মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
৪. নামায অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৪
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বসে, দাঁড়িয়ে। এবং হাঁটু গেড়ে বসে নামায পড়েছেন।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى قَاعِدًا وَقَائِمًا وَمُحْتَبِيًا»
হাদীস নং:১২৫
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) চোখ ব্যথার কারণে হাঁটু গেড়ে বসে নামায আদায় করেছেন।
عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى مُحْتَبِيًا مِنْ رَمَدٍ كان بعينه
হাদীস নং:১২৬
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৬। দামেগানের কাযী মুহাম্মাদ ইবনে বুকাইর (রাহঃ) বলেন, আমি হযরত আবু হানীফা (রাহঃ) -এর নিকট এই বিষয় পত্র লিখি যে, যখন কোন রুগ্ন ব্যক্তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন সে নামাযের সময় কি করবে? তখন তিনি আমার নিকট একটি পত্র লিখেন এবং মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির থেকে একটি হাদীস রিওয়ায়েত করেন যে, হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং নবী করীম (ﷺ) হযরত আবু বকর (রাযিঃ) ও হযরত উমর (রাযিঃ)-কে সাথে নিয়ে আমার রোগের অবস্থা দেখার জন্য আগমণ করেন। এ সময় রোগের কারণে আমি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। তখন নামাযের সময় হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন উযূ করেন এবং উযূর পানি আমার উপর ছিটিয়ে দেন। অতঃপর আমার জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি আমাকে বলেন : জাবির ! তোমার অবস্থা কেমন? এরপর তিনি বলেলন : ইশারা করে হলেও নামায আদায় কর, যতক্ষণ শক্তি থাকে।
محمد بن بكير قاضى الدامعان قال كتبت الى ابى حنيفة فِي الْمَرِيضِ إِذَا ذَهَبَ عَقْلُهُ، كَيْفَ يَعْمَلُ بِهِ فِي وَقْتِ الصَّلَاةِ؟ فَكَتَبَ إِلَيَّ يُخْبِرْنِي: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: مَرِضْتُ، فَعَادَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَقَدْ أُغْمِيَ عَلَيَّ فِي مَرَضِي، وَجَاءَتِ الصَّلَاةُ، فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَبَّ عَلَيَّ مِنْ وَضُوئِهِ، فَقَالَ: " كَيْفَ أَنْتَ يَا جَابِرُ؟ ثُمَّ قَالَ: صَلِّ مَا اسْتَطَعْتَ، وَلَوْ أَنْ تُومِيَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৭
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৭। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন (রোগের কারণে) রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-এর চেতনা ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়, তখন তিনি আমাকে বলেন আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, তান যেন জামাআতে লোকদেরকে নামায় পড়ান। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) আরয করলেন, হযরত আবু বকর (রাযিঃ) একজন নরম মেজাজের লোক (এ অবস্থায় কিরাআত পাঠ করতেও কষ্ট হবে) এবং তিনি নিজেও এর থেকে বিরত থাকতে ইচ্ছা করেন যে, তিনি আপনার স্থানে দাঁড়াবেন। হুযুর (ﷺ) বলেনঃ আমি তোমাকে যা বলেছি, তা কর।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: لَمَّا أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ، فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَقِيلَ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ حَصِيرٌ، وَهُوَ بِنَفْسِهِ يَكْرَهُ أَنْ يَقُومَ مَقَامَكَ، قَالَ: افْعَلُوا مَا آمُرُكُمْ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৮
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৮। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর (রোগের তীব্রতার কারণে) সংজ্ঞাহীনতার উপক্রম হয়, তখন তিনি বলেনঃ আবু বকর-কে বল, তিনি যেন ইমাম হয়ে লোকদেরকে নামায পড়ান। তখন তাঁর নিকট আরয করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) । হযরত আবু বকর (রাযিঃ) অত্যন্ত দুর্বল চিত্তের লোক। তিনি আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়াকে অপসন্দ করেন। তখন হুযূর (ﷺ) বলেনঃ হে ইউসুফের সঙ্গিণীগণ! হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-কে বল, তিনি যেন নামায পড়ান। (এটা তিনি কয়েকবার বলেন )।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: لَمَّا أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ، فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ حَصِيرٌ، وَهُوَ يَكْرَهُ أَنْ يَقُومَ مَقَامَكَ، قَالَ: مُرُوا أَبَا بَكْرٍ، فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ يَا صُوَيْحِبَاتِ يُوسُفَ، وَكَرَّرَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২৯
অসুস্থ ও রোগীর নামায
