ফয়জুল কালাম
নামাজের ফজিলত -এর বিষয়সমূহ
১৩ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৭
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বর্ণনাকারী বলেন যে, বকরের হাদীসে আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন যে, বল তো তোমাদের মধ্যে কারো দরজা সামনে যদি একটি নদী থাকে এবং সে যদি তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে তবে তার (শরীরে) কোন ময়লা থাকতে পারে? তাঁরা বললেন, কোন মায়লাই থাকতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দৃষ্টান্ত এ-ই। আল্লাহ তাআলা এরদ্বারা পাপ মোচন করেন।
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৭০
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭০। হযরত উবাদাহ ইবনে সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচটি নামায আল্লাহ্ পাক তা ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তার অজু উত্তমরূপে করবে এবং যথাসময় তা আদায় করবে, আর তার রুকূসমূহ এবং বিনয়-নম্রতাকে পরিপূর্ণ করবে তার জন্য আল্লাহ্ পাকের অঙ্গীকার রয়েছে-তিনি তাকে মাফ করে দিবেন। আর যে তা না করবে তার জন্য আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই। চাইলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আর চাইলে শাস্তিও দিতে পারেন। -আহমদ, আবু দাউদ মালিক এবং নাসাঈও অনুরূপ উদ্ধৃত করেছেন।
اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ تَعَالَى مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ وَصَلَّاهُنَّ لوقتهن وَأتم ركوعهن خشوعهن كَانَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَرَوَى مَالك وَالنَّسَائِيّ نَحوه

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে ইবনে মাজা
হাদীস নং:১০৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭৯
যে ব্যক্তি সালাত বর্জন করে সে প্রসঙ্গে
১০৭৯। ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম বালিসী (রাহঃ) ........ বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা হলো সালাত। কাজেই যে ব্যক্তি সালাত বর্জন করলো, সে কুফরী করলো।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ
হাদীস নং:১০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৫৬
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১০) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) (একবার) শীতকালে বের হলোন। তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল। তখন রাসূল (ﷺ) এক গাছ থেকে দু'টি ঢাল ভেঙ্গে নিলেন। তিনি বলেন, তখন পাতাগুলো ঝরে পড়তে (ﷺ) বললেন, মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামায পড়েন তখন তার গুনাহগুলো ঝরে পড়ে যেমন এ গাছের ডাল থেকে তার পাতাগুলো ঝড়ে পড়ছে।
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(10) عن أبى ذرٍّ رضى الله عنه أنَّ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم خرج زمن الشّتاء والورق يتهافت فأخذ بغصنين من شجرة قال فجعل ذلك الورق يتهافت، قال فقال يا أبا ذرٍّ قلت لبَّيك يا رسول الله، قال إنَّ العبد المسلم ليصلِّى الصَّلاة يريد بها وجه الله تعالى فتهافت عنه ذنوبه كما يتهافت هذا الورق عن هذه الشَّجرة

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৭৮
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) একদিন নামায সম্পর্কে আলোচনায় বললেন, যে ব্যক্তি নামাযের হেফাজাত করবে, তা তার জন্য কিয়ামত দিবসে আলো, প্রমাণ এবং মুক্তির উপায় হবে। আর যে তার হেফাজত করবে না, তার জন্য তা আলো, প্রমাণ এবং মুক্তি হবে না; বরং কিয়ামত দিবসে সে কারূন, ফিরআওন, হামান এবং উবাই ইবনে খালাফের সাথে থাকবে। আহমদ, দারেমী, বায়হাকী
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ: «مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمن لم يحافظ عَلَيْهَا لم يكن لَهُ نور وَلَا برهَان وَلَا نجاة وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৭৯
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক (রহ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ আমলসমূহের মধ্যে কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। -তিরমিযী
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَن عبد الله بن شَقِيق قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأَعْمَالِ تَركه كفر غير الصَّلَاة. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৮৫
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (সালাতের) সময়সমূহ
