আর রুম

সূরা নং: ৩০, আয়াত নং: ৮

তাফসীর
اَوَلَمۡ یَتَفَکَّرُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ ۟ مَا خَلَقَ اللّٰہُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ وَمَا بَیۡنَہُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ وَاِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ بِلِقَآیِٔ رَبِّہِمۡ لَکٰفِرُوۡنَ

উচ্চারণ

আওয়া লাম ইয়াতাফাক্কারূফীআনফুছিহিম মা-খালাকাল্লা-হুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কিওয়া আজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনান্না-ছি বিলিকাই রাব্বিহিম লাকা-ফিরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি তারা নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখেনি? আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে এবং এতদুভয়ের মাঝে বিদ্যমান জিনিসকে যথাযথ উদ্দেশ্য ও নির্দিষ্ট মেয়াদ ব্যতিরেকে সৃষ্টি করেননি। কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ প্রতিপালকের সাথে মিলিত হওয়াকে অস্বীকার করে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪. অর্থাৎ আখেরাতকে স্বীকার না করলে তার অর্থ দাঁড়াবে, আল্লাহ তাআলা এ বিশ্ব-জগতকে এমনি-এমনিই সৃষ্টি করেছেন। এর সৃষ্টির পেছনে বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নেই। এখানে যার যা-ইচ্ছা হয় করতে পারে। জালেম কেন জুলুম করল, পাপিষ্ঠ কেন পাপাচার করল কোনও দিন তার হিসাব নেওয়া হবে না এবং ভালো লোকে ভালো কাজ করলে সেজন্য কখনও পুরস্কার লাভ করবে না। অর্থাৎ ভাল-মন্দের কোনও রকম নিষ্পত্তি ছাড়াই এ বিশ্ব-জগত অনন্ত-অসীম কাল এ রকম উদ্দেশ্যবিহীন চলতে থাকবে।
﴾﴿