আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৭৪৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজন ব্যাপকভাবে সুপারিতে আগাম চুক্তির লেনদেন করে থাকে। অর্থাৎ মৌসুমের আগে ক্রেতা বিক্রেতাকে কিছু টাকা দিয়ে বলে যে, ১০ মাস পরে আমাকে এত পরিমাণ সুপারি দিবেন। আর সুপারি সাধারণত সব সমান হয় না। বরং তা ছোটবড় অনেক ধরনের হয়ে থাকে। ছোটবড় হওয়ার কারণে মূল্যের মাঝেও তারতম্য হয়। আর আমি জানি যে, যেসব পণ্য গণনা করে বিক্রি করা হয় তা যদি পরস্পরে ছোটবড় হওয়ার কারণে তার মূল্যেও তারতম্য হয় তাহলে তাতে আগাম বিক্রি সহীহ হয় না। তাহলে সুপারির মধ্যেও কি আগাম বিক্রি সহীহ হবে না?

উল্লেখ্য, সুপারি গণনা করেই বিক্রি করা হয়।

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৭৪৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন লাইব্রেরির মাঝে এভাবে চুক্তি হয়ে থাকে যে, ঢাকার লাইব্রেরি মালিক চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিককে বলে, প্রেস থেকে বই ছেপে আসলে আপনাকে ৪০% কমিশনে বই দিব। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে দেন। তখন চট্টগ্রামের লাইব্রেরির মালিকগণ বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে আরো একটি লেনদেন হয়ে থাকে। তা এই যে, চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিকগণ বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে এই বলে টাকা নিয়ে থাকে যে, ঢাকায় অমুক লাইব্রেরি থেকে ৪০% কমিশনে বই কিনতে চাচ্ছি। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিতে হচ্ছে। আপনি আমাকে টাকা দেন যেন আমি বইয়ের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে পারি। বই কেনার পর আপনার টাকার সাথে ১০% কমিশন পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা আপনাকে দিব।

এখন আমার প্রশ্ন হল, উল্লেখিত লেনদেন দুটি শরীয়তসম্মত কি না? যদি শরীয়তসম্মত না হয় তাহলে কিভাবে শরীয়তসম্মত হবে?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৭৪৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংগঠন আছে। যারা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি মানুষকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে। তাদের ঋণ দেওয়ার নিয়ম হল, তারা ঋণের পরিমাণ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের ফরম বানিয়েছে। ঋণের পরিমাণ বাড়লে ফরমের মূল্যও বাড়ে। কেউ ঋণ নিতে চাইলে ঋণের পরিমাণ হিসেবে ফরম কিনে চুক্তি করতে হয়।

উল্লেখ্য যে, ফরমের মূল্য খরচের চেয়ে অধিক রাখা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে পুনরায় ফরম কিনে নতুনভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য চুক্তি করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ঋণ দেওয়া নেওয়া সহীহ কি না? জানালে উপকৃত হব।

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৭২৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় জামে মসজিদ কমিটি আমাদের গ্রামের এক বাসিন্দা থেকে জামে মসজিদ সংলগ্ন পশ্চিম দিকের ৮ শতাংশ জমি সাব কবলা ক্রয়ের জন্য ১,৭০,০০০/- (এক লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা শতাংশ হিসেবে ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা বায়না চুক্তি করে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় যে, অদ্যাবধি তিনি মসজিদকে জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে আমরা মসজিদ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রামের মুরব্বিদের নিয়ে তার বাসায় গিয়ে জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার অনুরোধ করি। সে সভায় তিনি আমাদেরকে জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তবে শর্ত দেন যে, গ্রামে সে জমির পাশে তাদের আত্মীয়ের নিকট তাদের জমি বেদখল হয়ে আছে সেগুলো আদায় করে দেওয়ার। আমরা তাকে আমাদের সহযোগিতা করার কথা দেই। কিন্তু যে তারিখে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল সেই তারিখে তিনি উপস্থিত হননি। এরপর থেকে তার সাথে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কথা হলেও তিনি বারবার আমাদের এড়িয়ে যান।

মসজিদটি আমাদের গ্রামের একমাত্র মসজিদ। বর্তমানে মসজিদটি দ্বিতল বিশিষ্ট ৮৯০ বর্গফুট। এত ছোট মসজিদে আমাদের সম্পূর্ণ গ্রামের প্রায় ১০০০ (এক হাজার) জন মুসল্লির জুমার নামায আদায় করতে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় আমাদের মসজিদটি পুনঃনির্মাণের জন্য উক্ত ব্যক্তির বায়নাকৃত (জমিটি বর্তমানে মসজিদ কমিটির দখলে আছে) জমিতে আমরা মসজিদটি সম্প্রসারণ করতে পারি কি না? সম্প্রসারণকৃত স্থানে ওয়াক্তিয়া ও জুমার নামায আদায়ে কোনো সমস্যা হবে কি? সমাধানের জন্য আপনার সুচিন্তিত মতামত কামনা করছি।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৫৯২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

দুই বছর আগে আমরা পাঁচজন সাথী মিলে ছোট্ট একটি সমিতি করেছিলাম। মাসে ৫০০/- টাকা করে জমা করে দুই বছরে মোটামুটি একটি সঞ্চয় হয়েছে। সাথে এককালীন কিছু টাকাও আছে। সমিতি করার সময় আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু টাকা জমা করা। কোথাও বিনিয়োগ করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু এখন সবাই চাচ্ছে, এক বছরের জন্য এই টাকা দিয়ে ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতে এবং সে দায়িত্বটা সবাই মিলে আমাকে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, লভ্যাংশ মূলধন হারেই বণ্টিত হবে। আমার জন্য অতিরিক্ত কোনো অংশ নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু সমস্যা হল, এ টাকা দিয়ে ব্যবসা করার মতো এত সময় এখন আমার হাতে নেই। তাই আমি চাচ্ছি এই টাকা দিয়ে কারো সাথে ১ বছরের জন্য মুদারাবা চুক্তি করতে এবং তাতে আমার জন্য যে লাভ ধার্য করা হবে সেটা সবাই মিলে ভাগ করে নিব।

হুযুরের কাছে জানতে চাই, এভাবে কারবার করা আমার জন্য বৈধ হবে কি না?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৮২৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি যশোরে থাকি। ঢাকার এক লাইব্রেরি থেকে ৩০,০০০/- টাকার কিতাব ক্রয়ের ইচ্ছা করি। সেমতে তার সাথে এ মর্মে চুক্তি হয় যে, আমি তার ঠিকানায় টাকা পাঠাব আর তিনি কোনো ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে কিতাব পাঠাবেন। এরপর চুক্তি অনুযায়ী আমি লাইব্রেরি মালিকের ঠিকানায় ৩০,০০০/- টাকা পাঠাই। আর তিনিও তাদের নিয়ম অনুযায়ী কিতাবগুলো কার্টুনে ভরে তাদের পরিচিত ভ্যানের মাধ্যমে ট্রান্সপোর্টের জন্য পাঠায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে ভ্যান থেকে সবগুলো কিতাব ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। তাই জানার বিষয় হল, এ ক্ষতির দায় কার উপর বর্তাবে? লাইব্রেরি মালিক কি এই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন? উল্লেখ্য, অন্য সময়ও এ রকম পরিচিত ভ্যানের মাধ্যমে মালামাল ট্রান্সপোর্টে পাঠানো হত।


 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৮২৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বিদেশে অনেকে ব্যাংক থেকে লোন নেয়। নেওয়ার সময় ব্যাংক কিছু টাকা কেটে রাখে ইন্সুরেন্স বাবদ। যাতে লোন গ্রহীতা মারা গেলে বা কোনো কারণে দেশে চলে গেলে লোনের টাকা ইন্সুরেন্স পরিশোধ করবে।

জানার বিষয় হল, ইন্সুরেন্স যেহেতু লোন গ্রহীতার অনুপস্থিতিতে লোনের টাকা পরিশোধ করার শর্তে ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং ব্যাংক ইন্সুরেন্স বাবদ একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা লোন গ্রহীতার নিকট থেকে প্রথমেই কেটে রাখে তাই লোন গ্রহীতা লোনের টাকা পরিশোধ না করে যদি দেশে চলে যায় আর চুক্তি অনুযায়ী ইন্সুরেন্স তা পরিশোধ করে তবে কি লোন গ্রহীতা এই ঋণ থেকে দায়মুক্ত হয়ে যাবে? নাকি আখিরাতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হক নষ্টের কারণে জবাবদিহি করতে হবে?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৭৭৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি এক ব্যক্তি থেকে একটি অফসেট মেশিন ১০ বছরের জন্য এই চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছি যে, মেশিনটি আমার রিস্কে থাকবে। মেশিন নষ্ট হলে বা মেশিনের কোনো জিনিস পরিবর্তন করতে হলে তার খরচ আমি বহন করব এবং প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিব।

আমার আরো একটি অফসেট মেশিনের সাথে ঐ মেশিনটি তৃতীয় ব্যক্তিকে ১০ বছরের জন্য এই চুক্তিতে ভাড়া দিতে চাচ্ছি যে, সে প্রতি মাসে আমাকে ৬০ হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিবে। কোনো সময় মেশিন নষ্ট হলে ঠিক হওয়া পর্যন্ত ভাড়া মওকুফ থাকবে এবং মেশিন ঠিক করতে হলে বা মেশিনের কোনো জিনিস পরিবর্তন করতে হলে তার খরচ আমাকেই বহন করতে হবে।

তাই জানার বিষয় হল, উপরে উল্লেখিত নিয়মে মেশিন ভাড়া নেওয়া এবং তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে কি না? জানালে উপকৃত হব।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৮৩২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা বিশজন মিলে একটা সংগঠন করেছি। উদ্দেশ্য হল, সবাই সমানভাবে টাকা জমা করে তা নিয়ে শিরকতের পদ্ধতিতে ব্যবসা করবো এবং লাভ সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে। আর উক্ত টাকা দিয়ে ব্যবসা করার দায়িত্ব আমি বহন করেছি। এজন্য আমি কোনো বেতনও নিই না। গত বছর এক লোককে তিনমাস পর চাল দিবে এই চুক্তিতে পনের হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দিই। পরে ঐ লোক থেকে চাউল বা টাকা কোনোটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখন সংগঠনের বাকি সদস্যরা আমার কাছে এই টাকা দাবি করছে।

জানার বিষয় হল, উক্ত টাকা সম্পর্কে শরীয়তে বিধান কী? এই টাকার দায় কি শুধু আমার উপরই আসবে?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০