মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
২২. আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৮১
আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আত্মাকে নরমকারী কথাবার্তা
হাদীস নং- ৪৮১
হযরত নুমান ইব্ন বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : মানুষের (দেহের) মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে। যখন এটা সুস্থ ও সঠিক থাকে, তখন তার সমস্ত দেহ সুস্থ থাকে। যখন এটা অসুস্থ হয়, তখন সমস্ত দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাবধান হও! এটা (গোশতের টুকরা) হলো দিল বা আত্মা।
হযরত নুমান ইব্ন বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : মানুষের (দেহের) মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে। যখন এটা সুস্থ ও সঠিক থাকে, তখন তার সমস্ত দেহ সুস্থ থাকে। যখন এটা অসুস্থ হয়, তখন সমস্ত দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাবধান হও! এটা (গোশতের টুকরা) হলো দিল বা আত্মা।
كتاب الآداب
عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ فِي الْإِنْسَانِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ بِهَا سَائِرُ الْجَسَدِ، وَإِذَا سَقِمْتَ سَقِمَ بِهَا سَائِرُ الْجَسَدِ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ»
হাদীস নং: ৪৮২
আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আত্মাকে নরমকারী কথাবার্তা
হাদীস নং- ৪৮২
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা অনবরত তিন দিন তিন রাত্র কখনো পেটপুরে তৃপ্তি সহকারে রুটি খেতে পারিনি। এমনি অবস্থায় হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাদের থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। অভাব-অনটন সর্বদা আমাদেরকে আচ্ছাদিত করে রাখে। অবশেষে হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাদের থেকে চির বিদায় গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের পর দুনিয়া আমাদের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
কোন কোন বর্ণনায় صبت علينا صبا এর পরিবর্তে صب الدنيا علينا صبا উল্লেখ রয়েছে।
কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজন তিন দিন অনবরত কখনো পেটপুরে তৃপ্তি সহকারে গমের রুটি খেতে পারেননি।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা অনবরত তিন দিন তিন রাত্র কখনো পেটপুরে তৃপ্তি সহকারে রুটি খেতে পারিনি। এমনি অবস্থায় হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাদের থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। অভাব-অনটন সর্বদা আমাদেরকে আচ্ছাদিত করে রাখে। অবশেষে হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাদের থেকে চির বিদায় গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের পর দুনিয়া আমাদের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
কোন কোন বর্ণনায় صبت علينا صبا এর পরিবর্তে صب الدنيا علينا صبا উল্লেখ রয়েছে।
কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজন তিন দিন অনবরত কখনো পেটপুরে তৃপ্তি সহকারে গমের রুটি খেতে পারেননি।
كتاب الآداب
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «مَا شَبِعْنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا مِنْ خُبْزٍ مُتَتَابِعًا، حَتَّى فَارَقَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدُّنْيَا، وَمَازَالَتِ الدُّنْيَا عَلَيْنَا عَسِرَةً، حَتَّى فَارَقَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدُّنْيَا، فَلَمَّا فَارَقَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدُّنْيَا صُبَّتْ عَلَيْنَا صَبًّا» ، وَفِي رِوَايَةٍ: «صَبَّ الدُّنْيَا عَلَيْنَا صَبًّا» .
وَفِي رِوَايَةٍ: «مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مَتَوَالِيَةٍ مِنْ خُبْزِ الْبُرِّ»
وَفِي رِوَايَةٍ: «مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مَتَوَالِيَةٍ مِنْ خُبْزِ الْبُرِّ»
হাদীস নং: ৪৮৩
আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আত্মাকে নরমকারী কথাবার্তা
হাদীস নং- ৪৮৩
হযরত আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত একবার, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলেন। এ সময় তিনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং একটি কাতওয়ানী অমসৃণ চাদর গায়ে শায়িত ছিলেন, তাঁর বালিশটি ছিল পশমের, যার ভিতরে ছিল।ইযখির নামক ঘাস। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন : আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক, হে আল্লাহর রাসূল! কিসরা ও কায়সার (ইরান ও রোম অধিপত্তির উপাধী) বাদশাহ রেশমী গালিচায় (শয়ন করে) থাকে, আর আপনি এ অবস্থায়। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ হে উমর! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট হতে পার না যে, এ কাফিরদের জন্য হলো (অস্থায়ী) দুনিয়া এবং তোমাদের জন্য পরকালের (স্থায়ী সুখ)।
অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ স্পর্শ করে দেখতে পেলেন, তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন, আপনি এরূপ মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত অথচ আপনি আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি বললেন, এ উম্মতের মধ্যে কঠোর পরীক্ষা হলো তাদের নবীর জন্য, এরপর একটু কম নেককারদের জন্য, অতঃপর অপেক্ষাকৃত কম নেককারদের জন্য, তোমাদের পূর্ববর্তী নবী ও তাঁদের উম্মতদের ছিল এ অবস্থা।
হযরত আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত একবার, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলেন। এ সময় তিনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং একটি কাতওয়ানী অমসৃণ চাদর গায়ে শায়িত ছিলেন, তাঁর বালিশটি ছিল পশমের, যার ভিতরে ছিল।ইযখির নামক ঘাস। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন : আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোক, হে আল্লাহর রাসূল! কিসরা ও কায়সার (ইরান ও রোম অধিপত্তির উপাধী) বাদশাহ রেশমী গালিচায় (শয়ন করে) থাকে, আর আপনি এ অবস্থায়। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ হে উমর! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট হতে পার না যে, এ কাফিরদের জন্য হলো (অস্থায়ী) দুনিয়া এবং তোমাদের জন্য পরকালের (স্থায়ী সুখ)।
অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ স্পর্শ করে দেখতে পেলেন, তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন, আপনি এরূপ মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত অথচ আপনি আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি বললেন, এ উম্মতের মধ্যে কঠোর পরীক্ষা হলো তাদের নবীর জন্য, এরপর একটু কম নেককারদের জন্য, অতঃপর অপেক্ষাকৃত কম নেককারদের জন্য, তোমাদের পূর্ববর্তী নবী ও তাঁদের উম্মতদের ছিল এ অবস্থা।
كتاب الآداب
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِكَاةٍ شَكَاهَا، فَإِذَا هُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى عَبَاءَةٍ قَطْوَانِيَّةٍ وَمَرْفَقَةٍ مِنْ صُوفٍ حَشْوُهَا مِنْ إِذْخِرٍ، فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، كِسْرَى وَقَيْصَرُ عَلَى الدِّيبَاجِ! فَقَالَ: " يَا عُمَرُ، أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ؟ ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ مَسَّهُ فَإِذَا هُوَ فِي شِدَّةِ الْحُمَّى، فَقَالَ: تُحَمُّ هَكَذَا وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَشَدَّ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَلَاءً نَبِيُّهَا، ثُمَّ الْخَيِّرُ، ثُمَّ الْخَيِّرُ، وَكَذَلِكَ كَانَتِ الْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ قَبْلَكُمْ وَالْأُمَمُ "
তাহকীক: