ফয়জুল কালাম
জুলুমের পরিণতি -এর বিষয়সমূহ
৫ টি হাদীস
রিয়াযুস সালিহীন
হাদীস নং:২০৭
জুলুমের প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং জুলুমের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ফেরত দেওয়ার হুকুম।
জালেম ও পাপী ব্যক্তিকে অবকাশ দেওয়ার কারণ
হাদীছ নং : ২০৭
হযরত আবূ মূসা আশ'আরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা জালেমকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। তারপর যখন তাকে ধরেন, তখন আর তাকে ছাড়েন না। তারপর তিনি (কুরআন মাজীদের আয়াত) পাঠ করেন-
وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ (102)
(যে সকল জনপদ জুলুমে লিপ্ত হয়, তোমার প্রতিপালক যখন তাদের ধরেন, তখন তাঁর ধরা এমনই হয়ে থাকে। বাস্তবিকই তাঁর ধরা অতি মর্মন্তুদ, অতি কঠিন।) সূরা হূদ (১১), আয়াত ১০২
-বুখারী ও মুসলিম।"
(সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৪৬৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৫৮৩: জামে তিরমিযী, নং ৩১১০; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৪০১৮; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান, হাদীছ নং ৭০৬৩; মুসনাদুল বাযযার, হাদীছ নং ৩১৮৩)
26 - باب تحريم الظلم والأمر بردِّ المظالم
207 - وعن أَبي موسى - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الله لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، فَإِذَا أخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ»، ثُمَّ قَرَأَ: {وكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ} [هود: 102] مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৬৩৪৪
১৫. যুলুম করা হারাম
৬৩৪৪। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক পাওনাদারকে তার পাওনা চুকিয়ে দিতে হবে। এমনকি শিং বিশিষ্ট বকরীর নিকট থেকে শিং বিহীন বকরীর জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।
باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَتُؤَدُّنَّ الْحُقُوقَ إِلَى أَهْلِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُقَادَ لِلشَّاةِ الْجَلْحَاءِ مِنَ الشَّاةِ الْقَرْنَاءِ " .
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫১৩৪
২১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১৩৪। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তুমি মাযলুমের বদ্-দো'আ হইতে নিজেকে বাঁচাইয়া রাখ। কেননা, সে আল্লাহর দরবারে নিজের হক প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা কোন হকদারকে তাহার হক হইতে বঞ্চিত করেন না।
وَعَنْ عَلِيٍّ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّمَا يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى حَقَّهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْنَعُ ذَا حق حَقه»
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّمَا يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى حَقَّهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْنَعُ ذَا حق حَقه»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২০১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০১৪
মজলুমের বদ দুআ।
২০২০. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুআযকে ইয়ামানে প্রেরণ করা কালে বলেছিলেনঃ মজলুমের (বদ) দুআ থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা এ বদ দুআ ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।
باب مَا جَاءَ فِي دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ " اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي سَعِيدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو مَعْبَدٍ اسْمُهُ نَافِذٌ .
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:২৯৪৬
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৬। তাবেয়ী আবু হুররা রাকাশী তাঁহার চাচা সাহাবী হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সাবধান! কেহ কাহারো প্রতি জুলুম করিবে না। সাবধান! কাহারো মাল তাহার মনের সন্তোষ ব্যতীত কাহারো জন্য হালাল নহে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে; দারা কুতনী মুজতাবায়
وَعَن أبي حرَّة الرقاشِي عَن عَمه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَلا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان وَالدَّارَقُطْنِيّ فِي الْمُجْتَبى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান