আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ২৯

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَلَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তা’কুলূ আমওয়া-লুকুম বাইনাকুম বিলবা-তিলি ইল্লাআন তাকূনা তিজা-রাতান ‘আন তারা-দিম মিনকুম ওয়ালা-তাকতুলূআনফুছাকুম ইন্নাল্লা-হা কা-না বিকুম রাহীমা।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, তবে পারস্পরিক সন্তুষ্টিক্রমে কোন ব্যবসায় করা হলে (তা জায়েয)। এবং তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। ২৮ নিশ্চয়ই, আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৮. এর সহজ-সরল অর্থ এই যে, যেভাবে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করা হারাম, নরহত্যা তদপেক্ষা কঠিন হারাম। অন্যকে হত্যা করাকে ‘নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করা’ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে এবং এর দ্বারা ইশারা করা হয়েছে যে, অন্য কাউকে হত্যা করলে পরিশেষে তার দ্বারা নিজেকেই হত্যা করা হয়। কেননা তার বদলে হত্যাকারী নিজেই নিহত হতে পারে। যদি দুনিয়াতে তাকে হত্যা করা নাও হয়, তবে আখিরাতে তার জন্য যে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তা মৃত্যু অপেক্ষাও কঠিনতর। এভাবে এর দ্বারা আত্মহত্যার নিষিদ্ধতাও স্পষ্ট হয়ে গেল। অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার সাথে এ বাক্যের উল্লেখ দ্বারা এ বিষয়ের প্রতি ইশারা হয়ে থাকবে যে, সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পত্তি গ্রাস করার বিষয়টি যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে, তখন তার পরিণাম দাঁড়ায় সামাজিক আত্মহত্যা।
﴾﴿
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫২২ | মুসলিম বাংলা