আল আ'রাফ

সূরা নং: ৭, আয়াত নং: ২৩

তাফসীর
قَالَا رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَاِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ

উচ্চারণ

কা-লা রাব্বানা-জালামনাআনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজ সত্তার উপর জুলুম করে ফেলেছি। আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন ও আমাদের প্রতি রহম না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অকৃতকার্যদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। ১৩

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৩. এটাই ইসতিগফার ও ক্ষমাপ্রার্থনার সেই শব্দমালা, যে সম্পর্কে সূরা বাকারায় (২ : ৩৭) বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলাই তাদেরকে এটা শিক্ষা দিয়েছিলেন। কেননা তখনও পর্যন্ত তাওবা করার নিয়ম তাদের জানা ছিল না। এর দ্বারা বোঝা যায়, তাওবা করার জন্য এই শব্দসমূহ অত্যন্ত ফলপ্রসূ। এর মাধ্যমে তাওবা করলে তা কবুল হওয়ার বেশি আশা করা যায়, যেহেতু এটা স্বয়ং আল্লাহ তাআলারই শেখানো। এভাবে আল্লাহ তাআলা এক দিকে যেমন শয়তানকে অবকাশ দিয়ে মানুষকে গোমরাহ করার যোগ্যতা দান করেছেন, যা মানুষের জন্য বিষতুল্য। অপর দিকে মানুষকে তাওবা ও ইসতিগফারও শিক্ষা দিয়েছেন, যা সেই বিষের প্রতিষেধকতুল্য। কাজেই শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কেউ কোন গুনাহ করে ফেললে তার উচিত, সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে ফেলা। অর্থাৎ সে তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হবে, ভবিষ্যতে আর না করার অঙ্গীকার করবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। এর ক্রিয়ায় শয়তান যে বিষ প্রয়োগ করেছিল তা নেমে যাবে।
﴾﴿