আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#২৫৫০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের শহরে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে ঢাকা থেকে আগত জনৈক ব্যক্তি মডার্ণ পাবলিশার্স, ২৩০ নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছবির সাহায্যে পবিত্র হজ্বের দর্শণীয় স্থানসমূহ বিষয়ক মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী কর্তৃক প্রণীত একটি পুস্তক হজ্বব্রত পালনেচ্ছুক প্রশিক্ষণরত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করেন। উক্ত পুস্তকের ৬ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে, ‘‘প্রথম চার চক্করে রমল বা দৌড় দিয়ে জোরে হাঁটতে হবে। বাকি তিন চক্করে স্বাভাবিকভাবে হাটতে হবে। ইহরামের কাপড় স্বাভাবিকভাবে পরা থাকবে।’’ অথচ হজ্ব বিষয়ক বিভিন্ন

পুস্তক-পুস্তিকায় যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে তার প্রথম তিন চক্করে রমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ইজতিবা প্রথম চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত বহাল থাকা সুন্নতে মুআক্কাদা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এভাবেই ৩ চক্করে রমল ও চার চক্করে স্বাভাবিক অবস্থায় ইজতিবাসহ তাওয়াফ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এখন আমার প্রশ্ন হল, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হবে, নাকি চার চক্করে রমল করতে হবে? আর ইজতিবা প্রথম  চক্কর থেকে শেষ চক্কর পর্যন্ত থাকবে, নাকি যে চক্করগুলোতে রমল করা হবে শুধু সেগুলোতেই ইজতিবা করা হবে? সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৫৩৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ক) আমি শুনেছি, তিলাওয়াতের কারণে যত সিজদাই ওয়াজিব হোক চৌদ্দটি সিজদা করে নিলে সবগুলো সিজদা আদায় হয়ে যাবে। জানার বিষয় হল, কথাটি ঠিক কি না?

প্রশ্ন : খ) অনেক সময় দেখা যায়, নামাযে ইমাম সাহেব সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করার পর আলাদা সিজদা না করে নামাযের সিজদার মাধ্যমেই তা আদায় করে নেন, কিন্তু অনেক মুকতাদি সিজদার আয়াত তিলাওয়াতের বিষয়টি বুঝতে না পারার কারণে নামাযের সিজদার সাথে তিলাওয়াতের সিজদার নিয়ত করে না। জানার বিষয় হল, এভাবে মুকতাদির তিলাওয়াতের সিজদা আদায় হবে কি? তাদের জন্য কি নিয়ত করার হুকুম নেই?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৫২৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার নানার উপর হজ্ব ফরয। তিনি এখনো তা আদায় করেননি। আমরা তাকে হজ্বের জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিলাম। এরই মধ্যে গত বছর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে অনেকদিন যাবত শয্যাশায়ী ছিলেন। একদিন আমরা তার হজ্বের বিষয়ে আলোচনা করছিলাম তখন তিনি মান্নত করেছিলেন যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে সুস্থ করলে আগামী বছরই ইনশাআল্লাহ হজ্ব করব। আল্লাহর রহমতে তিনি এখন সুস্থ।

প্রশ্ন হল, উক্ত মান্নতের কারণে কি নানাজানের ফরয হজ্ব ছাড়াও আরেকটি হজ্ব করতে হবে? যদি দুটি হজ্ব করতে হয় তবে কোনটি আগে করবে। ফরয হজ্ব নাকি মান্নতের হজ্ব? জানিয়ে উপকৃত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০