আলফিয়্যাতুল হাদীস
যবানের হেফাযত -এর বিষয়সমূহ
৬ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৬০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৭৪
৩৪৩৫. যবানের হেফাযত করা।
৬০৩০। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দামী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার (সন্তুষ্টির) জন্য তার দু’চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর হিফাযত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।
باب حِفْظِ اللِّسَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، سَمِعَ أَبَا حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ ".

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৪১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১০
যবানের হিফাযত।
২৪১৩. সুওয়ায়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ ছাকাফী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।
রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার বিষয়ে সবচেয়ে বেশী কিসের আশঙ্কা আপনি করেন?
তিনি তার জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ এটির।
باب مَا جَاءَ فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَاعِزٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ . قَالَ " قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَىَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ .
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:১৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫ - ২
৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম
১৯৩। আলী ইবনে হুজর আল সা’দী ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হাম্মাম ইবনে হারীস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে এক ব্যক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছাত। একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বলল, এই সে ব্যক্তি, যে লোকের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছায়। রাবী বললেন, এরপর সে উপস্থিত হল এবং আমাদের প্যশে বসে পড়ল। তখন হুযাইফা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
باب بَيَانِ غِلَظِ تَحْرِيمِ النَّمِيمَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ فَكُنَّا جُلُوسًا فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ الْقَوْمُ هَذَا مِمَّنْ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ . قَالَ فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ إِلَيْنَا . فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৪৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬০
৩২. কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা সম্পর্কে।
৪৭৮৪. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার সাহাবীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ যেন আমার কাছে অন্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করে। কেননা, আমি পছন্দ করি যে, যখন আমি তোমাদের থেকে প্রস্থান করি, তখন যেন আমার অন্তর পরিষ্কার থাকে (অর্থাৎ কারো প্রতি আমার অন্তরে যেন ঘৃণা না জন্মে।)
باب فِي رَفْعِ الْحَدِيثِ مِنَ الْمَجْلِسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْوَلِيدِ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَنَسَبَهُ لَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ - عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ - قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ - عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُبَلِّغْنِي أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِي عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْكُمْ وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৪৮০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭৮ - ৪৮৭৯
৩৯. গীবত বা পরনিন্দা সম্পর্কে।
৪৮০১. ইবনে মুসাফফা (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ শবে মি’রাজে যখন আমি আসমানের উপর গমন করি, তখন এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে তাদের চেহারা ও মুখমণ্ডল আচঁড়াতে ছিল। তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বলেনঃ এরা তারা, যারা অন্য লোকের গোশত ভক্ষণ করতো, (অর্থাৎ গীবত করতো।) এবং মানুযের ইযযাত নষ্ট করতো।
باب فِي الْغِيبَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَأَبُو الْمُغِيرَةِ، قَالاَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بَقِيَّةَ لَيْسَ فِيهِ أَنَسٌ .
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَبِي عِيسَى السَّيْلَحِينِيُّ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، كَمَا قَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى .
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ أَبِي عِيسَى السَّيْلَحِينِيُّ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، كَمَا قَالَ ابْنُ الْمُصَفَّى .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৪৮৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭৫
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৪। হযরত আবু সাঈদ ও জাবের (রাঃ) — তাঁহারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গীবত ব্যভিচার হইতেও জঘন্য। সাহাবীগণ আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ । গীবত কিভাবে ব্যভিচার হইতে জঘন্য ? তিনি বলিলেনঃ কোন ব্যক্তি ব্যভিচার করে, অতঃপর তওবা করে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার তওবা কবুল করেন। অপর এক বর্ণনায় আছে, অতঃপর সে তওবা করে, ফলে আল্লাহ্ তাহাকে ক্ষমা করিয়া দেন। কিন্তু গীবতকারীকে আল্লাহ্ তা'আলা ক্ষমা করেন না, যে পর্যন্ত না যাহার গীবত করা হইয়াছে সে ক্ষমা করিয়া দেয়। হযরত আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যিনাকারী তওবা করে, কিন্তু গীবতকারীর তওবা নাই। —বায়হাকী
وَعَن أبي سعيدٍ وجابرٍ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِ» - وَفِي رِوَايَةٍ: «فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ اللَّهُ لَهُ وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يغفِرَها لَهُ صَاحبه»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
