আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৫৪

তাফসীর
اَمۡ یَحۡسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ۚ فَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ اِبۡرٰہِیۡمَ الۡکِتٰبَ وَالۡحِکۡمَۃَ وَاٰتَیۡنٰہُمۡ مُّلۡکًا عَظِیۡمًا

উচ্চারণ

আম ইয়াহছু দূ নান না-ছা ‘আলা-মাআ-তা-হুমুল্লাহু মিন ফাদলিহী ফাকাদ আ-তাইনাআ-লা ইবরা-হীমাল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়া আ-তাইনা-হুম মুলকান ‘আজীমা।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

নাকি তারা এই কারণে মানুষের প্রতি ঈর্ষা করে যে, তিনি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ দান করেন (কেন?)। আমি তো ইবরাহীমের বংশধরদিগকে কিতাব ও হিকমত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে বিরাট রাজত্ব দিয়েছিলাম। ৪৫

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪৫. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা নিজ হিকমত অনুসারে যাকে সমীচীন মনে করেন নবুওয়াত, খিলাফত ও হুকুমতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। সুতরাং তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে নবুওয়াত ও হিকমত দান করেন এবং তার বংশধরদের মধ্যে এ ধারা জারি রাখেন। ফলে তাদের মধ্যে কেউ নবী হওয়ার সাথে রাষ্ট্রনায়কও হন (যেমন হযরত দাঊদ ও সুলায়মান আলাইহিমাস সালাম)। নবুওয়াত ও হিকমতের এ ধারা এ যাবৎ তাঁর এক পুত্র (হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম)-এর বংশেই চালু ছিল। এখন যদি তাঁর অপর পুত্র (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম)-এর বংশে হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সেই মর্যাদায় ভূষিত করা হয়, তাতে আপত্তি ও ঈর্ষার কী কারণ থাকতে পারে?
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫৪৭ | মুসলিম বাংলা