আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ৩৭

তাফসীর
وَقَالُوۡا لَوۡلَا نُزِّلَ عَلَیۡہِ اٰیَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ ؕ قُلۡ اِنَّ اللّٰہَ قَادِرٌ عَلٰۤی اَنۡ یُّنَزِّلَ اٰیَۃً وَّلٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া কা-লূলাওলা-নুঝঝিলা ‘আলাইহি আ-য়াতুম মির রাব্বিহী কুল ইন্নাল্লা-হা কাদিরুন ‘আলাআইঁ ইউনাঝঝিলা আ-য়াতাওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলে, (ইনি যদি নবী হন, তবে) তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে কোনও নিদর্শন অবতীর্ণ করা হল না কেন? তুমি (তাদেরকে) বল, নিশ্চয়ই আল্লাহ যে কোনও নিদর্শন অবতীর্ণ করতে সক্ষম, কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক (এর পরিণাম) জানে না। ১৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৪. এ আয়াতে ফরমায়েশী মুজিযা না দেখানোর আরেকটি কারণের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলার শাশ্বত নীতি হল, যখনই কোনও জাতিকে তাদের ইচ্ছানুরূপ মুজিযা দেখানো হয়েছে, তখন তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, এর পরও তারা যদি ঈমান না আনে তবে তাদেরকে এ দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। সুতরাং ভূপৃষ্ঠ হতে এভাবে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা জানেন, মক্কার অধিকাংশ কাফের হঠকারী স্বভাবের। ফরমায়েশী মুজিযা দেখার পরও তারা ঈমান আনবে না। ফলে আল্লাহ তাআলার রীতি অনুসারে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাপক শাস্তি দ্বারা এখনই তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা নয়। এ কারণেই তিনি তাদেরকে তাদের ফরমায়েশী মুজিযা প্রদর্শন করেন না। যারা এরূপ মুজিযা দাবী করছে তারা এর পরিণাম জানে না। হাঁ যারা ঈমান আনবার, তারা এরূপ মুজিযা ছাড়াই অন্যান্য দলীল-প্রমাণ ও নিদর্শনাবলী দেখে স্বেচ্ছায় ঈমান আনবে।
﴾﴿
সূরা আল আনআম, আয়াত ৮২৬ | মুসলিম বাংলা