আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ১১৯

তাফসীর
وَّلَاُضِلَّنَّہُمۡ وَلَاُمَنِّیَنَّہُمۡ وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ ؕ  وَمَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا ؕ

উচ্চারণ

ওয়ালা উদিল্লান্নাহুম ওয়ালা উমান্নিইয়ান্নাহুম ওয়ালা আ-মুরান্নাহুম ফালাইউবাত্তিকুন্না আ-যানাল আন‘আ-মি ওয়ালাআ-মুরান্নাহুম ফালাইউগাইয়িরুন্না খালকাল্লা-হি ওয়ামাইঁ ইয়াত্তাখিযিশশাইতা-না ওয়ালিইইয়াম মিন দূ নিল্লা-হি ফাকাদ খাছিরা খুছরা-নাম মুবীনা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং আমি তাদেরকে সরল পথ হতে নিশ্চিতভাবে বিচ্যুত করব, তাদেরকে (অনেক) আশা-ভরসা দেব এবং তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা চতুষ্পদ জন্তুর কান চিরে ফেলবে এবং তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে। ৮৪ যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে বন্ধু বানায়, সে সুস্পষ্ট লোকসানের মধ্যে পড়ে যায়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৮৪. আরব কাফিরগণ কোনও কোনও জন্তুর কান চিরে প্রতিমার নামে উৎসর্গ করত। এরূপ জন্তু ব্যবহার করাকে তারা জায়েয মনে করত না। তাদের এই ভ্রান্ত রীতির প্রতিই আয়াতে ইশারা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটা শয়তান করায়। আল্লাহর সৃষ্টিকে ‘বিকৃত করা’ বলতে এই কান চিরে ফেলাকেও বোঝানো হতে পারে। তা ছাড়া হাদীসে আছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও কিছু কাজকে ‘সৃষ্টির বিকৃতি সাধন’ সাব্যস্ত করত: হারাম ঘোষণা দিয়েছেন, যেমন সে কালে নারীগণ তাদের রূপচর্চার অংশ হিসেবে সুঁই ইত্যাদি দ্বারা খুঁচিয়ে শরীরে উল্কি আঁকত, চেহারার প্রাকৃতিক লোম (যা দূষনীয় পর্যায়ের বড় হত না) তুলে ফেলত এবং কৃত্রিমভাবে দন্তরাজিকে ফাঁকা-ফাঁকা করে ফেলত। এ সবই আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভুক্ত, যা সম্পূর্ণ নাজায়েয। (এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাআরিফুল কুরআনে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় যে আলোচনা করা হয়েছে, তা দ্রষ্টব্য)।