ফয়জুল কালাম

লেীকিকতা (রিয়া) -এর বিষয়সমূহ

১০ টি হাদীস

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৩১৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৫৪
সূরা কাহফ
৩১৫৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার প্রমুখ (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ ইবনে আবু ফাযালা আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন একজন সাহাবী, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন যেদিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নাই, যখন আল্লাহ্ তাআলা সব মানুষ একত্রিত করবেন তখন জনৈক ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন, যে আমল সে আল্লাহর জন্য করেছে তাতে কেউ যদি কাউকে শরীক করে থাকে তবে সে তার ঐ আমলের প্রতিদান আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো কাছে তালাশ করুক। কারণ, আল্লাহ্ তাআলা শিরক থেকে সবার চেয়ে বেশী মুক্ত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الكَهْفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي سَعْدِ بْنِ أَبِي فَضَالَةَ الأَنْصَارِيِّ، وَكَانَ، مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا جَمَعَ اللَّهُ النَّاسَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ لِيَوْمٍ لاَ رَيْبَ فِيهِ نَادَى مُنَادٍ مَنْ كَانَ أَشْرَكَ فِي عَمَلٍ عَمِلَهُ لِلَّهِ أَحَدًا فَلْيَطْلُبْ ثَوَابَهُ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:

সুনানে ইবনে মাজা

হাদীস নং:৩৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৯
যার জন্য ফিতনা থেকে নিরাপদে থাকা কামনা করা হয়
৩৯৮৯। হারমালাহ্ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ).... উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি মসজিদে নববীতে যান। সেখানে তিনি নবী (ﷺ) এর রওযা মুবারকের পার্শ্বে মু'আয ইব্‌ন জাবাল (রাযিঃ) কে কান্নারত অবস্থায় বসা দেখতে পান। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ কোন জিনিস তোমাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেনঃ আমাকে এমন এক জিনিস কাঁদাচ্ছে যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম রিয়াও শিরক। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন ওলীর সাথে দুশমনী করে সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা পছন্দ করেন নেককার, পরহেযগার এবং গোপন বান্দাদের, যারা অদৃশ্য হয়ে গেলে কেউ তাদের তালাশ করে না। যদি তারা কোথাও উপস্থিত হয়ে, তাহলে তাদের ডাকা হয় না এবং তাদের পরিচয়ও নেওয়া হয় না। তাদের অন্তকরণগুলো হিদায়েতের আলোক বর্তিকা সদৃশ্য। তারা সব ধরনের কদর্য ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।
بَاب مَنْ تُرْجَى لَهُ السَّلَامَةُ مِنْ الْفِتَنِ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫৩৩১
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা
৫৩৩১। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়িল সে শিরক করিল। যে দেখানোর নিয়তে রোযা রাখিল সে শিরক করিল; আর যে দেখানোর জন্য সদকা-খয়রাত করিল সেও শিরক করিল। — হাদীস দুইটি আহমদ রেওয়ায়ত করিয়াছেন।
وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «من صَلَّى يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ صَامَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ تَصَدَّقَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ» رَوَاهُمَا أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫৩৩২
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা
৫৩৩২। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তিনি কাদিতেছিলেন। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল; কিসে আপনাকে কাঁদাইতেছে? তিনি বলিলেন, ঐ কথাটি আমাকে কাঁদাইতেছে যাহা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি। এখন উহার স্মরণ আমাকে কাঁদাইতেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, আমি আমার উম্মতের উপর প্রচ্ছন্ন শিরক্ ও গোপন প্রবৃত্তির ভয় করিতেছি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার পরে আপনার উম্মত কি শিরকে লিপ্ত হইবে ? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, লিপ্ত হইবে। অবশ্য তাহারা সূর্য, চন্দ্রের এবাদত করিবে না, পাথর এবং মূর্তির পূজা করিবে না; কিন্তু নিজেদের আমলসমূহ মানুষকে দেখানোর নিয়তে করিবে। আর গোপন প্রবৃত্তি হইল—যেমন তাহাদের কেহ রোযাবস্থায় ভোর করিল, ইহার পর তাহার সম্মুখে প্রবৃত্তির কোন চাহিদা উপস্থিত হইলে সে রোযা পরিত্যাগ করিয়া দেয়। —আহমদ ও বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
وَعَنْهُ أَنَّهُ بَكَى فَقِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: شَيْءٌ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فَذَكَرْتُهُ فَأَبْكَانِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «أَتَخوَّفُ على أمتِي الشِّرْكِ وَالشَّهْوَةِ الْخَفِيَّةِ» قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُشْرِكُ أُمَّتُكَ مِنْ بَعْدِكَ؟ قَالَ: «نَعَمْ أَمَا إِنَّهُمْ لَا يَعْبُدُونَ شَمْسًا وَلَا قَمَرًا وَلَا حَجَرًا وَلَا وَثَنًا وَلَكِنْ يُرَاؤُونَ بِأَعْمَالِهِمْ. وَالشَّهْوَةُ الْخَفِيَّةُ أَنْ يُصْبِحَ أَحَدُهُمْ صَائِمًا فَتَعْرِضَ لَهُ شَهْوَةٌ مِنْ شَهَوَاتِهِ فَيَتْرُكَ صَوْمَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সুনানে ইবনে মাজা

