আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

মাসায়েল অনুসন্ধানের ফলাফল

উমরা” শব্দ দিয়ে ১০০ টি মাসায়েল পাওয়া গেছে

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২১৪৩১
শায়খ একটা বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে আছি,সেটা হলো ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, নাস, ফালাক আর ফজরের,মাগরিবের পর সূরা ইখলাস, নাস, ফালাক পড়া নিয়ে। কখন তিনবার করে পড়তে হবে আর কখন একবার করে পরতে হবে? আর কখন পড়ার পর হাতে ফু দিয়ে সারা শরীর মাসেহ করা লাগবে? আরেকটা প্রশ্ন হলো, ফজরের ফরয নামাজের পর যদি কেউ সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকির আযকার করে তারপর দুই রাকআত ইশরাকের নামাজ আদায় করে তার জন্য উমরা নাকি পরিপূর্ণ হজ্বের সওয়াব পাবে এরকম একটা হাদিস শুনেছি। এখন প্রশ্ন হলো আমি যদি ফজরের নামাজের পর বাড়িতে এসে যিকির করি তাহলে কি সেই সওয়াব পাবো?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২১ আগস্ট, ২০২২
করটিয়া ১৯০৩
১২৩৯৬
আল্লাহ তায়ালা এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণের উত্তম জাযায়ে খায়ের দান করুন। সম্ভবত প্রায় এক দেড় বছর ধরে এটার দ্বারা আমি উপকৃত হচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।.. হযরত! একবার এক হাদিসে পড়েছিলাম, হাদিসের ভাষ্য অনেকটা এমন যে, একবার উম্মে সালামাহ রাঃ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, কোনো নেককার মহিলা যদি দুনিয়াতে পরপর দুজন স্বামীকে বিবাহ করে এবং উভয় স্বামীই জান্নাতি হয় আর ঐ মহিলাও জান্নাতি হয়, তাহলে তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি জান্নাতে ঐ মহিলাকে পাবে.? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, তাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি অধিক উত্তম আখলাকের অধিকারী, সেই সে মহিলাকে পাবে! এরপর আরো কিছু কথা আছে কিন্তু মূল বক্তব্য এটাই। কিন্তু আজকে অথবা গতকাল এক জায়গায় দেখলাম যে এ ক্ষেত্রে নাকি সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। এজন্যই নাকি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার স্ত্রীগণকে অন্যত্র বিয়ের অনুমতি দেননি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে কোনটা প্রযোজ্য.? উত্তম আখলাক্ব নাকি শেষ স্বামী..??
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী ইসহাক মাহমুদ
৯ জানুয়ারী, ২০২২
Panchagarh
২৮৩০

ক) আমার স্বামী ২০০৭ সালে হজ্বে গিয়েছিলেন। তখন আমার নেসাব পরিমাণ সম্পদ ছিল। আমার স্বামী একজন মুফতী সাহেবের কাছে শুনে এসে বলেছেন যে, মহিলাদের মাহরামকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকা না থাকলে হজ্ব ফরয হয় না। কিন্তু মাহরাম এমনিতেই পেয়ে গেলে যে হজ্ব ফরয হবে সেটা তিনি বলেননি। এজন্য ২০০৭ সালে তিনি হজ্বে যাওয়ার সময় আমি বুঝিনি যে, আমার উপর হজ্ব ফরয এবং আমার স্বামীও তা খেয়াল করেননি। আমি হজ্ব ফরয না জেনেই তার সাথে হজ্বে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চা ছোট বলে আমাকে হজ্বে নিতে রাজি হননি। আমার বাচ্চার বয়স তখন ২ বছর পুরা হয়নি। তবে বুকের দুধ স্বামী হজ্বে যাওয়ার ১ মাস আগেই ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চা আমাদের দুজন ছাড়া আর কারো কাছে থাকত না। আমি ওকে রেখে হজ্বে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারিনি। তাই আমি ওকে নিয়েই হজ্বে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুরববীরা এবং আমার স্বামী কেউ বাচ্চা নিয়ে যেতে রাজি হননি। আর বাচ্চা রেখে যাওয়ার কোনো উপায়ও ছিল না। কারণ শুধু ওর আববু হজ্বে যাওয়ার কারণেই ওর অবস্থা এমন হয়েছিল যে, আমি হাম্মামে (বাথরুমে) গেলেও সে কাঁদতে কাঁদতে বমি করে দিত। এখন এই (দুগ্ধপোষ্য) শিশু কি আমি  হজ্বে না যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ওজর হিসেবে গণ্য হবে?

উল্লেখ্য, আমি আমার উপর হজ্ব ফরয সেটা না জানার কারণে গত এক বছর আগে উমরা করে এসেছি। এই জন্য আমার কাছে এখন হজ্বে যাওয়ার মতো নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। এখন আমি হজ্ব না করার কারণে কি আমার গুনাহ হচ্ছে? হয়ে থাকলে আমার কী করণীয়?

খ) আমার শ্বশুর প্রতি বছর হজ্বে যান। আমার যদি একা হজ্বে যাওয়ার মতো টাকা হয় তাহলে আমার উপর হজ্ব ফরয হবে কি? হজ্বের মতো কঠিন সফরে শ্বশুরের সাথে যাওয়া কি ঠিক হবে?

গ) কোনো মহিলা যদি বাচ্চা রেখে যাওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ না পায় আর তাকে হজ্বে নেওয়ার মতো সামর্থ্যও না থাকে তাহলে সে কী করবে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০