আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৪৯

তাফসীর
وَمِنۡ حَیۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡہَکَ شَطۡرَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَاِنَّہٗ لَلۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکَ ؕ وَمَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়ামিন হাইছু খারাজতা ফাওয়ালিল ওয়াজহাকা শাতরাল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া ইন্নাহূলালহাক্কুমির রাব্বিকা ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আর তুমি যেখান থেকেই (সফরের জন্য) বের হও না কেন, (সালাতের সময়) নিজের মুখ মসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও। নিশ্চয়ই এটাই সত্য, যা তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে এসেছে। ১০৭ আর তোমরা যা-কিছু কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ অনবহিত নন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১০৭. আল্লাহ তাআলা আলোচ্য আয়াতসমূহে মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরানোর নির্দেশকে তিনবার পুনরুক্ত করেছেন। এর দ্বারা এক তো নির্দেশের গুরুত্ব ও তাকীদ বোঝানো উদ্দেশ্য; দ্বিতীয়ত এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া উদ্দেশ্য যে, কিবলামুখো হওয়ার হুকুম কেবল বাইতুল্লাহ শরীফের সামনে থাকাকালীন অবস্থায়ই প্রযোজ্য নয়; বরং যখন মক্কা মুকাররমার বাইরে থাকবে তখনও একই হুকুম এবং কখনও দূরে কোথাও চলে গেলে তখনও এটা সমান পালনীয়। এ স্থলে আল্লাহ তাআলা شطر (দিক) শব্দ ব্যবহার করে ইঙ্গিত করে দিয়েছেন যে, কাবামুখী হওয়ার জন্য কাবার একদম সোজাসুজি হওয়া জরুরী নয়, বরং দিকটা কাবার হলেই যথেষ্ট; তাতেই হুকুম পালন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মানুষের দায়িত্ব এতটুকুই যে, সে তার সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট মাধ্যম ব্যবহার করে দিক নির্ণয় করবে। এতটুকু করলেই তার সালাত জায়েয হয়ে যাবে।
﴾﴿