یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡتُلُوا الصَّیۡدَ وَاَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ وَمَنۡ قَتَلَہٗ مِنۡکُمۡ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثۡلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ یَحۡکُمُ بِہٖ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ ہَدۡیًۢا بٰلِغَ الۡکَعۡبَۃِ اَوۡ کَفَّارَۃٌ طَعَامُ مَسٰکِیۡنَ اَوۡ عَدۡلُ ذٰلِکَ صِیَامًا لِّیَذُوۡقَ وَبَالَ اَمۡرِہٖ ؕ عَفَا اللّٰہُ عَمَّا سَلَفَ ؕ وَمَنۡ عَادَ فَیَنۡتَقِمُ اللّٰہُ مِنۡہُ ؕ وَاللّٰہُ عَزِیۡزٌ ذُو انۡتِقَامٍ
উচ্চারণ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাকতুলুসসাইদাওয়া আনতুম হুরুমুওঁ ওয়ামান কাতালাহূমিনকুম মুতা‘আম্মিদান ফাজাঝাউম মিছলুমা-কাতালা মিনান না‘আমি ইয়াহকুমুবিহী যাওয়া-‘আদলিম মিনকুম হাদইয়াম বা-লিগাল কা‘বাতি আও কাফফা-রাতুন তা‘আ-মুমাছা-কীনা আও ‘আদলুযা-লিকা সিয়া-মাল লিইয়াযূকা ওয়াবা-লা আমরিহী ‘আফাল্লা-হু ‘আম্মা-ছালাফা ওয়ামান ‘আ-দা ফাইয়ানতাকিমুল্লা-হু মিনহু ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন যুনতিকা-ম।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭৩. কেউ যদি ইহরাম অবস্থায় শিকার করার গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তার কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) কী হবে এ আয়াতে তা বর্ণিত হয়েছে। তার সারমর্ম এই যে, শিকারকৃত প্রাণীটি হালাল হলে সেই এলাকার দু’জন অভিজ্ঞ ও দীনদার লোক দ্বারা তার মূল্য নিরূপণ করতে হবে। তারপর সেই মূল্যের কোনও গৃহপালিত পশু, যেমন গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি ‘হারাম’ এলাকার ভেতর কুরবানী করা হবে। অথবা সেই মূল্য গরীবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হবে। শিকারকৃত প্রাণীটি যদি হালাল না হয়, যেমন নেকড়ে ইত্যাদি, তবে তার মূল্য একটি ছাগলের মূল্য অপেক্ষা বেশি গণ্য হবে না। যদি কারও কুরবানী দেওয়ার বা তার মূল্য গরীবদের মধ্যে বণ্টন করার সামর্থ্য না থাকে, তবে সে রোযা রাখবে। রোযার হিসাব করা হবে এভাবে যে, একটি রোযাকে পৌনে দু’সের গমের মূল্য বরাবর ধরা হবে। সে হিসেবে শিকারকৃত পশুটির নিরূপিত মূল্যে যে-ক’টি রোযা আসে, তাই রাখতে হবে। আয়াতের এ ব্যাখ্যা ইমাম আবু হানীফা (রহ.)-এর মাযহাব অনুযায়ী। তাঁর মতে ‘সে যে প্রাণী হত্যা করেছে তার সমতুল্য গৃহপালিত কোনও জন্তু’-এর ব্যাখ্যা এই যে, প্রথমে শিকারকৃত প্রাণীটির মূল্য নিরূপণ করা হবে, তারপর সেই মূল্যের কোনও গৃহপালিত পশু হারামের ভেতর নিয়ে যবাহ করতে হবে। এ মাসআলা বিস্তারিতভাবে ফিকহী গ্রন্থাবলীতে বর্ণিত রয়েছে।