মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১৫. শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৬
বিবাহিত ব্যভিচারীকে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা
হাদীস নং- ৩১৬
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার মায়েয ইব্ন মালিক (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করেন এবং বলেন, কল্যাণ থেকে দূরে পতিত ব্যক্তি ব্যতিচার করেছে। আপনি তার উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর ঐ ব্যক্তি দ্বিতীয়বার আগমণ করে একই কথা পুনরায় বলেন। হুযুর (ﷺ) এবারও তাকে ফিরিয়ে দেন। অতঃপর তৃতীয়বার আগমণ করে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন এবং শাস্তির আবেদন করেন। এবার তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। চতুর্থবার লোকটি এসে আরয করেন, কল্যাণ ও মঙ্গল থেকে দূরে পতিত বা অবস্থানকারী ব্যাক্তি ব্যাভিচার করেছে। আপনি তার উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তখন তিনি তাঁর সাহাবাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন লোকটি কি পাগল? সাহাবাগণ বললেন, জ্বি না। নবী করীম (ﷺ) বললেন: লোকটিকে নিয়ে যাও এবং তার উপর পাথর নিক্ষেপ করে তাকে শাস্তি প্রদান কর (কেননা এ লোকটি বিবাহিত ছিল)।
বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং পাথর মেরে শাস্তি দেয়া শুরু হলো কিন্তু তার মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল। ফলে সে অধিক কংকরময় স্থানে গিয়ে দাঁড়াল যাতে দ্রুত মৃত্যু হয়। মুসলমানগণ পিছনে গমন করে এবং তাকে এভাবে পাথর নিক্ষেপ করে যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর এ সংবাদ নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট পৌঁছে, তখন তিনি বললেনঃ কেন তোমরা তার পিছু ত্যাগ করনি (যখন সে তার স্থান ত্যাগ করে)? লোকজন মায়েয ইব্ন মালিক সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি করতে থাকে। কেউ বলেন, মায়েয আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ বলেন, এটা তার জন্য তওবা হবে। এ সংবাদ নবী করীম (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছলে তিনি বললেন : মায়েয যে তওবা করেছে, যদি দলবদ্ধ হয়ে লোকজন এরূপ তওবা করে, তা হলে তা কবুল হবে। এ সংবাদ যখন লোকজনের নিকট পৌঁছে, তখন মায়েয-এর ক্ষমার ব্যাপারে তারা আশা পোষণ করে। এরপর হুযূর (ﷺ)-এর নিকট মায়েয-এর মৃতদেহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তিনি বললেন: তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তির জন্য যা কর, তার জন্যও এ সমস্ত কর অর্থাৎ দাফন কাফন কর, তার জন্য জানাযার নামায আদায় কর। বুঝায়দা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর লোকজন তাকে নিয়ে যায় এবং তার জানাযার নামায আদায় করে (দাফনের ব্যবস্থা করে)।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, মায়েয ইব্ন মালিক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করে এবং ব্যভিচারের স্বীকার করে। তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। সে দ্বিতীয়বার এসে ব্যভিচারের স্বীকার করে। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। সে তৃতীয়বারও এসে ব্যভিচারের স্বীকার করে। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। পুনরায় সে আসে এবং চতুর্থবারের মত ব্যভিচারের স্বীকার করে। