আল আ'রাফ

সূরা নং: ৭, আয়াত নং: ৩৩

তাফসীর
قُلۡ اِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّیَ الۡفَوَاحِشَ مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَمَا بَطَنَ وَالۡاِثۡمَ وَالۡبَغۡیَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَاَنۡ تُشۡرِکُوۡا بِاللّٰہِ مَا لَمۡ یُنَزِّلۡ بِہٖ سُلۡطٰنًا وَّاَنۡ تَقُوۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

উচ্চারণ

কুল ইন্নামা- হাররামা রাব্বিয়াল ফাওয়া-হিশা মা-জাহারা মিনহা-ওয়া মা- বাতানা ওয়াল ইছমা ওয়াল বাগইয়া বিগাইরিল হাক্কি ওয়া আন তুশরিকূবিল্লা-হি মা-লাম ইউনাঝঝিল বিহী ছুলতা-নাওঁ ওয়া আন তাকূলূ‘আলাল্লা-হি মা-লা-তা‘লামূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, আমার প্রতিপালক তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজসমূহ প্রকাশ্য হোক বা গোপন এবং সর্বপ্রকার গুনাহ, অন্যায়ভাবে (কারও প্রতি) সীমালংঘন, আল্লাহ যে সম্পর্কে কোনও প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি, এমন জিনিসকে আল্লাহর শরীক সাব্যস্তকরণ এবং আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কথা বলাকে, যে সম্পর্কে তোমাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। ২২

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২২. এমনিতে তো যে কারও নামেই কোন অসত্য কথা চালানো সর্ব বিচারে একটি অন্যায় ও অনৈতিক কাজ, কিন্তু এ অপরাধ যদি আল্লাহ তাআলার সঙ্গে করা হয়, তবে তা এতই গুরুতর হয় যে, তা মানুষকে কুফর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়। এ কারণেই আল্লাহ তাআলার বরাতে কোনও কথা বলার সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও বিষয় নিশ্চিতভাবে জানা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সে বিষয়কে আল্লাহর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত করা উচিত নয়। আরবের মূর্তিপূজারীগণ নিজেদের পক্ষ হতে বিভিন্ন কথা তৈরি করে আল্লাহর নামে চালিয়ে দিয়েছিল। সে সব কথার কোন জ্ঞানগত ভিত্তি ছিল না; বরং কেবলই আন্দাজ-অনুমানের ভিত্তিতে তা রচনা করত। নিজেরাও জানত না, তা কতটুকু বাস্তব।
﴾﴿