আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৫৩

তাফসীর
اَمۡ لَہُمۡ نَصِیۡبٌ مِّنَ الۡمُلۡکِ فَاِذًا لَّا یُؤۡتُوۡنَ النَّاسَ نَقِیۡرًا ۙ

উচ্চারণ

আম লাহুম নাসীবুম মিনাল মুলকি ফাইযাল্লা-ইউ’তূনান্না-ছা নাকীরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি (বিশ্ব-জগতের) সার্বভৌমত্বে তাদের কোন অংশ আছে? যদি তাই হত, তবে তারা মানুষকে খেজুর-বীচির আবরণ পরিমাণও কিছু দিত না। ৪৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪৪. মুসলিমদের প্রতি ইয়াহুদীদের ঈর্ষা ও বিদ্বেষের কারণ কী? কুরআন মাজীদ এ সম্পর্কে বলছে যে, তাদের আশা ছিল পূর্বেকার বহু নবী-রাসূল যেমন বনী ইসরাঈলের মধ্য থেকে হয়েছেন, তেমনি সর্বশেষ নবীও তাদের খান্দানেই জন্ম নেবেন। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের বংশে জন্ম নিলেন, তখন তারা ঈর্ষাতুর হয়ে পড়ল। অথচ নবুওয়াত, খিলাফত ও হুকুমত আল্লাহ তাআলার এক অনুগ্রহ। তিনি যখন যাকে সমীচীন মনে করেন এ অনুগ্রহে ভূষিত করেন। কোনও লোক এতে আপত্তি করলে সে যেন দাবী করছে, বিশ্ব-জগতের রাজত্ব তার হাতে। নিজ পছন্দমত নবী মনোনীত করার এখতিয়ার তারই। আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে ইরশাদ করেছেন, রাজত্ব যদি কখনও তাদের হাতে যেত, তবে তারা এতটা কার্পণ্য করত যে, কাউকে কণা পরিমাণও কিছু দিত না।
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫৪৬ | মুসলিম বাংলা