৫৮৫। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি তাঁর প্রশাসকদের নিকট লিখলেন, আমার নিকট আপনাদের যাবতীয় কাজের মধ্যে নামাযই হল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি তার হেফাজত করে এবং যথোচিতভাবে তা রক্ষা করে, সে তার দ্বীনকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তাকে বিনষ্ট করেছে, সে তা ব্যতীত অপরগুলোর জন্য আরও বেশী বিনষ্টকারী সাব্যস্ত হবে। তারপর তিনি লিখলেন, যোহর পড়বে যখন ছায়া এক হাত হতে তোমাদের প্রত্যেকের সমান হয়। আছর পড়বে যখন সূর্য উচ্চে পরিষ্কার সাদা থাকে। যাতে একজন উষ্ট্রারোহী সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই দুই বা তিন ফর্সখ (পথ) অতিক্রম করতে পারে* এবং মাগরিব পড়বে যখনই সূর্য অদৃশ্য হয়। এশা পড়বে যখন লালিমা অদৃশ্য হয়, রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত । যে এর পূর্বে নিদ্রা যাবে, তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায় এবং ফজর পড়বে যখন তারকাসমূহ পরিষ্কার থাকে ও দৃশ্যমান থাকে। -মালেক
* ০৩ মাইলে = ১ ফারসাখ। -আল মু'জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৬৮১।
প্রায় ১৬০৯ মিটার = ০১ মাইল। -আল মু'জামুল ওয়াসীত পৃ. ৮৯৪ (সম্পাদক)
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أُمُورِكُمْ عِنْدِي الصَّلَاة فَمن حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صلوا الظّهْر إِذا كَانَ الْفَيْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً قبل مغيب الشَّمْس وَالْمغْرب إِذا غربت الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ. رَوَاهُ مَالك

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৮৫
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (সালাতের) সময়সমূহ
৫৮৫। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি তাঁর প্রশাসকদের নিকট লিখলেন, আমার নিকট আপনাদের যাবতীয় কাজের মধ্যে নামাযই হল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি তার হেফাজত করে এবং যথোচিতভাবে তা রক্ষা করে, সে তার দ্বীনকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তাকে বিনষ্ট করেছে, সে তা ব্যতীত অপরগুলোর জন্য আরও বেশী বিনষ্টকারী সাব্যস্ত হবে। তারপর তিনি লিখলেন, যোহর পড়বে যখন ছায়া এক হাত হতে তোমাদের প্রত্যেকের সমান হয়। আছর পড়বে যখন সূর্য উচ্চে পরিষ্কার সাদা থাকে। যাতে একজন উষ্ট্রারোহী সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই দুই বা তিন ফর্সখ (পথ) অতিক্রম করতে পারে* এবং মাগরিব পড়বে যখনই সূর্য অদৃশ্য হয়। এশা পড়বে যখন লালিমা অদৃশ্য হয়, রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত । যে এর পূর্বে নিদ্রা যাবে, তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায়। যে নিদ্রা যাবে তার চক্ষু যেন নিদ্রা না যায় এবং ফজর পড়বে যখন তারকাসমূহ পরিষ্কার থাকে ও দৃশ্যমান থাকে। -মালেক
* ০৩ মাইলে = ১ ফারসাখ। -আল মু'জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৬৮১।
প্রায় ১৬০৯ মিটার = ০১ মাইল। -আল মু'জামুল ওয়াসীত পৃ. ৮৯৪ (সম্পাদক)
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أُمُورِكُمْ عِنْدِي الصَّلَاة فَمن حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صلوا الظّهْر إِذا كَانَ الْفَيْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً قبل مغيب الشَّمْس وَالْمغْرب إِذا غربت الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلَا نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ. رَوَاهُ مَالك

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:১৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৭ - ২
৪৩. যে ব্যক্তি আযান শোনে, মসজিদে আসা তার উপর ওয়াজিব
১৩৬৯। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম আত দাওরাকী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে সীরিন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জুনদুব আল-কাসরী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায় করল, সে আল্লাহর যিম্মায় চলে গেল। সুতরাং এমন যেন না হয় যে, আল্লাহ আমাদেরকে তার যিম্মাভুক্ত কোন বিষয়ে তলব করে বসেন। কেননা তিনি তার যিম্মাভুক্ত কোন ব্যাপারে কাউকে তলব করলে নিশ্চিত তাকে ধরে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
باب يَجِبُ إِتْيَانُ الْمَسْجِدِ عَلَى مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ
وَحَدَّثَنِيهِ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا الْقَسْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ فَهْوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ فَإِنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَىْءٍ يُدْرِكْهُ ثُمَّ يَكُبَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ " .
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৮৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭
২৮. কাতার সোজা করা ও মিশে দাঁড়ানো, ক্রমানুসারে প্রথম কাতারের ফযীলত, প্রথম কাতারে দাঁড়াবার জন্য প্রতিযোগিতা করা এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের পক্ষে ইমামের নিকট ও সামনের কাতারে দাঁড়াবার বিধান
৮৬৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মানুষ যদি আযান ও প্রথম কাতারের সাওয়াবের কথা জানত এবং লটারী ছাড়া তা লাভের কোন উপায় না থাকত তবে তারা এর জন্য অবশ্যই লটারী করত এবং যদি (যূহরের নামাযে) আউয়াল ওয়াক্তে গমনের ফযিলত যদি তারা জানত তবে তারা এর জন্য পরস্পরে প্রতিযোগিতা করত। আর এশা ও ফজরের মাহাত্ম্য যদি জানত, তবে তারা ঐ দুটির জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আগমন করত।
باب تَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ وَإِقَامَتِهَا وَفَضْلِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ مِنْهَا وَالاِزْدِحَامِ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ وَالْمُسَابَقَةِ إِلَيْهَا وَتَقْدِيمِ أُولِي الْفَضْلِ وَتَقْرِيبِهِمْ مِنَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا " .
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৯১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১১
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১১. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ দু’রাকআত নামায অপেক্ষা আর কিছুতে আল্লাহ্ তাআলা বান্দার প্রতি অধিক মুতাওজ্জিহ হন না। বান্দা যতক্ষণ নামাযে থাকে ততক্ষণ তার মাথার উপর নেকী বর্ষিত হয়। আল্লাহর নিজের থেকে যা বহির্গত সেই বস্তু আবু নযর বলেন, অর্থাৎ কুরআনের মত আর কিছুর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর এত নৈকট্য লাভ করতে পারে না।
হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। ইবনে মুবারক (রাহঃ) বকর ইবনে খুনায়স-এর সমালোচনা করেছেন এবং শেষে তাকে বর্জন করেছেন। যায়দ ইবনে আরতাত ......... জুবাইর ইবনে নুফায়র সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে।
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا أَذِنَ اللَّهُ لِعَبْدٍ فِي شَيْءٍ أَفْضَلَ مِنْ رَكْعَتَيْنِ يُصَلِّيهِمَا وَإِنَّ الْبِرَّ لَيُذَرُّ عَلَى رَأْسِ الْعَبْدِ مَا دَامَ فِي صَلاَتِهِ وَمَا تَقَرَّبَ الْعِبَادُ إِلَى اللَّهِ بِمِثْلِ مَا خَرَجَ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو النَّضْرِ يَعْنِي الْقُرْآنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَبَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَتَرَكَهُ فِي آخِرِ أَمْرِهِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
সুনানে ইবনে মাজা
হাদীস নং:২২৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৩৪
বাজার এবং সেখানে প্রবেশ করা প্রসঙ্গে
২২৩৪। ইবরাহীম ইবন মুস্তামির উরুকী (রাহঃ).... সালমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা ফজরের সালাত আদায়ের জন্য বের হয়, সে ঈমানের পতাকা নিয়ে বের হয়। আর যে ব্যক্তি সকালবেলা বাজারের দিকে বের হয়, সে ইবলীসের পতাকা নিয়ে বের হয়।
بَاب الْأَسْوَاقِ وَدُخُولِهَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ الْعُرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْسُ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عَوْنٌ الْعُقَيْلِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ غَدَا إِلَى صَلاَةِ الصُّبْحِ غَدَا بِرَايَةِ الإِيمَانِ وَمَنْ غَدَا إِلَى السُّوقِ غَدَا بِرَايَةِ إِبْلِيسَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৯৯৫
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৫। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক তাঁর বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন-যখন পর্যন্ত বান্দা নামাযে লিপ্ত থাকে এবং এদিক ওদিক না তাকায়। যখন সে এদিক সেদিক তাকাতে থাকে তখন আল্লাহ্ পাক তাঁর নজর ফিরিয়ে নেন।
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزَالُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُقْبِلًا عَلَى الْعَبْدِ وَهُوَ فِي صَلَاتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ فَإِذَا الْتَفَتَ انْصَرَفَ عَنْهُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَالدَّارِمِيُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান