یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَاَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَاُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ فَرُدُّوۡہُ اِلَی اللّٰہِ وَالرَّسُوۡلِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ وَّاَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৭. ‘এখতিয়ারধারী’ দ্বারা অধিকাংশ তাফসীরবিদের মতে মুসলিম শাসককে বোঝানো হয়েছে। যাবতীয় বৈধ বিষয়ে তাদের হুকুম মানাও মুসলিমদের জন্য ফরয। শাসকের আনুগত্য করা এই শর্তে ফরয যে, সে এমন কোনও কাজের আদেশ করবে না, যা শরীয়তে অবৈধ। কুরআন মাজীদ এ বিষয়টিকে দু’ভাবে পরিষ্কার করেছে। এক তো এভাবে যে, এখতিয়ারধারীদের আনুগত্য করার হুকুমকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করার হুকুম দানের পরে উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা ইশারা করা হয়েছে যে, শাসকদের আনুগত্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের অধীন। দ্বিতীয়ত পরবর্তী বাক্যে আরও সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শাসকদের দেওয়া আদেশ সঠিক ও পালনযোগ্য কি না সে বিষয়ে যদি মতভেদ দেখা দেয়, তবে সে বিষয়টিকে আল্লাহ ও রাসূলের উপর ন্যস্ত কর। অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহর কষ্টি পাথরে তা যাচাই করে দেখ। যদি তা কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী হয়, তবে তার আনুগত্য করা যাবে না। শাসকদের জন্য অপরিহার্য হয়ে যাবে সে আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া। আর যদি তা কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট ও স্বীকৃত বিধানের পরিপন্থী না হয়, তবে তা মান্য করা মুসলিম সাধারণের জন্য ফরয।