প্রবন্ধ
একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৩৯তম পর্ব) – ঈদের হাসি
বছরের সবদিন এক রকম নয়। পুরো সপ্তাহ কাজ করলেও জুমাবারে একটা ঝাড়া হাত-পা হওয়া ভাল। তনুমন একটু বিশ্রাম চায়। বিরাম খোঁজে! দুই ঈদের দিনও আল্লাহর নির্ধারন করা আনন্দের দিন।
নবীজি সা. সবসময়ই হাসিখুশি থাকতেন। ঈদের দিনটাও বেশ হাসিখুশিতে কাটাতেন। পরিবার পরিজনকে সময় দিতেন।
আয়েশা রা. বলেছেন:আবু বকর রা. এক ঈদের দিন তার ঘরে এলেন। দুই বালিকা তখন ঘরে গান গাইছিল আর দফ বাজাচ্ছিল। আল্লারহ রাসুল কাপড়মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলেন। আবু বকর মেয়েদুটিকে ধমক দিলেন। আল্লাহর রাসুল মুখ খুলে বললেন:
আবু বকর! থাক আজ তো ঈদের দিন!
আয়েশা রা. আরও বলেছেন:
আমার ঘরে এক ঈদের দিন দুই বালিকা বু‘আস যুদ্ধের গান গাইছিল। আল্লাহর রাসূল ঘরে এসে মুখ ফিরিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। আবু বকর এলেন। ধমক দিয়ে বলে উঠলেন:
আল্লাহর রাসূলের কাছে শয়তানের বাঁশি!
নবীজি পাশ ফিরে বললেন: থাক, তাদেরকে ছেড়ে দাও!
একটু পরে নবীজি অন্যমনস্ক হলে, ইশারায় মেয়েদুটিকে চলে যেতে বললাম।
ঈদের দিন একদল হাবশী লোক খেলা করছিল। বর্শা নিয়ে। নবীজি জানতে চাইলেন:
-আয়েশা! তাদের খেলা দেখতে মন চায়?
-জ্বি।
নবীজি আমাকে তার পেছনে দাঁড় করালেন। আমার গাল তার গালের সাথে লেপ্টে ছিল। অনেকক্ষণ উপভোগ করার পর তিনি বললেন:
-হয়েছে?
-জ্বি।
-ঠিক আছে ঘরে যাও তবে! (আয়েশা রা. বুখারী)
ঈদের দিন নবীজির মতো মানুষও বিবি-বাচ্চাদের সাথে নিয়ে নির্মল মাসিখুশীতে সময় কাটাতেন। তাই বলে এটা মনে করা যাবে না, বর্তমানের বাদ্যি-বাজনাময় গান শোনা ঈদের দিন বৈধ!
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
সংঘাতময় পরিস্থিতি: উপেক্ষিত নববী আদর্শ
দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। সমতালে এর অধিবাসীরাও 'গরম' হয়ে উঠছে দিনকে দিন। সেই তাপ ও উত্তাপ ব...
চারটি মহৎ গুণ
...
টুপি পরিধান করার কোন প্রমাণ কি হাদীস বা আছারে সাহাবায় নেই?
...
বালা-মুসীবত ও মহামারী: সীরাতে মুস্তাকীমের পথনির্দেশ
বর্তমান বিশ্বে করোনা নামে একটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। গোটা বিশ্বের মানুষ এর ভয়ে আতঙ্কিত। দুনিয়া...

মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন