আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১০৫

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا عَلَیۡکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ ۚ لَا یَضُرُّکُمۡ مَّنۡ ضَلَّ اِذَا اہۡتَدَیۡتُمۡ ؕ اِلَی اللّٰہِ مَرۡجِعُکُمۡ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ‘আলাইকুম আনফুছাকুম লা-ইয়াদুররুকুম মান দাল্লা ইযাহ তাদাইতুম ইলাল্লা-হি মারজি‘উকুম জামী‘আন ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা সঠিক পথে থাকলে যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, তারা তোমাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। ৭৯ আল্লাহরই কাছে তোমাদের সকলকে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, তোমরা কী কাজ করতে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭৯. পূর্বে কাফিরদের যেসব ভ্রষ্টতা বর্ণিত হয়েছে, তার কারণে মুসলিমগণ এই ভেবে দুঃখবোধ করতেন যে, নিজেদের বিভ্রান্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এসে যাওয়া এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বারবার সমঝানোর পরও তারা তাদের পথভ্রষ্টতা পরিত্যাগ করছে না! এ আয়াত তাদেরকে সান্তনা দিচ্ছে যে, তাবলীগের দায়িত্ব পালনের পর তাদের গোমরাহীর কারণে তোমাদের বেশি দুঃখিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন তোমাদের উচিত নিজেদের ইসলাহ ও সংশোধনের ফিকির করা। কুরআন মাজীদের এ কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যারা সর্বদা অন্যের সমালোচনা করে এবং অতি আগ্রহে অন্যের ছিদ্রান্বেষণে লিপ্ত থাকে, অথচ নিজের দিকে ফিরে তাকানোর ফুরসত পায় না। অন্যের তুচ্ছ তুচ্ছ দোষও বড় করে দেখে, অথচ আপন বড়-বড় অন্যায়ের প্রতি নজর পড়ে না, তাদের জন্য এ আয়াতে অতি বড় উপদেশ রয়েছে। তাদের বলা হচ্ছে, তোমাদের সমালোচনা যদি সহীহও হয় এবং সত্যিই অন্য লোক গোমরাহীতে লিপ্ত থাকে, তবুও তোমাদের জবাব তো দিতে হবে নিজ আমলেরই। তাই আপনার চিন্তা কর; অন্যের সমালোচনা করার ধান্ধায় থেক না। তাছাড়া সমাজে যখন দুষ্কৃতি ব্যাপক হয়ে যায়, তখন সংশোধনের সর্বোত্তম দাওয়াই এটাই যে, প্রত্যেকে অন্যের কাজের দিকে না তাকিয়ে আত্মসংশোধনের ফিকির করবে। ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আত্মসংশোধনের চিন্তা জাগ্রত হলে এক প্রদীপ থেকে আরেক প্রদীপ জ্বলতে থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে গোটা সমাজের সংশোধন হয়ে যাবে।
﴾﴿