ফয়জুল কালাম

নবিজি সর্বশেষ নবি ও রাসুল -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং: ৪২০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫২
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০৩. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমার জন্য যমীনকে সংকুচিত করে দেন। অথবা তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ যমীনকে আমার জন্য ছোট করে দেন। আর এ সময় আমাকে যমীনের পূর্ব ও পশ্চিম দিক দেখানো হয়। আমার উম্মতের হুকুমত অবশ্যই সে পর্যন্ত পৌঁছবে, যা আমাকে দেখানো হয়েছে। আর আমাকে দু’টি ধন-ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে, লাল এবং সাদা অর্থাৎ সোনা ও রূপা। আমি আমার মহান রবের নিকট এরূপ দুআ করি, তিনি যেন আমার উম্মতকে এক সাথে ধ্বংস না করেন এবং তাদের উপর এমন কোন শত্রুকে বিজয়ী না করেন, যে তাদের সমূলে ধ্বংস করবে। আমার রব আমাকে বলেনঃ হে মহাম্মাদ! আমি যখন কোন হুকুম জারি করে, কখন তা রদ হয় না। তবে আমি তোমার উম্মতকে একই দুর্ভিক্ষের বছর এক সাথে ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর এমন কোন শত্রুকে বিজয় প্রদান করবো না, যে তাদের সমূলে ধ্বংস করবে; তবে তোমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি হবে, যারা একে অন্যকে ধ্বংস ও বন্দী করবে। তিনি আরো বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে মধ্যেকার গুমরাহকারী নেতাদের ব্যাপারে খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত। যখন আমার উম্মতের লোকেরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হবে, তখন তা কিয়ামত পর্যন্ত নিরস্ত হবে না। আর কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠিত হবে না, যতক্ষণ না আমার উম্মতের সমস্ত গোত্র মুশরিকদের সাথে মিলে যাবে এবং মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে। তিনি বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন ভণ্ড নবীর আবির্ভাব ঘটবে, যাদের প্রত্যেকে নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করবে। অথচ আমি-ই শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবির আবির্ভাব ঘটবে না। বস্তুত আমার উম্মতের এক জামাআত সব সময় সত্য ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তাদের বিরোধীপক্ষ তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। এ অবস্থায় মহান আল্লাহর নির্দেশ অর্থাৎ কিয়ামত এসে যাবে।
كتاب الفتن
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ " . أَوْ قَالَ " إِنَّ رَبِّي زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ مُلْكَ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَلاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَلاَ أُهْلِكُهُمْ بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَلاَ أُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا أَوْ قَالَ بِأَقْطَارِهَا حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَحَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يَسْبِي بَعْضًا وَإِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ وَإِذَا وُضِعَ السَّيْفُ فِي أُمَّتِي لَمْ يُرْفَعْ عَنْهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ وَحَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي الأَوْثَانَ وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي كَذَّابُونَ ثَلاَثُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي وَلاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ " . قَالَ ابْنُ عِيسَى " ظَاهِرِينَ " . ثُمَّ اتَّفَقَا " لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৪৬২১
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
১০. বায়’আত গ্রহণকৃত খলীফা পরম্পরায় তাদের বায়’আতের (আনুগত্যের) শপথ অবশ্য পালনীয়
৪৬২১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর সাথে পাঁচ বছর অবস্থান করেছি। আমি তার কাছে শুনেছি, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ বনি ইসরাঈলদের পরিচালনা (রাজত্ব) করতেন নবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তাঁর স্থলালাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। তখন সাহাবীগণ বললেনঃ তাহলে আপনি (এ ব্যাপারে) আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ যার হাতে প্রথম বায়ঁআত (আনুগত্যের শপথ) করবে, তারই আনুগত্য করবে এবং তাদেরকে তাঁদের হক (অধিকার) প্রদান করবে, আর আল্লাহ তাআলা তাদের কর্তৃত্তাধীনে প্রদত্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
كتاب الإمارة
باب الْوَفَاءِ بِبَيْعَةِ الْخُلَفَاءِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ قَاعَدْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ خَمْسَ سِنِينَ فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَإِنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي وَسَتَكُونُ خُلَفَاءُ فَتَكْثُرُ " . قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " فُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ وَأَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৫৮৯৫
- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায়
৩২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামসমুহ
৫৮৯৫। হারামালা ইবনে ইয়াইয়া (রাহঃ) ......... যুবাইর ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার অনেক নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমদ, আমি আল-মাহী (বিলোপ সাধনকারী) ঐ ব্যক্তি যে, আমার মাধ্যমে আল্লাহ কুফরকে বিলুপ্ত করবেন। আমি আল-হাশির (সমবেতকারী), এমন ব্যক্তি যে, আমার পায়ের কাছে লোকেরা সমবেত হবে। আমি আন-আকীব (সমাপ্তি), এমন ব্যক্তি, যার পর কেউ নেই এবং আল্লাহ তার নাম রেখেছেন রাউফ ও রাহীম (স্নেহময়, দয়াবান)।
كتاب الفضائل
باب فِي أَسْمَائِهِ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ لِي أَسْمَاءً أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِي الَّذِي يَمْحُو اللَّهُ بِيَ الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمَىَّ وَأَنَا الْعَاقِبُ الَّذِي لَيْسَ بَعْدَهُ أَحَدٌ " . وَقَدْ سَمَّاهُ اللَّهُ رَءُوفًا رَحِيمًا .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৫৭৪৫
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৪৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমার দৃষ্টান্ত ও (আমার পূর্ববর্তী) অন্যান্য নবীদের দৃষ্টান্ত হইল এইরূপ— যেমন, একটি প্রাসাদ, যাহা সৌন্দর্যমণ্ডিত করিয়া নির্মাণ করা হইয়াছে, কিন্তু এক স্থানে একটি ইটের জায়গা খালি রাখা হইয়াছে। অতঃপর লোকেরা উহা ঘুরিয়া দেখিয়া বিস্মিত হয় যে, উহার নির্মাণ কত সুন্দর, কিন্তু একটি ইটের স্থান খালি রহিয়াছে। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেন, আমিই উক্ত খালি ইটের স্থানটি পূর্ণ করি। আমার দ্বারাই উক্ত প্রাসাদটি সমাপ্ত করা হইয়াছে এবং আমার দ্বারাই নবী আগমনের সিলসিলা শেষ করা হইয়াছে। অপর এক রেওয়ায়তে আছে—আমিই সেই ইট এবং আমিই নবীদের সিলসিলা সমাপ্তকারী। —মোত্তাঃ
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَثَلِي وَمَثَلُ الْأَنْبِيَاءِ كَمَثَلِ قَصْرٍ أُحْسِنَ بُنْيَانُهُ تُرِكَ مِنْهُ مَوضِع لبنة فَطَافَ النظَّارُ يتعجَّبونَ من حُسنِ بنيانِه إِلَّا مَوْضِعَ تِلْكَ اللَّبِنَةِ فَكُنْتُ أَنَا سَدَدْتُ مَوْضِعَ اللَّبِنَةِ خُتِمَ بِيَ الْبُنْيَانُ وَخُتِمَ بِي الرُّسُلُ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَأَنَا اللَّبِنَةُ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ» . مُتَّفق عَلَيْهِ