হাদীস নং:৪২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২০৪
রিয়াও খ্যাতি
৪২০৪। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন সাঈদ (রাহঃ)....... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে আসলেন, আমরা তখন মাসীহ দাজ্জালের কথা আলোচনা করছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের সে বিষয়ে অবহিত করবো না, যা আমার নিকট তোমাদের জন্য মাসীহ্ দাজ্জালের ফিতনা থেকেও অধিক ভয়াবহ? তিনি (রাবী) বললেনঃ আমরা বললাম, অবশ্যই বলুন। অতঃপর তিনি বললেনঃ (তা হচ্ছে) শিরকে খফী (গোপনী শিরক)। এর ধরন হচ্ছে যে, মানুষ সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়ায়, আর সে লোক দেখানোর জন্য নিজের সালাত সুন্দর করে আদায় করে।
بَاب الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِمَا هُوَ أَخْوَفُ عَلَيْكُمْ عِنْدِي مِنَ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا بَلَى ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ الشِّرْكُ الْخَفِيُّ أَنْ يَقُومَ الرَّجُلُ يُصَلِّي فَيُزَيِّنُ صَلاَتَهُ لِمَا يَرَى مِنْ نَظَرِ رَجُلٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫৩৩৪
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা
৫৩৩৪। হযরত মাহমুদ ইবনে লবীদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি তোমাদের জন্য যেই ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা বেশী ভয় করিতেছি তাহা হইল ছোট শিরক। লোকেরা জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। ছোট শিরক কি? তিনি বলিলেনঃ রিয়া। —আহমদ। আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন বান্দাদের আমলের প্রতিদানের দিন আল্লাহ্ তা'আলা ঐ সমস্ত লোকদিগকে বলিবেনঃ যাও তোমরা সেই সমস্ত লোকদের নিকটে; যাহাদিগকে দেখাইয়া দুনিয়াতে আমল করিয়াছিলে এবং দেখ তাহাদের নিকট হইতে কোন প্রতিদান বা কোন কল্যাণ পাও কি না ?
وَعَن مَحْمُود بن لبيد أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ» قالول: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ؟ قَالَ: «الرِّيَاءُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ. وَزَادَ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» : يَقُولُ اللَّهُ لَهُمْ يَوْمَ يُجَازِي الْعِبَادَ بِأَعْمَالِهِمْ: اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاؤُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عِنْدَهُمْ جَزَاءً وَخَيْرًا؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৬৩১১
১০. মুসলমানের উপর যুলুম করা, তাকে অপদস্থ করা, তুচ্ছ জ্ঞান করা হারাম এবং তার খুন, ইযযত-আবরু ও মালও (অমর্যাদাপূর্ণ হারাম)
৬৩১১। আমর নাকিদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চাল-চলন ও বিত্ত-বৈভবের প্রতি নযর করেন না; বরং তিনি নযর করেন তোমাদের অন্তর ও আমলের প্রতি।
باب تَحْرِيمِ ظُلْمِ الْمُسْلِمِ وَخَذْلِهِ وَاحْتِقَارِهِ وَدَمِهِ وَعِرْضِهِ وَمَالِهِ
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ، الأَصَمِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৬৪৮০
৫১. নেককার লোকের প্রশংসা সুসংবাদ স্বরূপ এবং তা তার ক্ষতির কারণ নয়
৬৪৮০। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামিমী, আবু রাবী, আবু কামিল (জাহদারী), ফুযায়ল ইবনে হুসাইন (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আরয করা হল, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে কি অভিমত, যে নেক আমল করে এবং লোকেরা তার প্রশংসা করে? তিনি বললেন, এতো মুমিন ব্যক্তির জন্য তাৎক্ষণিক (আগাম) সুসংবাদ।
باب إِذَا أُثْنِيَ عَلَى الصَّالِحِ فَهِيَ بُشْرَى وَلاَ تَضُرُّهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يَعْمَلُ الْعَمَلَ مِنَ الْخَيْرِ وَيَحْمَدُهُ النَّاسُ عَلَيْهِ قَالَ " تِلْكَ عَاجِلُ بُشْرَى الْمُؤْمِنِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫৩১৯
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা
৫৩১৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের কাছে নিজের আমলের কথা শুনায়, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার বদ উদ্দেশ্যে কৃত আমলকে মানুষের কানে পৌঁছাইয়া দিবেন এবং তাহাকে হেয় ও অপমানিত করিবেন। – বায়হাকী
وَعَن عبد الله بن عَمْرو أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ سَمَّعَ النَّاسَ بِعَمَلِهِ سَمَّعَ اللَّهُ بِهِ أَسَامِعَ خَلْقِهِ وَحَقَّرَهُ وَصَغَّرَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৫৩২২
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা
৫৩২২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। একদা আমি আমার ঘরে নামায পড়িতেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমার নিকট আসিল। সে আমাকে এই অবস্থায় দেখিয়াছে বিধায় আমার মনে আনন্দ জাগিল। (আমার খুশী হওয়াটা কি রিয়াকারী ?) তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহ্ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন, হে আবু হুরায়রা। তোমার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রহিয়াছে, একটি হইল গোপনীয়তার; আর দ্বিতীয়টি হইল এবাদত প্রকাশ হইয়া পড়ার (যাহাতে অন্যরা তোমার অনুসরণ করিবে)। —তিরমিযী। তিনি বলিয়াছেন এই হাদীসটি গরীব।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيْنَا أَنَا فِي بَيْتِي فِي مُصَلَّايَ إِذْ دَخَلَ عَلَيَّ رَجُلٌ فَأَعْجَبَنِي الْحَالُ الَّتِي رَآنِي عَلَيْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَكَ اللَّهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ لَكَ أَجْرَانِ: أَجْرُ السِّرِّ وَأَجْرُ الْعَلَانِيَةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা