وَمِنۡ حَیۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡہَکَ شَطۡرَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَحَیۡثُ مَا کُنۡتُمۡ فَوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ شَطۡرَہٗ ۙ لِئَلَّا یَکُوۡنَ لِلنَّاسِ عَلَیۡکُمۡ حُجَّۃٌ ٭ۙ اِلَّا الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡہُمۡ ٭ فَلَا تَخۡشَوۡہُمۡ وَاخۡشَوۡنِیۡ ٭ وَلِاُتِمَّ نِعۡمَتِیۡ عَلَیۡکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ۙۛ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১০৮. এর অর্থ হল- যতদিন বায়তুল মুকাদ্দাস কিবলা ছিল ইয়াহুদীরা হুজ্জত করত যে, আমাদের দীন সত্য বলেই তো ওরা আমাদের কিবলা অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছে। অন্য দিকে মক্কার মুশরিকরা বলত, মুসলিমগণ নিজেদেরকে তো হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের অনুসারী বলে দাবী করে, অথচ তারা ইবরাহীমী কিবলা পরিত্যাগ করতঃ তাঁর থেকে গুরুতরভাবে বিমুখ হয়ে গিয়েছে। এখন কিবলা পরিবর্তনের যে উদ্দেশ্য ছিল তা যখন অর্জিত হয়ে গেছে এবং এর পর মুসলিমগণ স্থায়ীভাবে কাবাকে কিবলা গণ্য করে তারই অনুসরণ করতে থাকবে, তখন আর প্রতিপক্ষের কোনও রকম হুজ্জতের সুযোগ থাকল না। অবশ্য যে সকল তর্কপ্রবণ লোক সব কিছুতেই আপত্তি তুলবে বলে কসম করে নিয়েছে, তাদের মুখ তো কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তা তারা আপত্তি করতে থাকুক। তাদেরকে মুসলিমদের কোনও ভয় করার প্রয়োজন নেই। মুসলিমগণ তো ভয় করবে কেবল আল্লাহ তাআলাকে, অন্য কাউকে নয়।