আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৬৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ঢাকায় তিন কাঠা পরিমাণ আমার একটি জমি আছে। বাড়ি বানানোর জন্য আমি তা কিনেছিলাম পরে আমি তা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেই। কোম্পানির সাথে আমার এই মর্মে চুক্তি হয়েছে, কোম্পানি ৭ তলা বিশিষ্ট একটি এপার্টম্যান্ট নির্মাণ করবে। নির্মিত ভবন ও গ্যারেজের ৫০% মালিক হব আমি আর বাকি ৫০% মালিক হবে কোম্পানি। পাশাপাশি কোম্পানি কাঠা প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা সাইনিং মানি দিবে। এই টাকা তিন কিস্তিতে পরিশোধ করবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যে কোম্পানি দুই কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে। আর ৩য় কিস্তি গত ১৫/১২/২০১৩ তারিখে প্রদান করার কথা চুক্তিতে উল্লেখ ছিল। কিন্তু এত দিন অতিবাহিত হওয়া সত্তে¡ও কোম্পানি সেই কিস্তি (৫ লক্ষ টাকা) পরিশোধ করেনি। টাকা পরিশোধের জন্য বারবার অবগত করা হলে কোম্পানির চেয়ারম্যান দেশের চলমান পরিস্থিতি, ব্যবসার মন্দা ইত্যাদি ওযর পেশ করে এবং অতি শীঘ্রই তা পরিশোধের ওয়াদা করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই টাকা পরিশোধ করেনি।

আমার জানার বিষয় হল, প্রতি বছর মার্চ মাসে আমার যাকাতবর্ষ শুরু হয়। তখন আমি যাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাব করে যাকাত নির্ধারণ করে থাকি। সুতরাং বর্তমানে আমাকে কি উক্ত ৫ লক্ষ টাকারও যাকাত দিতে হবে, যা এখনো আমার হস্তগত হয়নি?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কুরবানীর ঈদের পর এক ব্যক্তি নেসাবের মালিক হয়। পরবর্তী বছর আসার আগেই বসবাসের জন্য জায়গা ক্রয় করে। এতে তার সব টাকা খরচ হয়ে যায় এবং আরো ঋণ করতে হয়। বর্তমানেও পরিপূর্ণভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। এ অবস্থায় জানার বিষয় হল-

ক) নগদ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কারণে ঐ ব্যক্তির নেসাব বাকি আছে কি না? শুনেছি, নেসাবের মালিক হওয়ার পর ঋণের কারণে যাকাত মাফ হয় না। তাহলে যাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে ঋণ বাদ দেওয়ার পর বাকি সম্পদ নেসাব পরিমাণ না হলেও কি যাকাত, কুরবানী, ফিতরা আদায় করতে হবে? আর উক্ত কথাটির মর্ম কী?

উল্লেখ্য যে, উক্ত ব্যক্তির ছোট দোকানে ৭/৮ হাজার টাকার ব্যবসার মাল থাকে।

খ) নেসাব বাকি থাকলে কি যাকাতবর্ষ শেষে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে ঋণ পরিশোধের জন্য জমাকৃত টাকারও যাকাত, কুরবানী আদায় করতে হবে? এবং কুরবানীর দিনগুলোতে ব্যবসার মাল ছাড়া নগদ অর্থ কুরবানীর সর্বাপেক্ষা ছোট পশুর মূল্যের পরিমাণ না হলে কি ধার করে কুরবানী করতে হবে?



question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৩২৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করি। একদিন এক দরিদ্র লোক এসে চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা চাইল। খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার বাড়ি ভোলা। এবং সে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। আর এদিকে আমি ইতিপূর্বে একটি কসম করে ভঙ্গ করেছি। তাই ভাবলাম, আমাকে তো দশজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে বা এর মূল্য দিতে হবেই তাহলে এই ব্যক্তিকে দুই বেলার মূল্য ১০০ টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু আমার কাছে মাত্র পঞ্চাশ টাকা ছিল। তাই এক বেলার নিয়তে দিয়ে দেই। পরে জনৈক আলেম বিষয়টি জানতে পেরে বললেন, এভাবে কাফফারা আদায় হবে না। একজনকে পূর্ণ দুই বেলার মূল্যই দিতে হবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ আলেম কি ঠিক বলেছেন?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০