ফয়জুল কালাম

ইসলামের জিহাদ -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:২৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৯২
১৮১৩. আল্লাহর পথে একদিন প্রহরারত থাকার ফযীলাত।
২৬৯৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুনীর (রাহঃ) .... সাহল ইবনে সা‘দ সাঈ‘দী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর উপর যা কিছু আছে তাঁর চাইতে উত্তম। জান্নাতে তোমাদের কারো চিবুক পরিমাণ জায়গা দুনিয়া এবং ভূপৃষ্ঠের সমস্ত কিছুর চাইতে উত্তম। আল্লাহর পথে বান্দার একটি সকাল বা বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া এবং ভূপৃষ্ঠের সব কিছুর চাইতে উত্তম।
بَابُ فَضْلِ رِبَاطِ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، سَمِعَ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَمَوْضِعُ سَوْطِ أَحَدِكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَالرَّوْحَةُ يَرُوحُهَا الْعَبْدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوِ الْغَدْوَةُ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا ".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭২০
৩০. আল্লাহর রাস্তায় সকাল সন্ধ্যায় বের হওয়া
৪৭২০। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কানাব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর রাহে একটি সকাল অথবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে, সে সবের চাইতে উত্তম।
باب فَضْلِ الْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَغَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৩৭৯৪
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৭৯৪। হযরত আবু আবস (আব্দুর রহমান ইবনে জুবায়র আনসারী [রাঃ]) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে বান্দার পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলি মলিন হয়, তাহাকে (দোযখের আগুন স্পর্শ করিবে না। -বুখারী
وَعَن أبي عَبْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا اغْبَرَّتْ قَدَمَا عَبْدٍ فِي سَبِيلِ الله فَتَمَسهُ النَّار» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৭৮
৪৭. আল্লাহর রাহে জিহাদ না করে, এমন কি মনের মধ্যে জিহাদের বাসনাও পোষণ না করে যে মারা যায় তার পরিণাম অশুভ
৪৭৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সাহম আন্তাকী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো, অথচ কোনদিন জিহাদ করলো না বা জিহাদের কথা তার মনে কোন দিন উদিতও হলো না, সে যেন মুনাফিকের মৃত্যুবরণ করলো। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ) বলেন, আমাদের মত হলো, এ হুকুম একান্তই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগের জন্য প্রযোজ্য।
باب ذَمِّ مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ وَلَمْ يُحَدِّثْ نَفْسَهُ بِالْغَزْوِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ الأَنْطَاكِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ وُهَيْبٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَهُ مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ " . قَالَ ابْنُ سَهْمٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ فَنُرَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৭৭
৪৬. আল্লাহর রাহে শাহাদাত প্রার্থনা করা মুস্তাহাব
৪৭৭৭। আবু তাহির ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর কাছে শাহাদাত প্রার্থনা করে আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদের মর্যাদায় অভিষিক্ত করবেন, যদিও বা সে আপন শয্যায় মৃত্যুবরণ করে।
باب اسْتِحْبَابِ طَلَبِ الشَّهَادَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ - قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ، بْنِ حُنَيْفٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ فِي حَدِيثِهِ " بِصِدْقٍ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৪৯
৩৮. আল্লাহর রাহের মুজাহিদগণকে বাহন ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করা এবং তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারবর্গকে উত্তমরূপে দেখা-শুনা করার ফযীলত
৪৭৪৯। সাঈদ ইবনে মানসুর ও আবু তাহির (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে আল্লাহর রাস্তায় কোন গাজীকে যুদ্ধোপকরণের ব্যবস্থা করে দিল, সেও জিহাদ করলো, যে ব্যক্তি কোন গাজীর অনুপস্থিতে তার পরিবারবর্গের দেখাশোনা করলো, সেও জিহাদ করলো। (অর্থাৎ, সেও জিহাদকারীর সমান সাওয়াব লাভ করবে)
باب فَضْلِ إِعَانَةِ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِمَرْكُوبٍ وَغَيْرِهِ وَخِلاَفَتِهِ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، وَقَالَ، سَعِيدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَهُ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ فَقَدْ غَزَا " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৩৭৯০
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৭৯০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই পবিত্র সত্তার শপথ করিয়া বলিতেছি, যাহার মুঠের মধ্যে আমার প্রাণ। যদি কিছুসংখ্যক মু'মিন-মুসলমান এমন না হইত, যাহারা আমার সঙ্গে জেহাদে অংশ গ্রহণ না করাকে আদৌ পছন্দ করিবে না, অথচ তাহাদের সকলকে আমি সওয়ারী জন্তুও সরবরাহ করিতে পারিতেছি না, এই অবস্থা না হইলে আল্লাহর পথে যুদ্ধরত কোন ক্ষুদ্র সেনাদল হইতেও আমি দূরে থাকিতাম না। যাঁহার হাতে আমার প্রাণ। সেই মহান সত্তার শপথ করিয়া বলিতেছি, আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় বস্তু হইল, আমি আল্লাহর পথে নিহত হই অতঃপর জীবন লাভ করি। আবার নিহত হই, আবার জীবন লাভ করি এবং আবার নিহত হই, তারপরও পুনরায় জীবন লাভ করি। পরে আবার পুনরায় নিহত হই। – মোত্তাঃ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلَا أَنَّ رِجَالًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَا تَطِيبُ أَنْفُسُهُمْ أَنْ يَتَخَلَّفُوا عَنِّي وَلَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُهُمْ عَلَيْهِ مَا تَخَلَّفْتُ عَنْ سَرِيَّةٍ تَغْزُو فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أنْ أُقتَلَ فِي سَبِيل الله ثمَّ أُحْيى ثمَّ أُقتَلُ ثمَّ أُحْيى ثمَّ أُقتَلُ ثمَّ أُحْيى ثمَّ أقتل»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৬৭
৪২. যে আল্লাহর কালিমা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যেই যুদ্ধ করে সেই আল্লাহর রাহে (-র যোদ্ধা)
৪৭৬৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইবনে নুমাইর, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করা হলো, যে ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য যুদ্ধ করে, যে ব্যক্তি গোত্রের স্বার্থে যুদ্ধ করে, যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে। এগুলোর মধ্যে কোনটি আল্লাহর রাহে যুদ্ধ (বলে গণ্য হবে?) তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি এ উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে যে, আল্লাহর বাণী সমুন্নত হবে, (কেবল) সেই আল্লাহর রাহে (বলে গণ্য হবে।)
باب مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي، مُوسَى قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُقَاتِلُ شَجَاعَةً وَيُقَاتِلُ حَمِيَّةً وَيُقَاتِلُ رِيَاءً أَىُّ ذَلِكَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .