আল আ'রাফ

সূরা নং: ৭, আয়াত নং: ১০৩

তাফসীর
ثُمَّ بَعَثۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ مُّوۡسٰی بِاٰیٰتِنَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَمَلَا۠ئِہٖ فَظَلَمُوۡا بِہَا ۚ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُفۡسِدِیۡنَ

উচ্চারণ

ছু ম্মা বা‘আছনা-মিম বা‘দিহিম মূছা-বিআ-য়া-তিনাইলা-ফির‘আওনা ওয়া মালাইহী ফাজালামূবিহা- ফানজু র কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুফছিদীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর আমি তাদের সকলের পর মূসাকে আমার নিদর্শনাবলীসহ ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে পাঠালাম। ৫৯ তারাও এর (অর্থাৎ নিদর্শনাবলীর) প্রতি অবিচার করল। সুতরাং দেখ, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৯. এখান থেকে ১৬২ নং আয়াত পর্যন্ত হযরত মূসা আলাইহিস সালামের ঘটনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। এতে ফির‘আউনের সাথে তার কথোপকথন ও উভয়ের পারস্পরিক মুকাবিলা, ফির‘আউনের নিমজ্জন ও হযরত মূসা আলাইহিস সালামের প্রতি তাওরাত নাযিলের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ছিলেন হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের চতুর্থ অধঃস্তন পুরুষ। সূরা ইউসুফে আছে, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন মিসরের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, তখন তিনি নিজ পিতা-মাতা ও ভাইদেরকে ফিলিস্তিন থেকে মিসরে আনিয়ে নিয়েছিলেন। ইসরাঈলী বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধরগণ, যারা বনী ইসরাঈল নামে পরিচিত, মিসরেরই বাসিন্দা হয়ে যায়। মিসরের বাদশাহ তাদের জন্য নগরের বাইরে পৃথক একটি জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল। মিসরের প্রত্যেক বাদশাকে ফির‘আউন বলা হত। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ইন্তিকালের পর মিসরের বাদশাহের কাছে বনী ইসরাঈল নিজেদের মর্যাদা হারাতে শুরু করে, এমনকি এক পর্যায়ে বাদশাহগণ তাদেরকে নিজেদের দাস বানিয়ে নেয়। অপর দিকে তাদের মধ্যকার এক ফির‘আউন (আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী যার নাম মিনিফ্তাহ) ক্ষমতার মদমত্ততায় নিজেকে খোদা দাবী করে বসে। এহেন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে তার কাছে নবী বানিয়ে পাঠালেন। তাঁর জন্ম, মাদয়ান অভিমুখে হিজরত, অতঃপর নবুওয়াত লাভ ইত্যাদি ঘটনাবলী ইনশাআল্লাহ সূরা তোয়াহা (সূরা নং ২০) সূরা কাসাসে (সূরা নং ২৮) আসবে। এছাড়া আরও ৩৫টি সূরায় তার ঘটনার বিভিন্ন দিক বর্ণিত হয়েছে। ফির‘আউনের সাথে তাঁর যেসব ঘটনা ঘটেছিল, এস্থলে তা বিবৃত হচ্ছে।
﴾﴿