اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ یَزۡعُمُوۡنَ اَنَّہُمۡ اٰمَنُوۡا بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّتَحَاکَمُوۡۤا اِلَی الطَّاغُوۡتِ وَقَدۡ اُمِرُوۡۤا اَنۡ یَّکۡفُرُوۡا بِہٖ ؕ وَیُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّضِلَّہُمۡ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا
মুফতী তাকী উসমানী
(হে নবী!) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী করে, তোমার প্রতি যে কালাম নাযিল করা হয়েছে তারা তাতেও ঈমান এনেছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছিল তাতেও, (কিন্তু) তাদের অবস্থা এই যে, তারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়? অথচ তাদেরকে আদেশ করা হয়েছিল, যেন (সুস্পষ্টভাবে) তাকে অস্বীকার করে। ৪৮ বস্তুত শয়তান তাদেরকে চরমভাবে গোমরাহ করতে চায়।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৮. এ স্থলে সেই সকল মুনাফিকের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে, যারা মনে-প্রাণে ইয়াহুদী ছিল, কিন্তু মুসলিমদেরকে দেখানোর জন্য নিজেদেরকে মুসলিমরূপে জাহির করত। তাদের অবস্থা ছিল এ রকম যে বিষয়ে তাদের মনে হত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের অনুকূলে রায় দেবেন, সে বিষয়ের মোকদ্দমা তাঁর কাছেই পেশ করত, কিন্তু যে বিষয়ে তাঁর রায় তাদের প্রতিকূলে যাবে বলে মনে করত, সে বিষয়ের মোকদ্দমা তাঁর পরিবর্তে কোন ইয়াহুদী নেতার কাছে নিয়ে যেত, যাকে আয়াতে ‘তাগূত’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। মুনাফিকদের তরফ থেকে এরূপ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল, যা বিভিন্ন রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে। ‘তাগূত’-এর শাব্দিক অর্থ ‘ঘোর অবাধ্য’। কিন্তু এ শব্দটি শয়তানের জন্যও ব্যবহৃত হয় এবং বাতিল ও মিথ্যার জন্যও। এস্থলে শব্দটি দ্বারা এমন বিচারক ও শাসককে বোঝানো হয়েছে, যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানাবলীর বিপরীতে নিজ খেয়াল-খুশী মত ফায়সালা দেয়। আয়াতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, কোনও ব্যক্তি যদি মুখে নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করে, কিন্তু আল্লাহ ও রাসূলের বিধানাবলীর উপর অন্য কোনও বিধানকে প্রাধান্য দেয়, তবে সে মুসলিম থাকতে পারে না।