মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫১৩৪
২১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১৩৪। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তুমি মাযলুমের বদ্-দো'আ হইতে নিজেকে বাঁচাইয়া রাখ। কেননা, সে আল্লাহর দরবারে নিজের হক প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা কোন হকদারকে তাহার হক হইতে বঞ্চিত করেন না।
وَعَنْ عَلِيٍّ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّمَا يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى حَقَّهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْنَعُ ذَا حق حَقه»
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّمَا يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى حَقَّهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْنَعُ ذَا حق حَقه»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জুলুম পরিহার ও মজলূমের বদদুআ থেকে বাঁচার হুকুম
ইরশাদ হয়েছেঃ-
তুমি মাযলুমের বদ্–দো'আ হইতে নিজেকে বাঁচাইয়া রাখ। কেননা, সে আল্লাহর দরবারে নিজের হক প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা কোন হকদারকে তাহার হক হইতে বঞ্চিত করেন না।
উপদেশটি দেওয়া হয়েছে ব্যাপক শব্দে। অর্থাৎ সর্বপ্রকার জুলুমই পরিহার করে চলবে। কারও প্রতিই নয়। কেননা তুমি যার প্রতিই জুলুম কর না কেন, সেই তো মাজলূম হবে। আর মাজলূম ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানায় এবং জালেমের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে দু'আ করে, তবে তা অবশ্যই কবূল হয়।
মজলুম ব্যক্তি যেমনই হোক না কেন, তার বদদুআ কবূল হয়-ই। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-
دعوة المظلوم مستجابة وإن كان فاجرا ففجوره على نفسه
'মজলূমের দুআ অবশ্যই কবুল হয়, যদিও সে পাপিষ্ঠ হয়। তার পাপাচারের দায় তার নিজের।' (মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৮৭৮০। মুসনাদ আবূ দাউদ ওয়ালিসী, হাদীছ নং ২৪৫০)
কেউ প্রশ্ন করতে পারে, আমরা তো অনেক সময় দেখি মজলূম ব্যক্তি বদদু‘আ করছে অথচ জালেমের কিছুই হচ্ছে না?
এর উত্তর এই যে, বান্দা দু'আ করে তার নিজ বুঝ অনুযায়ী আর আল্লাহ তা'আলা তা কবূল করেন নিজ শান অনুযায়ী। সুতরাং বান্দার কল্যাণার্থে কখনও তিনি বান্দা যা চায় তাই দিয়ে দেন, কখনও তা না দিয়ে অন্যকিছু দেন, হয়তো তার থেকে কোনও বিপদ দূর করেন অথবা তা আখিরাতের জন্য সঞ্চিত রাখেন। বান্দা আখিরাতে সেই সঞ্চিত দু'আর প্রতিদান দেখে এই বলে আক্ষেপ করবে যে, আহা, দুনিয়ায় যদি আমার কোনও দু‘আই কবূল না হত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মজলূমের বদদু'আ অবশ্যই কবুল হয়। তাই প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিত, যাতে তার পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোনওভাবেই জুলুম না হয়ে যায়।
ইরশাদ হয়েছেঃ-
তুমি মাযলুমের বদ্–দো'আ হইতে নিজেকে বাঁচাইয়া রাখ। কেননা, সে আল্লাহর দরবারে নিজের হক প্রার্থনা করে। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা কোন হকদারকে তাহার হক হইতে বঞ্চিত করেন না।
উপদেশটি দেওয়া হয়েছে ব্যাপক শব্দে। অর্থাৎ সর্বপ্রকার জুলুমই পরিহার করে চলবে। কারও প্রতিই নয়। কেননা তুমি যার প্রতিই জুলুম কর না কেন, সেই তো মাজলূম হবে। আর মাজলূম ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানায় এবং জালেমের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে দু'আ করে, তবে তা অবশ্যই কবূল হয়।
মজলুম ব্যক্তি যেমনই হোক না কেন, তার বদদুআ কবূল হয়-ই। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-
دعوة المظلوم مستجابة وإن كان فاجرا ففجوره على نفسه
'মজলূমের দুআ অবশ্যই কবুল হয়, যদিও সে পাপিষ্ঠ হয়। তার পাপাচারের দায় তার নিজের।' (মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৮৭৮০। মুসনাদ আবূ দাউদ ওয়ালিসী, হাদীছ নং ২৪৫০)
কেউ প্রশ্ন করতে পারে, আমরা তো অনেক সময় দেখি মজলূম ব্যক্তি বদদু‘আ করছে অথচ জালেমের কিছুই হচ্ছে না?
এর উত্তর এই যে, বান্দা দু'আ করে তার নিজ বুঝ অনুযায়ী আর আল্লাহ তা'আলা তা কবূল করেন নিজ শান অনুযায়ী। সুতরাং বান্দার কল্যাণার্থে কখনও তিনি বান্দা যা চায় তাই দিয়ে দেন, কখনও তা না দিয়ে অন্যকিছু দেন, হয়তো তার থেকে কোনও বিপদ দূর করেন অথবা তা আখিরাতের জন্য সঞ্চিত রাখেন। বান্দা আখিরাতে সেই সঞ্চিত দু'আর প্রতিদান দেখে এই বলে আক্ষেপ করবে যে, আহা, দুনিয়ায় যদি আমার কোনও দু‘আই কবূল না হত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মজলূমের বদদু'আ অবশ্যই কবুল হয়। তাই প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিত, যাতে তার পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোনওভাবেই জুলুম না হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
