ولوا عَنْهُم على غير التحرف لِلْقِتَالِ أَو التحيز إِلَى فِئَة
وَهَذَا مَذْهَب ابْن عَبَّاس الْمَشْهُور عَنهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৬
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ নৌ-যুদ্ধে উৎসাহদান এবং দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে একটি নৌ-যুদ্ধ শ্রেষ্ঠ, এই প্রসঙ্গ
২০৯৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উম্মে হারাম বিন্‌তে মিলহান-এর ঘরে যেতেন আর উম্মে হারাম তাঁকে সাদরে আপ্যায়ন করতেন। উম্মে হারাম ছিলেন উবাদা ইব্‌ন সামিত (রা)-এর বিবাহিতা স্ত্রী। একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মে হারামের ঘরে আগমন করলেন। আপ্যায়ণ পর্ব শেষ করে উম্মে হারাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর শিয়রের পাশে বসে মাথা আঁচড়ে দিচ্ছিলেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। কতক্ষণ পর হাসতে হাসতে তিনি জেগে উঠলেন। উম্মে হারাম বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন জিনিস আপনাকে হাসাচ্ছে? তিনি বললেন, আমাকে স্বপ্নে দেখানো হল, আমার উম্মতের একটি দল অথৈ সমুদ্রের মধ্যস্থলে রাজ সিংহাসনে বসে অথবা রাজার সিংহাসনে বসার মত নিঃশংকায় আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছে। উম্মে হারাম বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। তারপর উম্মে হারামের জন্য দু'আ করে তিনি আবার মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। আবার তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। উম্মে হারাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কোন জিনিসটি আপনাকে হাসাচ্ছে? তিনি পূর্বের মত বললেন, আমাকে দেখানো হল, আমার উম্মতের একটি দল সমুদ্রের মাঝখানে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছে। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। রাসূলুল্লাহ বললেন: তুমি তাদের প্রথম দলের অন্তভুক্ত।
হযরত মু'আবিয়া (রা)-এর শাসনামলে নৌ-যুদ্ধে যাবার জন্য উম্মে হারাম সফর করেন। কিন্তু সমুদ্র থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাহন তাকে পিঠ থেকে ফেলে দেয়, আর এতেই তিনি শাহাদতবরণ করেন। (হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ মুসলিম-এর।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الْغُزَاة فِي الْبَحْر وَأَنَّهَا أفضل من عشر غزوات فِي الْبر
2096- عَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يدْخل على أم حرَام بنت ملْحَان فتطعمه وَكَانَت أم حرَام تَحت عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ فَدخل عَلَيْهَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فأطعمته ثمَّ جَلَست تفلي رَأسه فَنَامَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ
يضْحك
قَالَت فَقلت يَا رَسُول الله مَا يضحكك قَالَ نَاس من أمتِي عرضوا عَليّ غزَاة فِي سَبِيل الله يركبون ثبج هَذَا الْبَحْر ملوكا على الأسرة أَو مثل الْمُلُوك على الأسرة
قَالَت فَقلت يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يَجْعَلنِي مِنْهُم فَدَعَا لَهَا ثمَّ وضع رَأسه فَنَامَ ثمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يضْحك
قَالَت فَقلت مَا يضحكك يَا رَسُول الله قَالَ نَاس من أمتِي عرضوا عَليّ غزَاة فِي سَبِيل الله كَمَا قَالَ فِي الأولى
قَالَت فَقلت يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يَجْعَلنِي مِنْهُم قَالَ أَنْت من الْأَوَّلين
فركبت أم حرَام بنت ملْحَان الْبَحْر فِي زمن مُعَاوِيَة فصرعت عَن دابتها حِين خرجت من الْبَحْر فَهَلَكت رَضِي الله عَنْهَا

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৭
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ নৌ-যুদ্ধে উৎসাহদান এবং দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে একটি নৌ-যুদ্ধ শ্রেষ্ঠ, এই প্রসঙ্গ
২০৯৭. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কখনো হজ্জব্রত পালন করেনি, তার একটি হজ্জ দশটি জিহাদের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি হজ্জ আদায় করেছে, তার জন্য একটি জিহাদ দশটি হজ্জের চেয়েও উত্তম এবং একটি নৌ-জিহাদ দশটি স্থল-জিহাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট। যে ব্যক্তি একটি সমুদ্রে বিচরণ করল, সে যেন সারা পৃথিবীর সকল দুর্গম স্থানই অতিক্রম করল। প্রতিকূল আবহওয়ায় সমুদ্র গমনকারী নিজ রক্তে রঞ্জিত ব্যক্তির মত।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন। উভয়ের বর্ণনা লাইস-এর কাতিব আবদুল্লাহ ইবন সালিহ সূত্রে বর্ণিত।
"সমুদ্রের একটি জিহাদ দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে উত্তম" এ থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত হাদীসটি হাকিমও বর্ণনা করে বলেছেন: বুখারীর শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ।
আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সালিহ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তাতে কোন ক্ষতি নেই, কারণ বুখারী তাঁর নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الْغُزَاة فِي الْبَحْر وَأَنَّهَا أفضل من عشر غزوات فِي الْبر
2097- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حجَّة لمن لم يحجّ خير من عشر غزوات وغزوة لمن قد حج خير من عشر حجج وغزوة فِي الْبَحْر خير من عشر غزوات فِي الْبر وَمن أجَاز الْبَحْر فَكَأَنَّمَا أجَاز الأودية كلهَا والمائد فِيهِ كالمتشحط فِي دَمه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث
وروى الْحَاكِم مِنْهُ غَزْوَة فِي الْبَحْر خير من عشر غزوات فِي الْبر إِلَى آخِره وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَهُوَ كَمَا قَالَ وَلَا يضر مَا قيل فِي عبد الله بن صَالح فَإِن البُخَارِيّ احْتج بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৮
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ নৌ-যুদ্ধে উৎসাহদান এবং দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে একটি নৌ-যুদ্ধ শ্রেষ্ঠ, এই প্রসঙ্গ
২০৯৮. হযরত ইমরান ইবন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একটি নৌ-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল, আর আল্লাহ্ ভাল জানেন কে তাঁর রাস্তায় জিহাদ করে, সে যেন আল্লাহ্ তা'আলার সকল নির্দেশ পালন করেছে এবং জান্নাতের সকল চাওয়া সে চেয়ে ফেলেছে এবং জাহান্নাম থেকে পলায়নের সকল প্রচেষ্টাই সে সমাপ্ত করেছে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'মাআজীম'-এ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الْغُزَاة فِي الْبَحْر وَأَنَّهَا أفضل من عشر غزوات فِي الْبر
2098- وَرُوِيَ عَن عمرَان بن حُصَيْن رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من غزا فِي سَبِيل الله غَزْوَة فِي الْبَحْر وَالله أعلم بِمن يَغْزُو فِي سَبيله فقد أدّى إِلَى الله طَاعَته كلهَا وَطلب الْجنَّة كل مطلب وهرب من النَّار كل مهرب

