وَّلَاُضِلَّنَّہُمۡ وَلَاُمَنِّیَنَّہُمۡ وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ ؕ وَمَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا ؕ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৮৪. আরব কাফিরগণ কোনও কোনও জন্তুর কান চিরে প্রতিমার নামে উৎসর্গ করত। এরূপ জন্তু ব্যবহার করাকে তারা জায়েয মনে করত না। তাদের এই ভ্রান্ত রীতির প্রতিই আয়াতে ইশারা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটা শয়তান করায়। আল্লাহর সৃষ্টিকে ‘বিকৃত করা’ বলতে এই কান চিরে ফেলাকেও বোঝানো হতে পারে। তা ছাড়া হাদীসে আছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও কিছু কাজকে ‘সৃষ্টির বিকৃতি সাধন’ সাব্যস্ত করত: হারাম ঘোষণা দিয়েছেন, যেমন সে কালে নারীগণ তাদের রূপচর্চার অংশ হিসেবে সুঁই ইত্যাদি দ্বারা খুঁচিয়ে শরীরে উল্কি আঁকত, চেহারার প্রাকৃতিক লোম (যা দূষনীয় পর্যায়ের বড় হত না) তুলে ফেলত এবং কৃত্রিমভাবে দন্তরাজিকে ফাঁকা-ফাঁকা করে ফেলত। এ সবই আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভুক্ত, যা সম্পূর্ণ নাজায়েয। (এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাআরিফুল কুরআনে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় যে আলোচনা করা হয়েছে, তা দ্রষ্টব্য)।