আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কুরবানীর ঈদের পর এক ব্যক্তি নেসাবের মালিক হয়। পরবর্তী বছর আসার আগেই বসবাসের জন্য জায়গা ক্রয় করে। এতে তার সব টাকা খরচ হয়ে যায় এবং আরো ঋণ করতে হয়। বর্তমানেও পরিপূর্ণভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। এ অবস্থায় জানার বিষয় হল-

ক) নগদ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কারণে ঐ ব্যক্তির নেসাব বাকি আছে কি না? শুনেছি, নেসাবের মালিক হওয়ার পর ঋণের কারণে যাকাত মাফ হয় না। তাহলে যাকাতযোগ্য সম্পদ থেকে ঋণ বাদ দেওয়ার পর বাকি সম্পদ নেসাব পরিমাণ না হলেও কি যাকাত, কুরবানী, ফিতরা আদায় করতে হবে? আর উক্ত কথাটির মর্ম কী?

উল্লেখ্য যে, উক্ত ব্যক্তির ছোট দোকানে ৭/৮ হাজার টাকার ব্যবসার মাল থাকে।

খ) নেসাব বাকি থাকলে কি যাকাতবর্ষ শেষে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে ঋণ পরিশোধের জন্য জমাকৃত টাকারও যাকাত, কুরবানী আদায় করতে হবে? এবং কুরবানীর দিনগুলোতে ব্যবসার মাল ছাড়া নগদ অর্থ কুরবানীর সর্বাপেক্ষা ছোট পশুর মূল্যের পরিমাণ না হলে কি ধার করে কুরবানী করতে হবে?



question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৩২৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করি। একদিন এক দরিদ্র লোক এসে চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা চাইল। খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার বাড়ি ভোলা। এবং সে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। আর এদিকে আমি ইতিপূর্বে একটি কসম করে ভঙ্গ করেছি। তাই ভাবলাম, আমাকে তো দশজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে বা এর মূল্য দিতে হবেই তাহলে এই ব্যক্তিকে দুই বেলার মূল্য ১০০ টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু আমার কাছে মাত্র পঞ্চাশ টাকা ছিল। তাই এক বেলার নিয়তে দিয়ে দেই। পরে জনৈক আলেম বিষয়টি জানতে পেরে বললেন, এভাবে কাফফারা আদায় হবে না। একজনকে পূর্ণ দুই বেলার মূল্যই দিতে হবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ আলেম কি ঠিক বলেছেন?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১২১৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এটি পরিপূর্ণভাবে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতি মাসে আমার বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা রাখা হয়। জমা রাখা টাকার একটি ন্যূনতম পরিমাণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়ে থাকে। আমি ইচ্ছা করলে বেশি টাকাও জমা রাখতে পারি। ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সলে বেতনের প্রায় অর্ধেক জমা রেখেছিলাম। এতে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা সরকারী বাধ্যবাধকতার অতিরিক্ত জমা করেছি। এই টাকার উপর মুনাফা দেওয়া হয়। চাকরি হতে অবসর গ্রহণের সময় এই টাকা উঠানো যায়। তবে নিজ প্রয়োজনে এই টাকার ৮০% যে কোনো সময় লোন পাওয়া যায়। তবে উক্ত টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করা লাগে।

এ অবস্থায় আমার জানার প্রয়োজন-

ক) এই মুনাফা নেওয়া বৈধ হবে কি?

খ) এই জমানো টাকার উপর প্রতি বছর যাকাত আদায় করতে হবে কি?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১১৭৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার এক প্রতিবেশী, যিনি মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনের ছোট একটি চাকরি করেন। চাকরি ও ক্ষেতের ফসলের আয় দ্বারা তার সংসার মোটামুটি চলে। অতিরিক্ত বেশি কিছু থাকে না। এ ছাড়া তার তিনটি নারিকেল ও সুপারির বাগান রয়েছে, যেগুলোর মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তার দশ বছরের একটি ছেলেকে তিনি আমার কথায় মাদরাসায় পড়াতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু তিনি মাদরাসার খরচাদি দিতে রাজি নন। তার কথা হল, আপনি পারলে আপনার দায়িত্বে নিয়ে পড়ান, অন্যথায় থাক। যদিও তিনি চেষ্টা করলে মোটামুটি খরচ বহন করতে পারবেন। এখন আমার প্রশ্ন হল, আমি কি আমার বা অন্য কারো যাকাতের টাকা থেকে ঐ ছেলের মাদরাসার খরচ চালাতে পারব?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১১১৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাবার ইন্তেকালের পর একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে বেশ কিছু সম্পদ আমার মালিকানায় আসে। যার সবই প্রায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার। আমার স্বামী আর্থিকভাবে ততটা স্বচ্ছল নন। আমি চাচ্ছি, ব্যবসা করার জন্য তাকে মোটামুটি বড় একটা মূলধনের মালিক বানিয়ে দিতে। কিন্তু কোম্পানি থেকে আমার যে লাভ আসে তার অধিকাংশই আমার অলঙ্কারাদি অন্যান্য সম্পদের যাকাত হিসেবে আদায় করে দিতে হয়।

জানার বিষয় হল, আমি যাকাতের অংশসহ পুরো লভ্যাংশের টাকা আমার স্বামীকে দিতে পারব কি? না যাকাতের অংশ তাকে দেওয়া যাবে না?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১১১৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

প্রতি বছর আমি লুঙ্গি, শাড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে যাকাত আদায় করি। বছরও যাকাতের নিয়তে ঢাকা ইসলামপুর থেকে ৪০০টি লুঙ্গি ৩০০টি শাড়ি ক্রয় করে কুড়িগ্রামগামী একটি বাসের ছাদে এগুলো উঠিয়ে দেই। বাস কর্তৃপক্ষ কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে এগুলো নামিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে আমার পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়ে যায়। গিয়ে দেখি, কাপড়ের গাঁটরিটি খুলে পড়ে আছে। তাতে ৬০/৭০টি লুঙ্গি, শাড়িও নেই।

প্রশ্ন হল, আমাকে এখন আবার নতুন করে ক্রয় করে যাকাত দিতে হবে, নাকি প্রথমবার যাকাতের নিয়তে ক্রয় করার দ্বারাই যাকাত আদায় হয়ে গেছে? 

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০