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেন : তার বিবেক কি লোপ পেয়েছে অথবা সে কি পাগল হয়ে গিয়েছে। লোকজন বলল, জ্বি না। বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তখন হুযুর (ﷺ) নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাকে অপেক্ষাকৃত কম কংকরময় স্থানে পাথর নিক্ষেপ কর যেন তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। বুবায়দা বলেন, (পাথর নিক্ষেপের পর) যখন তার মৃত্যুর বিলম্ব হচ্ছে তখন সে অধিক কংকরময় স্থানের দিকে সৌড়িয়ে যায়। লোকজনও তার পিছনে সেখানে গমন করে এবং এমনিভাবে পাথর নিক্ষেপ করে যে, সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর লোকজন এ ঘটনা রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করল।তিনি বললেন তোমরা কেন তার পিছু ছাড়লে না, বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তার গোত্রের লোকেরা আঁ হযরত (ﷺ)-এর নিকট তার দাফন ও জানাযার নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাদেরকে দাফন-কাফনের অনুমতি প্রদান করেন এবং বলেন : সে এমন তওবা করেছে যে, দলবদ্ধ হয়ে যদি মানুষ এরূপ তওবা করে, তা হলে তাদের তওবাও কবুল হতো।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, যখন নবী করীম (ﷺ) মায়েয ইব্ন মালিককে (অপরাধ স্বীকারোক্তির কারণে) পাথর মেরে শাস্তি প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন, তখন সে অপেক্ষাকৃত কম কংকরময় স্থানে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু যখন মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল, তখন সে অধিক কংকরময় স্থানে গমন করে এবং মানুষও তার পিছনে সেখানে গমন করে, এরপর পাথর নিক্ষেপ করে। যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনা নবী করীম (ﷺ)-এর পৌঁছলো। তখন তিনি বললেন, তোমরা তার পথ কেন ছেড়ে দিলে না? (অর্থাৎ তাকে যেতে দেয়া উচিৎ ছিল)।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, মায়েয যখন পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে, তখন মানুষ তার সম্পর্কে বিভিন্ন সমালোচনা করতে থাকে। কোন এক ব্যক্তি বললেন, মায়েয আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ বলেন, মায়েয এভাবে তওবা করেছে। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পৌঁছে। তখন তিনি বলেন: মায়েয এরূপ তওবা করেছে যদি এ তওবা কোন কর আদায়কারী করে, তাহলে তার তওবা কবুল করা হবে। অথবা লোকজন সম্মিলিতভাবে এ তওবা করলে তাদের তওবা কবূল হবে।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপবিষ্ট অবস্থায় ছিলেন। এ সময় মায়েয ইব্ন মালিক তাঁর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, আমি ব্যভিচার করেছি, আমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। নবী করীম (ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর সে তিনবার এরূপ করে। আঁ হযরত (ﷺ) প্রত্যেকবার তাকে ফিরিয়ে দেন এবং নিজে মুখ ফিরিয়ে নেন। চতুর্থবারে তিনি লোকজনের নিকট জিজ্ঞাসা করেন। তোমরা কি তার জ্ঞানে কোন ত্রুটি দেখতে পেয়েছ? লোকজন বলল, আমরা তাকে একজন বুদ্ধিমান ও কল্যাণমূলক কাজ করে বলেই জানি। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ তাকে নিয়ে যাও এবং রজম কর বা পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি প্রদান কর। বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তাকে কম কংকরময় স্থানে নেয়া হলো। যখন তাকে পাথর মারা শুরু হলো, তখন সে ভীষণ ভয় পেয়ে গেল এবং সেখান থেকে দৌড়িয়ে অধিক কংকরময় স্থানে গিয়ে পৌঁছলো। সেখানে তার উপর পাথর নিক্ষেপ করা হলে সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর লোকজন এ ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যখন মায়েযের উপর পাথর নিক্ষেপ করা হলো, তখন সে ভয় পেয়ে যায় এবং পলায়ন করতে থাকে। তিনি এটা শুনে বললেন : তাকে কেন যেতে দিলে না। এরপর লোকজন তার সম্পর্কে বিভিন্ন সমালোচনা করতে লাগল। একদল বলল, মায়েয ধ্বংস হয়েছে এবং সে আত্মহত্যা করেছে। অপর একদল বলে, সে আল্লাহর দরবারে এমন মকবুল তওবা করেছে যে, যদি কোন একদল এরূপ করত, তাহলে তাদের তওবা কবুল হতো। লোকজন জিজ্ঞাসা করলো হে আল্লাহর রাসূল। তার মৃতদেহ কি করব? তিনি বললেন তোমরা তোমাদের মৃতব্যক্তির জন্য যা কর, তা এর জন্য কর। যেমন গোসল, কাফন, খুশবু, নামায এবং দাফন। এ হাদীস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার মায়েয ইব্ন মালিক (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করেন এবং বলেন, কল্যাণ থেকে দূরে পতিত ব্যক্তি ব্যতিচার করেছে। আপনি তার উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর ঐ ব্যক্তি দ্বিতীয়বার আগমণ করে একই কথা পুনরায় বলেন। হুযুর (ﷺ) এবারও তাকে ফিরিয়ে দেন। অতঃপর তৃতীয়বার আগমণ করে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন এবং শাস্তির আবেদন করেন। এবার তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। চতুর্থবার লোকটি এসে আরয করেন, কল্যাণ ও মঙ্গল থেকে দূরে পতিত বা অবস্থানকারী ব্যাক্তি ব্যাভিচার করেছে। আপনি তার উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তখন তিনি তাঁর সাহাবাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন লোকটি কি পাগল? সাহাবাগণ বললেন, জ্বি না। নবী করীম (ﷺ) বললেন: লোকটিকে নিয়ে যাও এবং তার উপর পাথর নিক্ষেপ করে তাকে শাস্তি প্রদান কর (কেননা এ লোকটি বিবাহিত ছিল)।
বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং পাথর মেরে শাস্তি দেয়া শুরু হলো কিন্তু তার মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল। ফলে সে অধিক কংকরময় স্থানে গিয়ে দাঁড়াল যাতে দ্রুত মৃত্যু হয়। মুসলমানগণ পিছনে গমন করে এবং তাকে এভাবে পাথর নিক্ষেপ করে যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর এ সংবাদ নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট পৌঁছে, তখন তিনি বললেনঃ কেন তোমরা তার পিছু ত্যাগ করনি (যখন সে তার স্থান ত্যাগ করে)? লোকজন মায়েয ইব্ন মালিক সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি করতে থাকে। কেউ বলেন, মায়েয আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ বলেন, এটা তার জন্য তওবা হবে। এ সংবাদ নবী করীম (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছলে তিনি বললেন : মায়েয যে তওবা করেছে, যদি দলবদ্ধ হয়ে লোকজন এরূপ তওবা করে, তা হলে তা কবুল হবে। এ সংবাদ যখন লোকজনের নিকট পৌঁছে, তখন মায়েয-এর ক্ষমার ব্যাপারে তারা আশা পোষণ করে। এরপর হুযূর (ﷺ)-এর নিকট মায়েয-এর মৃতদেহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তিনি বললেন: তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তির জন্য যা কর, তার জন্যও এ সমস্ত কর অর্থাৎ দাফন কাফন কর, তার জন্য জানাযার নামায আদায় কর। বুঝায়দা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর লোকজন তাকে নিয়ে যায় এবং তার জানাযার নামায আদায় করে (দাফনের ব্যবস্থা করে)।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, মায়েয ইব্ন মালিক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে আগমণ করে এবং ব্যভিচারের স্বীকার করে। তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। সে দ্বিতীয়বার এসে ব্যভিচারের স্বীকার করে। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। সে তৃতীয়বারও এসে ব্যভিচারের স্বীকার করে। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। পুনরায় সে আসে এবং চতুর্থবারের মত ব্যভিচারের স্বীকার করে। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেন : তার বিবেক কি লোপ পেয়েছে অথবা সে কি পাগল হয়ে গিয়েছে। লোকজন বলল, জ্বি না। বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তখন হুযুর (ﷺ) নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাকে অপেক্ষাকৃত কম কংকরময় স্থানে পাথর নিক্ষেপ কর যেন তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। বুবায়দা বলেন, (পাথর নিক্ষেপের পর) যখন তার মৃত্যুর বিলম্ব হচ্ছে তখন সে অধিক কংকরময় স্থানের দিকে সৌড়িয়ে যায়। লোকজনও তার পিছনে সেখানে গমন করে এবং এমনিভাবে পাথর নিক্ষেপ করে যে, সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর লোকজন এ ঘটনা রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করল।তিনি বললেন তোমরা কেন তার পিছু ছাড়লে না, বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তার গোত্রের লোকেরা আঁ হযরত (ﷺ)-এর নিকট তার দাফন ও জানাযার নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাদেরকে দাফন-কাফনের অনুমতি প্রদান করেন এবং বলেন : সে এমন তওবা করেছে যে, দলবদ্ধ হয়ে যদি মানুষ এরূপ তওবা করে, তা হলে তাদের তওবাও কবুল হতো।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, যখন নবী করীম (ﷺ) মায়েয ইব্ন মালিককে (অপরাধ স্বীকারোক্তির কারণে) পাথর মেরে শাস্তি প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন, তখন সে অপেক্ষাকৃত কম কংকরময় স্থানে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু যখন মৃত্যু বিলম্ব হতে লাগল, তখন সে অধিক কংকরময় স্থানে গমন করে এবং মানুষও তার পিছনে সেখানে গমন করে, এরপর পাথর নিক্ষেপ করে। যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনা নবী করীম (ﷺ)-এর পৌঁছলো। তখন তিনি বললেন, তোমরা তার পথ কেন ছেড়ে দিলে না? (অর্থাৎ তাকে যেতে দেয়া উচিৎ ছিল)।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, মায়েয যখন পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে, তখন মানুষ তার সম্পর্কে বিভিন্ন সমালোচনা করতে থাকে। কোন এক ব্যক্তি বললেন, মায়েয আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ বলেন, মায়েয এভাবে তওবা করেছে। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পৌঁছে। তখন তিনি বলেন: মায়েয এরূপ তওবা করেছে যদি এ তওবা কোন কর আদায়কারী করে, তাহলে তার তওবা কবুল করা হবে। অথবা লোকজন সম্মিলিতভাবে এ তওবা করলে তাদের তওবা কবূল হবে।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপবিষ্ট অবস্থায় ছিলেন। এ সময় মায়েয ইব্ন মালিক তাঁর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, আমি ব্যভিচার করেছি, আমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। নবী করীম (ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর সে তিনবার এরূপ করে। আঁ হযরত (ﷺ) প্রত্যেকবার তাকে ফিরিয়ে দেন এবং নিজে মুখ ফিরিয়ে নেন। চতুর্থবারে তিনি লোকজনের নিকট জিজ্ঞাসা করেন। তোমরা কি তার জ্ঞানে কোন ত্রুটি দেখতে পেয়েছ? লোকজন বলল, আমরা তাকে একজন বুদ্ধিমান ও কল্যাণমূলক কাজ করে বলেই জানি। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ তাকে নিয়ে যাও এবং রজম কর বা পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি প্রদান কর। বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, তাকে কম কংকরময় স্থানে নেয়া হলো। যখন তাকে পাথর মারা শুরু হলো, তখন সে ভীষণ ভয় পেয়ে গেল এবং সেখান থেকে দৌড়িয়ে অধিক কংকরময় স্থানে গিয়ে পৌঁছলো। সেখানে তার উপর পাথর নিক্ষেপ করা হলে সে মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর লোকজন এ ঘটনা বর্ণনা করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যখন মায়েযের উপর পাথর নিক্ষেপ করা হলো, তখন সে ভয় পেয়ে যায় এবং পলায়ন করতে থাকে। তিনি এটা শুনে বললেন : তাকে কেন যেতে দিলে না। এরপর লোকজন তার সম্পর্কে বিভিন্ন সমালোচনা করতে লাগল। একদল বলল, মায়েয ধ্বংস হয়েছে এবং সে আত্মহত্যা করেছে। অপর একদল বলে, সে আল্লাহর দরবারে এমন মকবুল তওবা করেছে যে, যদি কোন একদল এরূপ করত, তাহলে তাদের তওবা কবুল হতো। লোকজন জিজ্ঞাসা করলো হে আল্লাহর রাসূল। তার মৃতদেহ কি করব? তিনি বললেন তোমরা তোমাদের মৃতব্যক্তির জন্য যা কর, তা এর জন্য কর। যেমন গোসল, কাফন, খুশবু, নামায এবং দাফন। এ হাদীস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " إِنَّ الْآخَرَ قَدْ زَنَى، فَأَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ، فَرَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَتَاهُ ثَانِيَةً، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ؛ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَاهُ الرَّابِعَةَ، فَقَالَ: إِنَّ الْآخَرَ قَدْ زَنَى، فَأَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ، فَسَأَلَ عَنْهُ أَصْحَابَهُ: هَلْ تُنْكِرُونَ مِنْ عَقْلِهِ؟ قَالُوا: لَا، قَالَ: انْطَلِقُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ، فَانْطَلَقَ بِهِ، فَرُجِمَ بِالْحِجَارَةِ، فَلَمَّا أَبْطَأَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ، انْصَرَفَ إِلَى مَكَانٍ كَثِيرِ الْحِجَارَةِ، فَقَامَ فِيهِ فَأَتَاهُ الْمُسْلِمُونَ، فَرَجَمُوهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى قَتَلُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هَلَّا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ، وَقَالَ قَائِلٌ: إِنَّا نَرْجُو أَنْ يَكُونَ تَوْبَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ قَوْمَهُ طَمِعُوا فِيهِ، فَسَأَلُوهُ مَا يُصْنَعُ بِجَسَدِهِ؟ قَالَ: اصْنَعُوا بِهِ مَا تَصْنَعُونَ بِمَوْتَاكُمْ مِنَ الْكَفَنِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَالْمَدْفَنِ، قَالَ: فَانْطَلَقَ بِهِ أَصْحَابُهُ فَصَلُّوا عَلَيْهِ "، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: " أَتَى مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَرَّ بِالزِّنَا فَرَدَّهُ، ثُمَّ عَادَ فَأَقَرَّ بِالزِّنَا فَرَدَّهُ، ثُمَّ عَادَ فَأَقَرَّ بِالزِّنَا الرَّابِعَةَ؛ فَسَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ تُنْكِرُونَ مِنْ عَقْلِهِ شَيْئًا، قَالُوا: لَا، قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فِي مَوْضِعٍ قَلِيلِ الْحِجَارَةِ، قَالَ: فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ الْمَوْتُ، فَانْطَلَقَ يَسْعَى إِلَى مَوْضِعٍ كَثِيرِ الْحِجَارَةِ، وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ فَرَجَمُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ، ثُمَّ ذَكَرُوا شَأْنَهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ، قَالَ: فَاسْتَأْذَنَ قَوْمُهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَفْنِهِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ، فَأَذِنَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ، قَالَ: وَقَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ قُبِلَ مِنْهُمْ ".
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: " لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ أَنْ يُرْجَمَ قَامَ فِي مَوْضِعٍ قَلِيلِ الْحِجَارَةِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ، فَذُهِبَ بِهِ مَكَانًا كَثِيرَ الْحِجَارَةِ، وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ حَتَّى رَجَمُوهُ.
فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ! ؟ " وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: لَمَّا هَلَكَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ بِالرَّجْمِ، اخْتَلَفَ النَّاسُ فِيهِ، فَقَالَ قَائِلٌ: مَاعِزٌ أَهْلَكَ نَفْسَهُ.
وَقَالَ قَائِلٌ: تَابَ.
فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَقُبِلَ مِنْهُ، أَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ جَالِسٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمِ الْحَدَّ عَلَيَّ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَفَعَلَ ذَلِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَرُدُّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُعْرِضُ عَنْهُ، فَقَالَ فِي الرَّابِعَةِ: أَنْكَرْتُمْ مِنْ عَقْلِ هَذَا شَيْئًا؟ قَالُوا: مَا نَعْلَمُ إِلَّا عَاقِلًا، وَمَا نَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا، قَالَ: فَاذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ، قَالَ: فَذَهَبُوا بِهِ فِي مَكَانٍ قَلِيلِ الْحِجَارَةِ، فَلَمَّا أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ جَزِعَ، قَالَ: فَخَرَجَ يَشْتَدُّ حَتَّى أَتَى الْحَرَّةَ، فَثَبَتَ لَهُمْ، قَالَ: فَرَجَمُوهُ بِجَلَامِيدِهَا حَتَّى سَكَتَ، قَالَ: فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَاعِزٌ حِينَ أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ جَزِعَ، فَخَرَجَ يَشْتَدُّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ؟ ! قَالَ: فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي أَمْرِهِ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ: هَلَكَ مَاعِزٌ، وَأَهْلَكَ نَفْسَهُ.
وَقَالَتْ طَائِفَةٌ: بَلْ تَابَ إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبلَ مِنْهُمْ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا نَصْنَعُ؟ قَالَ: «اصْنَعُوا مَا تَصْنَعُونَ بِمَوْتَاكُمْ مِنَ الْغُسْلِ وَالْكَفَنِ وَالْحَنُوطِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَالدَّفْنِ» .
وَقَدْ رُوِيَ الْحَدِيثُ بِرِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: " لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ أَنْ يُرْجَمَ قَامَ فِي مَوْضِعٍ قَلِيلِ الْحِجَارَةِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ الْقَتْلُ، فَذُهِبَ بِهِ مَكَانًا كَثِيرَ الْحِجَارَةِ، وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ حَتَّى رَجَمُوهُ.
فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ! ؟ " وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: لَمَّا هَلَكَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ بِالرَّجْمِ، اخْتَلَفَ النَّاسُ فِيهِ، فَقَالَ قَائِلٌ: مَاعِزٌ أَهْلَكَ نَفْسَهُ.
وَقَالَ قَائِلٌ: تَابَ.
فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَقُبِلَ مِنْهُ، أَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ جَالِسٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمِ الْحَدَّ عَلَيَّ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَفَعَلَ ذَلِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَرُدُّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُعْرِضُ عَنْهُ، فَقَالَ فِي الرَّابِعَةِ: أَنْكَرْتُمْ مِنْ عَقْلِ هَذَا شَيْئًا؟ قَالُوا: مَا نَعْلَمُ إِلَّا عَاقِلًا، وَمَا نَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا، قَالَ: فَاذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ، قَالَ: فَذَهَبُوا بِهِ فِي مَكَانٍ قَلِيلِ الْحِجَارَةِ، فَلَمَّا أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ جَزِعَ، قَالَ: فَخَرَجَ يَشْتَدُّ حَتَّى أَتَى الْحَرَّةَ، فَثَبَتَ لَهُمْ، قَالَ: فَرَجَمُوهُ بِجَلَامِيدِهَا حَتَّى سَكَتَ، قَالَ: فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَاعِزٌ حِينَ أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ جَزِعَ، فَخَرَجَ يَشْتَدُّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلَا خَلَّيْتُمْ سَبِيلَهُ؟ ! قَالَ: فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي أَمْرِهِ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ: هَلَكَ مَاعِزٌ، وَأَهْلَكَ نَفْسَهُ.
وَقَالَتْ طَائِفَةٌ: بَلْ تَابَ إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لَقُبلَ مِنْهُمْ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا نَصْنَعُ؟ قَالَ: «اصْنَعُوا مَا تَصْنَعُونَ بِمَوْتَاكُمْ مِنَ الْغُسْلِ وَالْكَفَنِ وَالْحَنُوطِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَالدَّفْنِ» .
وَقَدْ رُوِيَ الْحَدِيثُ بِرِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