আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ৯৪

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَیَبۡلُوَنَّکُمُ اللّٰہُ بِشَیۡءٍ مِّنَ الصَّیۡدِ تَنَالُہٗۤ اَیۡدِیۡکُمۡ وَرِمَاحُکُمۡ لِیَعۡلَمَ اللّٰہُ مَنۡ یَّخَافُہٗ بِالۡغَیۡبِ ۚ فَمَنِ اعۡتَدٰی بَعۡدَ ذٰلِکَ فَلَہٗ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলাইয়াবলুওয়ান্নাকুমুল্লা-হু বিশাইইম মিনাসসাইদি তানা-লুহূ আইদীকুম ওয়া রিমা-হুকুম লিইয়া‘লামাল্লা-হু মাইঁ ইয়াখা-ফুহু বিলগাইবি ফামানি‘তাদাবা‘দা যা-লিকা ফালাহু ‘আযা-বুন আলীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের হাত ও বর্শার নাগালে আসা শিকারের কিছু প্রাণী দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করবেন, ৭২ যাতে তিনি জেনে নেন যে, কে তাকে না দেখেও ভয় করে। সুতরাং এরপরও কেউ সীমালংঘন করলে সে যন্ত্রণাময় শাস্তির উপযুক্ত হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭২. যেমন সামনের আয়াতে আসছে, কেউ যখন হজ্জ বা উমরার ইহরাম বেঁধে নেয়, তখন তার জন্য স্থলের প্রাণী শিকার করা হারাম হয়ে যায়। আরবের মরুভূমিতে শিকার করার মত কোনও প্রাণী মিলে যাওয়া মুসাফিরদের পক্ষে এক বিরাট নিয়ামত ছিল। এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, যারা ইহরাম বাঁধে তাদের পরীক্ষার্থে আল্লাহ তা‘আলা কিছু প্রাণীকে তাদের খুব কাছে, একদম বর্শার নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেবেন। এভাবে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে যে, তারা আল্লাহ তা‘আলার আদেশ পালনার্থে এ নিয়ামত পরিহার করে কি না। এর দ্বারা জানা গেল, মানুষের ঈমানের প্রকৃত যাচাই হয় তখনই, যখন তার অন্তর কোনও অবৈধ কাজের জন্য উদ্বেলিত হয়ে ওঠে; কিন্তু আল্লাহর ভয়ে সে নিজেকে তা থেকে নিবৃত্ত রাখে।
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৭৬৩ | মুসলিম বাংলা