১২৯। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যখন ঐ রোগে আক্রান্ত হন, যাতে তিনি ইন্তিকাল করেন, রোগের ব্যথা ও তীব্রতার কারণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। যখন নামাযের সময় হয়ে এল, তখন তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেনঃ আবু বকরকে বল, তিনি যেন লোকদেরকে নামায পড়ান । অতঃপর হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদেরকে নামায পড়ানোর জন্য আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) হযরত আয়েশাকে এই বলে সংবাদ প্রেরণ করেন যে, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল চিত্তের লোক। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তাঁর জায়গায় দেখতে না পেলে আমি ধৈর্যধারণ করতে পারব না। সুতরাং তুমি এবং হাফসা উভয়ে মিলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বল, তিনি যেন লোক পাঠিয়ে হযরত উমর (রাযিঃ)-কে নামায পড়ানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সে ব্যবস্থা করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা হলে ইউসুফের সঙ্গিণীদের মত। আবু বকরকে বল তিনি যেন নামায পড়ান। অতঃপর নামাযের জন্য যখন আযান দেওয়া হয় এবং নবী করীম (ﷺ) মুয়াযযিনের কন্ঠে حى على الصلوة -এর আওয়ায শুনতে পেলেন, তখন তিনি বলেনঃ আমাকে উঠাও। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) আরয করেন, আমি হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-কে নামায পড়ানোর জন্য বলে দিয়েছি, আপনি অসুস্থ (এরপর আপনি কেন কষ্ট করবেন)। হুযূর (ﷺ) বলেনঃ আমাকে উঠাও, আমার চোখের শাস্তি হলো নামায। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর আমি তাঁকে উঠালাম এবং দু'জন মানুষের উপর ভর করে তিনি এভাবে চললেন যে, তাঁর উভয় পা জমির উপর হেঁচড়িয়ে যাচ্ছিল । যখন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র পা-এর আওয়ায পেলেন তখন পিছনে আসতে চাইলেন। কিন্তু হুযূর (ﷺ) ইশারায় তাঁকে পিছনে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর তিনি হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর বামদিকে এসে বসে পড়েন (যাতে তিনি ইমামতি করতে পারেন)। নবী (ﷺ) তাঁর বরাবর তাকবীর বলতেন এবং হযরত আবু বকর (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর তকবীরের অনুসরণ করতেন। লোকজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) অনুসরণ করতেন, এভাবেই নামায সমাপ্ত করা হয়। অতঃপর ইনতিকাল পর্যন্ত এই নামায ব্যতীত নবী (ﷺ) অন্য কোন নামায পড়ান নি। এরপর থেকে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) নামাযে ইমামতি করতে থাকেন এবং নবী করীম (ﷺ) অসুস্থ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ইনতিকাল করেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرِضَ الْمَرَضَ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ خَفَّ مِنَ الْوَجَعِ، فَلَمَّا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ، قَالَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: " مُرِي أَبَا بَكْرٍ، فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَأَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا: يَا بِنْتَاهُ، إِنِّي شَيْخٌ كَبِيرٌ رَفِيقٌ، وَإِنِّي مَتَى لَا أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَامِهِ أَرِقُّ لِذَلِكَ، فَاجْتَمِعِي أَنْتِ وَحَفْصَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيُرْسِلَ إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلْيُصَلِّ بِهِمْ، فَفَعَلَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرِي أَبَا بَكْرٍ، فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَلَمَّا نُودِيَ بِالصَّلَاةِ، يَسْمَعُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُؤَذِّنَ، وَهُوَ يَقُولُ: حَيَّ عَلَى الصّلَاةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْفَعُونِي، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: قَدْ أَمَرْتُ أَبَا بَكْرٍ أنَ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَأَنْتَ عَذِرٌ، قَالَ: ارْفَعُونِي، فَإِنَّهُ جُعِلَتْ قُرَّةَ عَيْنِي فِي الصَّلَاةِ.
قَالَتْ عَائِشَةُ: فَرُفِعَ بَيْنَ اثْنَيْنِ، وَقَدَمَاهُ تَخُدَّانِ الْأَرْضَ، فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ بِحِسِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِذَاءَهُ يُكَبِّرُ، وَيُكَبِّرُ أَبُو بَكْرٍ بِتَكْبِيرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُكَبِّرُ النَّاسُ بِتَكْبِيرِ أَبِي بَكْرٍ حَتَّى فَرَغَ، ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِالنَّاسِ غَيْرَ تِلْكَ الصَّلَاةِ حَتَّى قُبِضَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ الْإِمَامُ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجِعٌ حَتَّى قُبِضَ
قَالَتْ عَائِشَةُ: فَرُفِعَ بَيْنَ اثْنَيْنِ، وَقَدَمَاهُ تَخُدَّانِ الْأَرْضَ، فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بَكْرٍ بِحِسِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِذَاءَهُ يُكَبِّرُ، وَيُكَبِّرُ أَبُو بَكْرٍ بِتَكْبِيرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُكَبِّرُ النَّاسُ بِتَكْبِيرِ أَبِي بَكْرٍ حَتَّى فَرَغَ، ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِالنَّاسِ غَيْرَ تِلْكَ الصَّلَاةِ حَتَّى قُبِضَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ الْإِمَامُ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجِعٌ حَتَّى قُبِضَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