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي معاجيمه الثَّلَاثَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০৯৯
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ নৌ-যুদ্ধে উৎসাহদান এবং দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে একটি নৌ-যুদ্ধ শ্রেষ্ঠ, এই প্রসঙ্গ
২০৯৯. হযরত উম্মে হারাম (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সমুদ্রে গমনকালে যে মুজাহিদের বমি হয়, সে শহীদের সওয়াব পাবে এবং যে ডুবে মারা যায়, সেও শহীদের সওয়াব পাবে।
(হাদীসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الْغُزَاة فِي الْبَحْر وَأَنَّهَا أفضل من عشر غزوات فِي الْبر
2099- وَعَن أم حرَام رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ المائد فِي الْبَحْر الَّذِي يُصِيبهُ الْقَيْء لَهُ أجر شَهِيد والغريق لَهُ أجر شَهِيد

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১০০
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ নৌ-যুদ্ধে উৎসাহদান এবং দশটি স্থল-যুদ্ধের চেয়ে একটি নৌ-যুদ্ধ শ্রেষ্ঠ, এই প্রসঙ্গ
২১০০. হযরত ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ মায় বলেছেনঃ যে ব্যক্তির আমার সাথে কোন যুদ্ধ ছুটে গেছে, সে যেন সমুদ্র-যুদ্ধ করে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الْغُزَاة فِي الْبَحْر وَأَنَّهَا أفضل من عشر غزوات فِي الْبر
2100- وَرُوِيَ عَن وَاثِلَة بن الْأَسْقَع رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من فَاتَهُ الْغَزْو معي فليغز فِي الْبَحْر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১০১
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আত্মসাৎ থেকে ভীতি প্রদর্শন ও এর ভয়াবহতা এবং আত্মসাৎকারীর বিষয় গোপন করার গুনাহ প্রসঙ্গ
২১০১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সফর সামান বা গনীমতের মাল বহন করার জন্য একজন লোক ছিল, তাকে কারকারা বলে ডাকা হত। সে যখন মারা গেল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সে জাহান্নামী। তখন মানুষ তাকে দেখতে গিয়ে তার কাছে গচ্ছিত একটি চাপকান পেল যা সে আত্মসাৎ করেছিল।
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বুখারী বলেন, ইবন সালাম বলেছেন, كركرة শব্দের উভয় এ যবর দ্বারা পড়তে হবে।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْغلُول وَالتَّشْدِيد فِيهِ وَمَا جَاءَ فِيمَن ستر على غال
2101- عَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كَانَ على ثقل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجل يُقَال لَهُ كركرة فَمَاتَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هُوَ فِي النَّار فَذَهَبُوا ينظرُونَ إِلَيْهِ فوجدوا عباءة قد غلها

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَقَالَ قَالَ ابْن سَلام كركرة يَعْنِي بفتحهما
হাদীস নং: ২১০২
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আত্মসাৎ থেকে ভীতি প্রদর্শন ও এর ভয়াবহতা এবং আত্মসাৎকারীর বিষয় গোপন করার গুনাহ প্রসঙ্গ
২১০২. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন শাকীক (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট থেকে শুনেছেন এমন এক ব্যক্তি তাঁকে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ওয়াদিউল কুরায় অবস্থান করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি এসে বললো, আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত দাস অথবা গোলামটি শহীদ হয়েছে। তিনি বললেন: না, বরং তাকে টেনে হেঁচড়ে জাহান্নামে নেয়া হচ্ছে। কারণ সে একটি চাপকান আত্মসাৎ করেছিল।
(হাদীসটি আহমদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْهِيب من الْغلُول وَالتَّشْدِيد فِيهِ وَمَا جَاءَ فِيمَن ستر على غال
2102- وَعَن عبد الله بن شَقِيق أَنه أخبرهُ من سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ بوادي الْقرى وجاءه رجل فَقَالَ اسْتشْهد مَوْلَاك أَو قَالَ غلامك فلَان قَالَ بل يجر إِلَى النَّار فِي عباءة غلها

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح
tahqiq

তাহকীক: