আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৮০৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ও আমার স্ত্রী উভয়েই নেসাবের মালিক। আমার শ্বশুর অনেক সম্পদের মালিক ছিলেন। কিন্তু তার সৎ ভাইয়েরা জালিয়াতি করে সব সম্পদ লুটে নেয়। পরবর্তীতে মামলা মোকদ্দমা করেও তার কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় আমার শ্বশুর ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারটি বেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো সম্পদই তার অবশিষ্ট নেই। পরিবারের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮ জন। এদের মধ্যে ৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাকি ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বড় ছেলে স্বল্প বেতনে শিক্ষকতা করে এবং মাত্র এক হাজার টাকা পরিবারে খরচ হিসেবে দেয়। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের অবস্থা ভাল। আমার শ্বশুরের আত্মীয়স্বজন আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তারা আমার শ্বশুর বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে দুই ঈদে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকে। সাহায্যের ধরন থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, তাদেরকে যাকাতের টাকা দ্বারা সাহায্য করা হয়।

আমার জানার বিষয় হল, আমরা যেহেতু উভয়েই নেসাবের মালিক তাই আমাদের জন্য শ্বশুর বাড়ির খাবার-দাবার কি বৈধ? সেখান থেকে আমাদেরকে কোনো কিছু দিলে তা নেওয়া যাবে কি? যদি না হয় তাহলে আমরা যদি সেখানে বেড়াতে যাই তখন আমাদের করণীয় কী?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৭৮৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন চাকরিজীবী। গত বছরের শুরুর দিকে আমার কাছে যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ ছিল। দুতিন মাস পর আমার ছেলে গাড়িতে এক্সিডেন্ট করে। তখন তার চিকিৎসার পিছনে আমার সব টাকা খরচ হয়ে যায়। আরো কিছু টাকা ঋণও করতে হয়। পরবর্তীতে আবার আল্লাহর রহমতে নেসাবের চেয়েও বেশি টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যাই।

শুনেছি, যাকাত ফরয হওয়ার জন্য নাকি বছরের শুরু আর শেষে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা যথেষ্ট। পুরো বছর থাকা জরুরি নয়। তাহলে উক্ত অবস্থায় বছরের শুরু-শেষ নেসাবের মালিক হওয়ার কারণেই কি আমার উপর যাকাত ফরয হয়ে গেছে?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৬৮৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন গৃহিণী। আমার প্রায় বারো ভরি স্বর্ণ আছে। যা আমার বিবাহের মোহরানা ও পিতামাতার কাছ থেকে উপহার স্বরূপ পাওয়া। আর আমার স্বামীর আয় খুবই সীমিত। যা দিয়ে সংসারের খরচাদি ও অন্যান্য প্রয়োজন পূর্ণ করার পরে আয়ের টাকা থেকে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আর আমাকে হাত খরচ হিসেবে যা দেওয়া হয় তাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। এদিকে আমার স্বামীর উপর বর্তমানে অনেক ঋণ আছে। ইত্যাদি কারণে আমি আমার উল্লেখিত স্বর্ণের যাকাত আদায় করতে অক্ষম।

উল্লেখ্য, এই বারো ভরি স্বর্ণ যার বিবরণ উপরে উল্লেখিত হল তা আমি আমার সন্তানদের মালিক বানিয়ে দেওয়ার নিয়ত করেছি। সন্তানরা এখনো নাবালেগ রয়েছে। তাই প্রশ্ন হল, ৭.৫ ভরি স্বর্ণ আমি নিজের জন্য রেখে বাকি স্বর্ণগুলোকে এই নাবালেগ সন্তানদের মালিক বানিয়ে দিলে যাকাতের হিসাবটা আমি কীভাবে করব? বিস্তারিতভাবে জানালে উপকৃত হব।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
১৬৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ঢাকায় তিন কাঠা পরিমাণ আমার একটি জমি আছে। বাড়ি বানানোর জন্য আমি তা কিনেছিলাম পরে আমি তা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেই। কোম্পানির সাথে আমার এই মর্মে চুক্তি হয়েছে, কোম্পানি ৭ তলা বিশিষ্ট একটি এপার্টম্যান্ট নির্মাণ করবে। নির্মিত ভবন ও গ্যারেজের ৫০% মালিক হব আমি আর বাকি ৫০% মালিক হবে কোম্পানি। পাশাপাশি কোম্পানি কাঠা প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা সাইনিং মানি দিবে। এই টাকা তিন কিস্তিতে পরিশোধ করবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যে কোম্পানি দুই কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে। আর ৩য় কিস্তি গত ১৫/১২/২০১৩ তারিখে প্রদান করার কথা চুক্তিতে উল্লেখ ছিল। কিন্তু এত দিন অতিবাহিত হওয়া সত্তে¡ও কোম্পানি সেই কিস্তি (৫ লক্ষ টাকা) পরিশোধ করেনি। টাকা পরিশোধের জন্য বারবার অবগত করা হলে কোম্পানির চেয়ারম্যান দেশের চলমান পরিস্থিতি, ব্যবসার মন্দা ইত্যাদি ওযর পেশ করে এবং অতি শীঘ্রই তা পরিশোধের ওয়াদা করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই টাকা পরিশোধ করেনি।

আমার জানার বিষয় হল, প্রতি বছর মার্চ মাসে আমার যাকাতবর্ষ শুরু হয়। তখন আমি যাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাব করে যাকাত নির্ধারণ করে থাকি। সুতরাং বর্তমানে আমাকে কি উক্ত ৫ লক্ষ টাকারও যাকাত দিতে হবে, যা এখনো আমার হস্তগত হয়নি?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০