ফয়জুল কালাম

গায়রুল্লাহর নামে কসম করা নিষেধ -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:৩২৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫১
২৬৮. বাপ-দাদার নামে কসম না করা।
৩২৩৬. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে উবাইদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইবনে উমর (রাযিঃ) জনৈক ব্যক্তিকে কাবার নামে কসম করতে শুনে তাকে বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম খেল, সে যেন (আল্লাহর সঙ্গে) শরীক করলো।
باب فِي كَرَاهِيَةِ الْحَلِفِ بِالآبَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ سَمِعَ ابْنُ عُمَرَ، رَجُلاً يَحْلِفُ لاَ وَالْكَعْبَةِ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ أَشْرَكَ " .

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:৩২৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫৩ - ৩২৫৪
২৬৯. আমানতের উপর কসম খাওয়া।
৩২৩৮. আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ..... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমানতের উপর কসম খাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আতা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বেহুদা কসম খাওয়া সম্পর্কে বলেন, ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ’’কোনো ব্যক্তির নিজ ঘরে বসে কথাবার্তায় এরূফ বলা যেঃ কখনো নয়, আল্লাহর শপথ! এবং হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ!
باب فِي كَرَاهِيَةِ الْحَلِفِ بِالأَمَانَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ الطَّائِيُّ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ بِالأَمَانَةِ فَلَيْسَ مِنَّا " .

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ السَّامِيُّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي الصَّائِغَ، عَنْ عَطَاءٍ، فِي اللَّغْوِ فِي الْيَمِينِ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: هُوَ كَلَامُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ، كَلَّا وَاللَّهِ، وَبَلَى وَاللَّهِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: " كَانَ إِبْرَاهِيمُ الصَّائِغُ رَجُلًا صَالِحًا، قَتَلَهُ أَبُو مُسْلِمٍ بِعَرَنْدَسَ، قَالَ: وَكَانَ إِذَا رَفَعَ الْمِطْرَقَةَ فَسَمِعَ النِّدَاءَ سَيَّبَهَا "، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ الصَّائِغِ، مَوْقُوفًا عَلَى عَائِشَةَ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، وَمَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، وَكُلُّهُمْ عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ مَوْقُوفًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:৫৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১০৮
৩২৩৬. কেউ যদি কাউকে না জেনে কিংবা নিজ ধারণা অনুযায়ী (কাফির বা মুনাফিক) সম্বোধন করে, তাকে কাফির বলা যাবে না।
৫৬৭৮। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) কে একদিন আরোহীর মাঝে এমন সময় পেলেন, যখন তিনি তার পিতার নামে কসম খাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচ্চস্বরে তাদের বললেনঃ জেনে রাখ! আল্লাহ তোমাদের নিজের পিতার নামে কসম খেতে নিষেধ করেছেন। যদি কাউকে কসম খেতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম খায়, অন্যথায় সে যেন চুপ থাকে।
باب مَنْ لَمْ يَرَ إِكْفَارَ مَنْ قَالَ ذَلِكَ مُتَأَوِّلاً أَوْ جَاهِلاً
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّهُ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَكْبٍ وَهْوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ، فَنَادَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ، فَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ، وَإِلاَّ فَلْيَصْمُتْ ".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:৩২৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪৮
২৬৭. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম খাওয়া।
৩২৩৩. উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে, তোমাদের মায়ের নামে এবং মূর্তির নামে শপথ করবে না। আর তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম খাবে না। আর যখন তোমরা আল্লাহর নামে কসম করবে, তখন সত্য কসম করবে, (অর্থাৎ সে কসম পূর্ণ করবে)।
باب الْيَمِينِ بغير الله
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ وَلاَ بِأُمَّهَاتِكُمْ وَلاَ بِالأَنْدَادِ وَلاَ تَحْلِفُوا إِلاَّ بِاللَّهِ وَلاَ تَحْلِفُوا بِاللَّهِ إِلاَّ وَأَنْتُمْ صَادِقُونَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

রিয়াযুস সালিহীন

হাদীস নং:৬৭৩
অধ্যায় : ৮১ নেতৃত্ব প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা, নেতৃত্ব যদি কারও জন্য অবধারিত না হয়ে যায় বা তার জন্য তা গ্রহণের প্রয়োজন দেখা না দেয়, তবে তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গ
চেয়ে নেতৃত্বগ্রহণ ও না চেয়ে পাওয়ার মধ্যে পার্থক্য হাদীছ নং: ৬৭৩ হযরত আবূ সা‘ঈদ আব্দুর রহমান ইবন সামুরা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ো না। কেননা বিনা চাওয়ায় তোমাকে তা দেওয়া হলে তাতে তুমি সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। আর যদি চাওয়ার কারণে তোমাকে তা দেওয়া হয়, তবে তোমাকে তাতে (বিনা সাহায্যে) ছেড়ে দেওয়া হবে। তুমি যখন কোনও বিষয়ে শপথ করবে, তারপর তার বিপরীত কাজকে তারচে' উত্তম দেখতে পাবে, তখন যা উত্তম তাই করবে আর তোমার শপথের কাফফারা আদায় করবে। -বুখারী ও মুসলিম (সহীহ বুখারী: ৭১৪৬; সহীহ মুসলিম: ১৬৫২; সুনানে আবূ দাউদ: ২৯২৯; জামে তিরমিযী: ১৬০৯; সুনানে নাসাঈ : ৫৩৮৪; মুসনাদে আহমাদ: ২০৬১৮; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৩৪৮; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ৫৯; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৯৮৪১; সুনানে দারিমী: ২৩৯১)
81 - باب النهي عن سؤال الإمارة واختيار ترك الولايات إذا لَمْ يتعين عليه أَوْ تَدْعُ حاجة إِلَيْهِ
673 - وعن أَبي سعيدٍ عبدِ الرحمانِ بن سَمُرَة - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ لي رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «يَا عَبْدَ الرَّحْمن بن سَمُرَةَ، لاَ تَسْأَلِ الإمَارَةَ؛ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْألَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا، وَإنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْألَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا، وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ، فَرَأيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، فَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينكَ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা